হজ কথায় আমি একজন বেকার। বেশ কিছুদিন ধরে টেকনিক্যাল বিষয়ে ভালো রেজাল্টসহ ডিগ্রি শেষ করে আবার এক সংগ্রাম শুরু করেছি। তা হলো ইতিহাস, সাধারন জ্ঞান, কারক, বিভক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি। ৬-৭ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানের যে কোন দাম নাই এই দেশে ! যাইহোক, এটা আমার পূর্ব পুরুষেরা যেভাবে মেনে নিয়েছে, আমাকেও সেভাবেই মেনে নিতে হলো। অনার্স শেষ করার পর বাবার কথা “ কিছু একটা কর বাবা, আমার অল্প আয়ে আর পারছিনা।” বাবার কথা ফেলে দেওয়ার মতো কিছু নয়। যথেস্ঠ যুক্তি আছে । কিন্তু ভাবলাম এখন মাস্টার্স না করলে আর পরে হবে না। তাই মাস্টার্স এ ভর্তি হলাম আর শুরু করলাম অনলাইন এ কাজ। মাসিক খরচ ভালো ভাবেই জোগার হয়। শুধু আমি না, সারা বাংলাদেশে সকল ফ্রিলান্সারদের শতকরা ৯৮ ভাগ আমার মত পরিস্থিতি নিয়ে আছে। ঘরে বসে দুটো টাকা ইনকামের মাধ্যমে যদি বৃদ্ধ বাবার কষ্ট একটু লাঘব করা যায় তাতে ক্ষতি কি? আর যে ২ ভাগ বাদ দিলাম তা দখল করে আছে দেশের কিছু সফটওয়ার কোম্পানী (ফ্রীলান্সিং কোম্পানী)।
এবার আসি ফ্রিলান্সিং এর বিষয়ে। ইন্টারনেট আর্নিয়ের বিভিন্ন সাইট রয়েছে। যেমন, freelancer.com, elance.com, odesk.com ইত্যাদি। সকল সাইটের ই একটা বিশেষ বৈশিস্ট আছে তা হলো আয়ির উপর আচ্ছামত ফি কেটে নেওয়া। আমি কাজ করি freelancer.com এ। এর সমন্ধেই বলি।
আমাদের উপযোগী article writing, photoshop designing, website designing etc. কাজগুলো সাধারনত ৩০-৪০ ডলারের হয়ে থাকে। ধরি ৩০ ডলারের একটা কাজ পাওয়া গেল। কাজ গ্রহন করার সাথে সাথে সাইট কেটে নিবে ৫ ডলার প্রজেক্ট ফি। তার পর রাত জেগে জেগে কাজ শেষ করে দেখা পেলাম ২৫ ডলারের। ৫ ডলার যে ফি!!
অবশেষে এই টাকা পাঠাতে হবে moneybookers or paypal or alert pay etc. মানি ট্রান্সফারিং সাইটে। সেখানেও আবার ফি ! প্রতিবার উত্তলনে গুনতে হবে ৪ ডলার। দিতেই হবে। উপায় কি? কষ্টের টাকাটাকে তো দেশে আনা দরকার। ফি দিয়ে দেশের ব্যংকে পাঠালাম ২১ ডলার।
যাক বাবা, কম্পিউটারের মনিটরের টাকাকে এবার বুঝি সত্যি দেখতে পারবো। কিন্তু আরও কিছু যে বাকি আছে !! এদেশের আলো বাতাসে মানুষ হয়েছি, দেশকে কিছু দিতে হবে না?? সরকারের বিবেকবার মহামান্য কর্মকর্তারা তাই বসিয়ে দিল ১০% ফি ???
ঠিক আছে। দিলাম সেটাও। টাকাটার মুখ একবার দেখতে হবে বলে কথা। সে হিসারে ৩ ডলার ফি দিলে আর থাকে ১৮ ডলার।
এইবার বাবা আর কিন্তু ঝামেলা নাই। টাকা এসেছে ব্যাংকে। ১৮ ডলার। ডলার রেট ব্যাংক দেবে ৭৯ টাকা। তাদেরও নাকি কিশের কমিশন না ফি দিতে হবে। আচ্ছা বাবা নে। হাতে পেলাম ১৪২২ টাকা।
কিছুটা আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে, ১৪০০ টাকা তো পেলাম (রিক্সা ভাড়া বাদ দিয়ে)। বন্ধুদের সাথে চা পানি খেয়ে রুমে এসে দেখি মাসিক ইন্টারনেট বিল এসে হাজির !! এ ১৪০০ টাকা পুরোটা আমার না। এখান থেকে গরুর গাড়ি মার্কা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার Grameen Phone(হারামিরফোন)পারে মাত্র ৯৯০ টাকা (আনলিমিটেড তবে সর্বোচ্চ ৫ জিবি?? প্যকেজ কারন কাজ করতে গিয়ে কিলোবাইটের হিসাব করলে আর হয় না।)। এবার আর সহ্য করতে পারলাম না। ইন্টারনেটের বিল দেওয়ার পর আর আছে ৪১০ টাকা।
মাত্র ৪১০ টাকা। কে বলেছে মাত্র। ছোট জাতের মানুষদের বেচে থাকতে আর কতো টাকা লাগে?
কিছুদিন আগে প্রথম আলোর ওয়েব সাইটে একটা মন্তব্য পড়েছিলাম “ এ দেশে জন্ম নেওয়া পাপ আর মারা যাওয়া মহাপাপ”। আজ কথাটা কেন যেন বার বার মনে পড়ছে।
সরকারের কি টাকার এতই সংকট? বেকার ছেলেদের আয়কৃত টাকা থেকে কী ১০% কর না নিলেই নয়?? আবার এই কষ্টের টাকা নিয়ে এতো দুর্নিতি কেন??
সরকারের আচরণে তো মনে হয় দেশে টাকার কোন ঘাটতি নাই। সবচেয়ে অবাক লাগে যে – যে দেশ দপ্তরবিহীন মন্ত্রি পুষতে পারে, সে দেশে আবার ফ্রিলান্সারদের ফি দিতে হয়। দপ্তরবিহীন মন্তি যদি কাজ ছাড়া হারাম টাকা খেতে পারে তবে দেশে বেকার ভাতা কেন চালু হবে না??
মাথাটা গরম হয়ে গেছে। তাই আজে বাজে বকছি। যাইহোক, একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। একটু হেল্প করবেন কি প্লিজ??
আমি কি আবার কাজের জন্য বিড করবো ?????????
এবার আসি ফ্রিলান্সিং এর বিষয়ে। ইন্টারনেট আর্নিয়ের বিভিন্ন সাইট রয়েছে। যেমন, freelancer.com, elance.com, odesk.com ইত্যাদি। সকল সাইটের ই একটা বিশেষ বৈশিস্ট আছে তা হলো আয়ির উপর আচ্ছামত ফি কেটে নেওয়া। আমি কাজ করি freelancer.com এ। এর সমন্ধেই বলি।
আমাদের উপযোগী article writing, photoshop designing, website designing etc. কাজগুলো সাধারনত ৩০-৪০ ডলারের হয়ে থাকে। ধরি ৩০ ডলারের একটা কাজ পাওয়া গেল। কাজ গ্রহন করার সাথে সাথে সাইট কেটে নিবে ৫ ডলার প্রজেক্ট ফি। তার পর রাত জেগে জেগে কাজ শেষ করে দেখা পেলাম ২৫ ডলারের। ৫ ডলার যে ফি!!
অবশেষে এই টাকা পাঠাতে হবে moneybookers or paypal or alert pay etc. মানি ট্রান্সফারিং সাইটে। সেখানেও আবার ফি ! প্রতিবার উত্তলনে গুনতে হবে ৪ ডলার। দিতেই হবে। উপায় কি? কষ্টের টাকাটাকে তো দেশে আনা দরকার। ফি দিয়ে দেশের ব্যংকে পাঠালাম ২১ ডলার।
যাক বাবা, কম্পিউটারের মনিটরের টাকাকে এবার বুঝি সত্যি দেখতে পারবো। কিন্তু আরও কিছু যে বাকি আছে !! এদেশের আলো বাতাসে মানুষ হয়েছি, দেশকে কিছু দিতে হবে না?? সরকারের বিবেকবার মহামান্য কর্মকর্তারা তাই বসিয়ে দিল ১০% ফি ???
ঠিক আছে। দিলাম সেটাও। টাকাটার মুখ একবার দেখতে হবে বলে কথা। সে হিসারে ৩ ডলার ফি দিলে আর থাকে ১৮ ডলার।
এইবার বাবা আর কিন্তু ঝামেলা নাই। টাকা এসেছে ব্যাংকে। ১৮ ডলার। ডলার রেট ব্যাংক দেবে ৭৯ টাকা। তাদেরও নাকি কিশের কমিশন না ফি দিতে হবে। আচ্ছা বাবা নে। হাতে পেলাম ১৪২২ টাকা।
কিছুটা আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে, ১৪০০ টাকা তো পেলাম (রিক্সা ভাড়া বাদ দিয়ে)। বন্ধুদের সাথে চা পানি খেয়ে রুমে এসে দেখি মাসিক ইন্টারনেট বিল এসে হাজির !! এ ১৪০০ টাকা পুরোটা আমার না। এখান থেকে গরুর গাড়ি মার্কা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার Grameen Phone(হারামিরফোন)পারে মাত্র ৯৯০ টাকা (আনলিমিটেড তবে সর্বোচ্চ ৫ জিবি?? প্যকেজ কারন কাজ করতে গিয়ে কিলোবাইটের হিসাব করলে আর হয় না।)। এবার আর সহ্য করতে পারলাম না। ইন্টারনেটের বিল দেওয়ার পর আর আছে ৪১০ টাকা।
মাত্র ৪১০ টাকা। কে বলেছে মাত্র। ছোট জাতের মানুষদের বেচে থাকতে আর কতো টাকা লাগে?
কিছুদিন আগে প্রথম আলোর ওয়েব সাইটে একটা মন্তব্য পড়েছিলাম “ এ দেশে জন্ম নেওয়া পাপ আর মারা যাওয়া মহাপাপ”। আজ কথাটা কেন যেন বার বার মনে পড়ছে।
সরকারের কি টাকার এতই সংকট? বেকার ছেলেদের আয়কৃত টাকা থেকে কী ১০% কর না নিলেই নয়?? আবার এই কষ্টের টাকা নিয়ে এতো দুর্নিতি কেন??
সরকারের আচরণে তো মনে হয় দেশে টাকার কোন ঘাটতি নাই। সবচেয়ে অবাক লাগে যে – যে দেশ দপ্তরবিহীন মন্ত্রি পুষতে পারে, সে দেশে আবার ফ্রিলান্সারদের ফি দিতে হয়। দপ্তরবিহীন মন্তি যদি কাজ ছাড়া হারাম টাকা খেতে পারে তবে দেশে বেকার ভাতা কেন চালু হবে না??
মাথাটা গরম হয়ে গেছে। তাই আজে বাজে বকছি। যাইহোক, একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। একটু হেল্প করবেন কি প্লিজ??
আমি কি আবার কাজের জন্য বিড করবো ?????????
No comments:
Post a Comment