‘ভোর রাইতে মায় মরল। সকালে লঞ্চ ডুইব্বা আমার কলিজার টুকরা চাইর মাইয়া, নাতি-নাতনি, মাইয়ার জামাই গেল মইরা। এই কষ্ট আমি ভুলুম কেমনে? বাইচ্চা থাইক্কা আমি অনে কী করুম?’ এসব কথা বলে বিলাপ করেন বিধবা অজুফা খাতুন।
অজুফার (৫৫) বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চান্দ্রাকান্দি গ্রামে। ওই বাড়িতেই শুক্রবার ভোরে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। একই দিন মেঘনায় লঞ্চডুবিতে হারান ছয়জনকে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ওই ছয়জনের লাশ মেলে। আরেক মেয়ে এখনো নিখোঁজ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অজুফার মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে চাঁদপুরের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ ঘাটে লঞ্চে ওঠেন তাঁর চার মেয়ে, এক ছেলে, দুই নাতি-নাতনি ও দুই মেয়ের স্বামী। ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বালু বহনকারী একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় পরিবারের নয় সদস্যের মাত্র দুজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারেন। তাঁরা হলেন অজুফার ছেলে তারেক (১৮) ও মেয়ে পান্নার স্বামী বিল্লাল।
তারেক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে নারায়ণঞ্জের গোদনাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার নানির মৃত্যুর খবর শুনে নয়জন রওনা দেন। বোন পান্না অসুস্থ। তাই তিনি নারায়ণগঞ্জে রয়ে গেছেন।
লঞ্চডুবির ঘটনায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছয়জনই অজুফার স্বজন। তাঁরা হলেন: অজুফার মেয়ে চায়না বেগম (৩০), ময়না বেগম (২৫) ও তানিয়া আক্তার (১৪) এবং চায়নার স্বামী মুক্তার হোসেন (৩২), তাঁদের মেয়ে মিথিলা (১১) ও ছেলে সানজিদ (৫)। অজুফার আরেক মেয়ে শাহানাজ বেগমের (২২) এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও চান্দ্রাকান্দি গ্রামে অজুফার প্রতিবেশী ফয়েজ মিয়া জানান, প্রায় তিন বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা স্বামী আবদুর রাজ্জাককে হারান অজুফা।
একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে অজুফার মা, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ সাতজনের মৃত্যু হলো। এত শোক এই বয়সে অজুফা কেমন করে সইবেন!
অজুফার (৫৫) বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চান্দ্রাকান্দি গ্রামে। ওই বাড়িতেই শুক্রবার ভোরে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। একই দিন মেঘনায় লঞ্চডুবিতে হারান ছয়জনকে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ওই ছয়জনের লাশ মেলে। আরেক মেয়ে এখনো নিখোঁজ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অজুফার মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে চাঁদপুরের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ ঘাটে লঞ্চে ওঠেন তাঁর চার মেয়ে, এক ছেলে, দুই নাতি-নাতনি ও দুই মেয়ের স্বামী। ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বালু বহনকারী একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় পরিবারের নয় সদস্যের মাত্র দুজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারেন। তাঁরা হলেন অজুফার ছেলে তারেক (১৮) ও মেয়ে পান্নার স্বামী বিল্লাল।
তারেক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে নারায়ণঞ্জের গোদনাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার নানির মৃত্যুর খবর শুনে নয়জন রওনা দেন। বোন পান্না অসুস্থ। তাই তিনি নারায়ণগঞ্জে রয়ে গেছেন।
লঞ্চডুবির ঘটনায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছয়জনই অজুফার স্বজন। তাঁরা হলেন: অজুফার মেয়ে চায়না বেগম (৩০), ময়না বেগম (২৫) ও তানিয়া আক্তার (১৪) এবং চায়নার স্বামী মুক্তার হোসেন (৩২), তাঁদের মেয়ে মিথিলা (১১) ও ছেলে সানজিদ (৫)। অজুফার আরেক মেয়ে শাহানাজ বেগমের (২২) এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও চান্দ্রাকান্দি গ্রামে অজুফার প্রতিবেশী ফয়েজ মিয়া জানান, প্রায় তিন বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা স্বামী আবদুর রাজ্জাককে হারান অজুফা।
একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে অজুফার মা, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ সাতজনের মৃত্যু হলো। এত শোক এই বয়সে অজুফা কেমন করে সইবেন!
No comments:
Post a Comment