Friday, May 31, 2013

চীনা হ্যাকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের নকশা

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান ও জাহাজ-সম্পর্কিত দুই ডজনেরও বেশি নকশা হাতিয়ে নিয়েছে চীনা হ্যাকাররা। এর মধ্যে বেশকিছু অত্যাধুনিক ও স্পর্শকাতর অস্ত্রের তথ্য ছিল। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতিয়ে নেয়া নকশা দিয়ে খুব সহজেই উন্নততর অস্ত্র নির্মাণে সক্ষম হবে চীন। তাতে ভবিষ্যতে যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষেত্রে মার্কিন অগ্রসরতা হুমকির মুখে পড়বে। হ্যাক হওয়া নকশাগুলোর মধ্যে এশিয়া, ইউরোপ ও পারস্য উপসাগরে মোতায়েন কিছু অস্ত্রের বর্ণনাও রয়েছে। এর মধ্যে আছে পিএসি-৩ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতিকে বলা হয় টার্মিনাল হাই অল্টিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স (টিএইচএএডি)। অন্যটি হলো নৌবাহিনীর এজিস আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। নথিগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে এফ/এ-১৮ জঙ্গিবিমান, ভি-২২ অসপ্রে, ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর নতুন ধরনের লিটোরাল যুদ্ধজাহাজের নকশা। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে এফ-৩৫ বহুমুখী জঙ্গিবিমানের নকশা। বিমানটির নকশা ও তৈরিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বিশ্লেষকদের মতে, মানব ইতিহাসে কোনো অস্ত্র তৈরিতে এর চেয়ে বেশি কিংবা এর সমপরিমাণ অর্থ কখনই খরচ করা হয়নি। অবশ্য নকশাগুলো কোন সময় হ্যাক হয়েছে, তা জানায়নি পোস্ট। তবে সবকটি নকশাই চুরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সুরক্ষিত সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মনুষ্যবিহীন বিমানের (ড্রোন) ভিডিও সিস্টেম, ন্যানো প্রযুক্তি, কৌশলগত তথ্য লিংক এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিগ্রহ সিস্টেম-সম্পর্কিত আরো অনেক অস্ত্রের নকশা ও পদ্ধতিও এখন চীনা হ্যাকারদের কাছে। এ খাতগুলোর উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা সামরিক বাহিনী।

Tuesday, May 28, 2013

সমকামীর প্রেম


মানুষ নিজের মতো থাকতে চাইলেও সমাজ কি তা মেনে নেয়? নেয় না বলেই এখনও সম্পর্ক নিয়ে সমাজে যত জটিলতা। তারই চোরা স্রোত কেটে কেটে সমকামী তকমাসাঁটা মানুষদের একটানা জীবনযুদ্ধ।
 
 
এরকমই জীবন নিয়ে ও পুরুষসঙ্গী নিয়ে সুখে ছিল মৃদুল। কিন্তু এক অজানা দুর্ঘটনা তাকে দাঁড় করিয়ে দিল বাস্তবের সামনে। এরকমই গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে পরিচালক রাতুল গঙ্গোপাধ্যায়-এর ছবি ‘দশ-ই জুলাই’।
 
 
ছবিটিতে রাতুলের ভূমিকায় এক সমকামী চরিত্রে প্রথমবারের জন্য অভিনয় করছেন চিরঞ্জিৎ,তাঁর পুরুষসঙ্গীর ভূমিকায় আছেন নবাগত অর্ক।
 
 
এছাড়াও ছবিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন দেবশ্রী রায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবিটি প্রযোজনা করছে টিএসকে মুভিজ।

বাংলাদেশে তৈরী হয়েছে বার্সেলোনার নতুন জার্সি

স্প্যানিশ দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার জন্য পাগল হয়ে থাকি, সব সময় উন্মুখ হয়ে থাকি এল ক্ল্যাসিকোর জন্য কিন্তু আমরা কতজন জানি যে বার্সেলোনা সহ Nike এর অনেক জার্সি তৈরী হয় বাংলাদেশ থেকে?

শুধুমাত্র নতুন মৌসুমের এই এওয়ে কিটই নয় বরং ২০১১/২০১২ মৌসুমের জার্সিও তৈরী হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।

ইউরোপ, আমেরিকা থেকে একটি উন্নতমানের পোশাক কিনলেন আর পরে দেখলেন সেটি আপনার নিজের দেশেই তৈরী এমন ঘটনাও ঘটেছে অনেকেরই, বিশেষ করে যারা প্রবাসে থাকেন।

ফেসবুকে Rahman R Hillol এর কমেন্ট - 
"শুধু এইটা না। গত দুই বিশ্বকাপের সব জার্সি গেছে বাংলাদেশ থেকে। গত অলিম্পিকের সব ড্রেস গেছে ঢাকা থেকে। আমেরিকান আর্মির ড্রেসের একটা বড় অংশ তৈরি হয় চট্টগ্রামে। নাইক, রিবুকের ২টা বড় ফ্যাক্টরি এ দেশে।
আমাদের নাবিস্কোর তৈরি হাই প্রোটিন বিস্কুট মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সৈন্যদের খাদ্য।
বারাক ওবামার বেশিরভাগ ফর্মাল শার্ট ই বাংলাদেশী প্রোডাক্ট।

so its better to never under estimate our hard working brothers and sisters who works on this industry."


সূত্রঃ
১) Plaantik ফেসবুক পেজ 
২) সকার বাইবেল ওয়েবসাইট

Sunday, May 26, 2013

ডিজিটাল ক্যামেরা ১০ হাজারের মধ্যে


এখন প্রায় সব মুঠোফোনেই আছে ক্যামেরা। তবে এতে তোলা ছবির মান তেমন ভালো হয় না, বড় করে প্রিন্টও করা যায় না। তাই ডিজিটাল ক্যামেরার আবেদন অনেকের কাছেই আছে। শখ করে অনেকে কেনেন ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরা। তবে সেটির দাম অর্ধলক্ষ টাকার বেশি। তাই শখের ছবি তোলা থেকে নিজেকে বঞ্চিত না করতে ফিক্সড ফোকাসের ডিজিটাল ক্যামেরার চাহিদা তুঙ্গে। প্রযুক্তির বাজারে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ক্যামেরা কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে কিনে নিয়ে ছবি তোলা শুরু করে দিতে পারেন।

ক্যানন
ক্যাননের বেশ কটি ডিজিটাল ক্যামেরা পাওয়া যায় ১০ হাজার টাকার মধ্যে। ১৬ মেগাপিক্সেলের ৫এক্স জুম লেন্সের ক্যানন পাওয়ারশট এ২৩০০ ও এ৩৪০০ ক্যামেরার দাম পড়বে যথাক্রমে আট হাজার ৪০০ ও নয় হাজার ৩০০ টাকা। ১৪.১ মেগাপিক্সেলের পাওয়ারশট এ২২০০, ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যানন এ২৪০০ দাম পড়বে যথাক্রমে নয় হাজার ১০০ ও নয় হাজার ২০০ টাকা।

সনি
বাজারে বেশ কটি মডেলের সনি সাইবার শট ডিজিটাল ক্যামেরা পাওয়া যায়। ১০ হাজার টাকায় কিনতে পারেন হালকা ওজন ও গড়নের ১৬.১ মেগাপিক্সেল ও ৫এক্স অপটিক্যাল জুমের ক্যামেরা সনি ডব্লিউ৬৩০। ১৪.১ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা হচ্ছে সনি ডব্লিউ৬১০ ও সনি ডব্লিউ৬২০, দাম পড়বে যথাক্রমে আট হাজার ৩০০ টাকা ও নয় হাজার ৫০০ টাকা। সনি ডব্লিউ৫১০ ও সনি ডব্লিউ৭১০ ক্যামেরার দাম পড়বে যথাক্রমে নয় হাজার ৬০০ ও নয় হাজার ৫০০ টাকা। ডব্লিউ৬২০ ক্যামেরা দিয়ে এইচডি ভিডিও ধারণ করা যায়।

নাইকন
১৪ মেগাপিক্সেলের নাইকন এস২৬০০ মডেলের ডিজিটাল ক্যামেরার দাম আট হাজার ৫০০ টাকা। ১৬ মেগাপিক্সেলের এইচ৪৩০০, এইচ৩৩০০ মডেলের দাম নয় হাজার ৫০০ টাকা। নাইকন এইচ২৬০০-এর দাম পড়বে আট হাজার ৫০০ টাকা।

স্যামসাং
বাজারে সবচেয়ে কম দামের ডিজিটাল ক্যামেরা স্যামসাং ব্র্যান্ডের। ১৪.২ মেগাপিক্সেল রেজ্যুলেশনের স্যামসাং ইএস৯০ মডেলের ক্যামেরার দাম সাত হাজার টাকা। ১২.২ মেগাপিক্সেলের স্যামসাং ইএস৮০ ক্যামেরার দাম সাত হাজার ৮০০ টাকা, ১৪.২ মেগাপিক্সেলের স্যামসাং পিএল২০ ও এসটি৬৫ মডেলের ক্যামেরার দাম যথাক্রমে আট হাজার ৯০০ ও নয় হাজার ৩০০ টাকা।

অলিম্পাস
১৪ মেগাপিক্সেলের অলিম্পাস ভিজি ১২০ ক্যামেরা ও অলিম্পাস এফই৪০২০ মডেলের ক্যামেরার দাম নয় হাজার ৫০০ টাকা।

ফুজি
১৪ মেগাপিক্সেল রেজ্যুলেশন ও ৫এক্স অপটিক্যাল জুমের ফুজি ফাইন পিক্স জেএক্স৫০০ ক্যামেরার দাম সাত হাজার ৭০০ এবং ১৬ মেগাপিক্সেলের ফুজি ফাইন পিক্স জেএক্স৫৫০ মডেলের দাম আট হাজার ৭০০ টাকা।

খেয়াল রাখুন
মেগাপিক্সেল: ডিজিটাল ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে, ছবির মানও তত ভালো হবে—এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ছবির আকার নির্ধারণ করে দেয় মেগাপিক্সেল। একটি ৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে ৪ x ৬ ইঞ্চি আকারের একটি ছবি তোলা যায়। ১০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় ১৩ x ১৯ ইঞ্চি আকারের ছবি তোলা যায়।
সেন্সর: ইমেজ সেন্সরের ওপর ছবির মান নির্ভর করে। সেন্সরের আকার যত বড় হবে, ছবির মান তত ভালো হবে। ডিজিটাল ক্যামেরায় দুই ধরনের ইমেজ সেন্সর দেখা যায়। সিসিডি ও সিএমওএস নামের সেন্সরে সিএমওএস সেন্সরে কম ব্যাটারি খরচ হয়।
জুম: ক্যামেরাগুলোর অপটিক্যাল ও ডিজিটাল দুই ধরনের জুম থাকে। অপটিক্যাল জুম লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে বিষয়বস্তুকে কাছে নিয়ে আসে। ফলে ছবির মান অটুট থাকে।
 ওয়ারেন্টির কাগজপত্র খেয়াল করে পূরণ করুন।
 ক্যামেরার খাপ বা ব্যাগ আলাদা কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণ ব্যবহারের জন্য ক্যামেরার কভারের দাম ১২০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
 ক্যামেরার পর্দা বা লেন্স হাত বা সাধারণ কাপড় দিয়ে না মুছে বিশেষ ধরনের পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন।
 ক্যামেরার পর্দা বা লেন্সে দাগ যেন না পড়ে, সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখুন।

বিবাহ বার্ষিকী পালন করলেন টেন্ডুলকার


কলকাতায় নিজের ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করলেন ভারতের মাস্টার ব্লাষ্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। শনিবার কলকাতার এক হোটেলে কেকে কেটে স্ত্রী অঞ্জলিকে নিয়ে বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন টেন্ডুলকার।
 
১৯৯৫ সালের ২৪ মে মুম্বাইতে অঞ্জলিকে বিয়ে করেন টেন্ডুলকার। এরপর প্রতিবছরই বেশ জাকজমকের মধ্যে দিয়ে বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করে থাকেন টেন্ডুলকার-অঞ্জলি জুটি। চলতি বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার নিজ শহরের বাইরে অর্থ্যাৎ কলকাতায় বিবাহ বার্ষিকী পালন করলেন টেন্ডুলকার ও অঞ্জলি।
 
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে টেন্ডুলকারের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তাই দলের সাথে কোলকাতাতেই রয়েছেন টেন্ডুলকার। সেই কারণে কলকাতায় বসেই বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে হলো তাকে। বিকালে স্ত্রী অঞ্জলিকে নিয়ে কেক কেটে বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন টেন্ডুলকার।
 
এ ব্যাপারে হোটেলের এক স্টাফ জানান, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। তবে বিকালে টেন্ডুলকারের স্ত্রী অঞ্জলি হোটেলে আসায় আমরা ব্যাপারটি জানতে পারি। এরপর তারা কেক কেটে বিবাহ বার্ষিকী পালন করে।’
   

ধর্ষিতাকে বিয়ে করলেন বন্ধু


বিহারে গণধর্ষিতা বান্ধবীকে বিয়ে করলেন এক যুবক। দিন চারেক আগে ওই বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তিন যুবক গণধর্ষণ করে বছর বাইশের বান্ধবীকে। তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুটির উপরও হামলা চালায় ধর্ষকেরা। ঘটনাটি ঘটেছিল বিহারের বাঁকা জেলায়।
 
বান্ধবী সুস্থ হতেই শুক্রবার মন্দিরে গিয়ে সেই বান্ধবীকে বিয়ে করলেন তাঁরই সঙ্গে থাকা বন্ধু। বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিল দশ-বারো জন আমন্ত্রিত এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। স্থানীয় সমাজকর্মী হিরালাল মণ্ডল জানান, ধর্ষিতার আত্মীয় ও গ্রামবাসীরা এই বিয়েতে সক্রিয় সমর্থন জানিয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র ওই যুবক পুলিশকে জানান, "আমি মেয়েটিকে জীবনসঙ্গীনী করতে চেয়েছিলাম। জানি ও ধর্ষিতা। আমার চোখের সামনেই ওর উপর অত্যাচার করা হয়। কিন্তু ওকে ভালবাসি বলেই সসম্মানে বিয়ে করেছি।" বিয়ের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেয়েটির বাবা, তিনি নিজে হাতে 'কন্যা সম্প্রদান' করেন। মন্দিরের অনুষ্ঠানিক বিয়ের আগেই তারা কোর্টে রেজিস্ট্রিও করেন। জেলাশাসক ও পুলিশকর্তারা আশ্বাস দিযেছেন, ওই দম্পতির নিরাপত্তার জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে।
 
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ওই যুবতী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বাঁকা জেলার মন্দার পর্বতে বেড়াতে যান। সেখানে তিন জন মেষপালক তাঁদের তুলে নিয়ে যায় একটি নির্জন জায়গায়। সেখানে ছেলেটিকে আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই তিন মেষপালক। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে আটকে রাখা হয় তাঁদের। ছেড়ে দেওয়ার আগে তাঁদের জিনিসপত্রও লুট করে ওই দুষ্কৃতীরা। পরে বরাহাট থানায় পৌঁছে ওই অভিযোগ জানান ওঁরা দু'জন।

Saturday, May 25, 2013

কারাগারে সঞ্জয়ের টিকিট বিলি!

মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগার থেকে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে যাওয়ার আগে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে সেখানকার কর্মচারীদের বিশেষ উপহার দিয়েছেন অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তাঁদের জন্য ‘পুলিশগিরি’ ছবির ৫০০ টিকিটের ব্যবস্থা করে গেছেন এ ‘মুন্নাভাই’ তারকা। 
সঞ্জয় দত্তকে ২১ মে দিবাগত রাতে আর্থার রোড কারাগার থেকে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গভীর রাতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হয় সঞ্জয়কে। ভোরে তাঁকে পুনে কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয়। 
আর্থার রোড কারাগার ত্যাগের আগে সেখানকার কর্মচারীদের বিনা মূল্যে ‘পুলিশগিরি’ ছবি দেখার ব্যবস্থা করে গেছেন সঞ্জয়। তাঁদের ছবিটি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ৫০০ টিকিট তিনি দিতে বলেছেন ছবির নির্মাতাদের। সঞ্জয় দত্ত ও প্রাচী দেশাই অভিনীত ‘পুলিশগিরি’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৫ জুলাই। জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।
এ প্রসঙ্গে ‘পুলিশগিরি’ ছবির সহপ্রযোজক রাহুল আগারওয়াল জানিয়েছেন, ছবিটিতে পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয়। তাঁর ইচ্ছে, আর্থার রোড কারাগারের কর্মচারীরা তাঁকে এই চরিত্রে দেখার সুযোগ পাক। সঞ্জয়ের অনুরোধ পাওয়ার পর তাঁদের বিনা মূল্যে ৫০০ টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে গত ২১ মার্চ সঞ্জয়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলায় আগে দেড় বছর কারাভোগ করায় তাঁকে আর সাড়ে তিন বছর সাজা খাটতে হবে।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী গত ১৬ মে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয়। প্রথমে তাঁকে আর্থার রোড কারাগারের ১০ নম্বর ব্যারাকের আন্ডা সেলে রাখা হয়েছিল। ছোট্ট এ কুঠরিতেই থাকতেন পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাসাব। ডিমের মতো দেখতে আট ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের এই কুঠরির অর্ধেকটা মাটির নিচে। তাই সেখানে ভালো করে আলো ঢোকে না। অন্ধকারাচ্ছন্ন আন্ডা সেলে রাখার পর থেকেই সঞ্জয়ের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। প্রথম দুই রাত তিনি একদমই ঘুমাতে পারেননি। সারা রাত জেগে ধর্মীয় বই পড়েছেন। 
আজমল কাসাবের ফাঁসি কার্যকর হলেও একটা সময় আর্থার রোডের এ আন্ডা সেলেই তাঁর সময় কেটেছে। বিষয়টি জানার পর সেখানে কোনোভাবেই থাকতে পারছিলেন না সঞ্জয়। আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি সেল পরিবর্তনের আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সেলে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে পুনে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

শুধু ভারতই নয়, পুরো এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দী ধারণক্ষমতা রয়েছে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগারের। কয়েদি হিসেবে সেখানে সঞ্জয় বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। কারাগারের একটি বিশেষ কুঠরিতে তিনি থাকবেন। সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া সঞ্জয়কে কারাগারে নির্দিষ্ট কিছু কাজও করতে হবে। তবে তাঁর জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে, এমন কোনো ঘটনায় নিরাপত্তা পাবেন তিনি। কারাগারে প্রত্যেক কয়েদিকেই পরিচয়-স্মারক হিসেবে পৃথক একটি নম্বর দেওয়া হয়। পুনের ইয়ারাওয়াড়া কারাগারের এমনই একটি কয়েদি নম্বর ১৬৬৫৬।  ‘খলনায়ক’ তারকা সঞ্জয় দত্তকে এ নম্বরটিই দেওয়া হয়েছে।

সুখ নেই মিসেস সেনের জীবনে!


সুখ নেই মিসেস সেনের জীবনে! কী করেই বা থাকবে, তাঁর স্বামী মিস্টার সেন যদি পরকীয়ায় মত্ত হন অন্য নারীর সঙ্গে। যৌবনের দারুণ দহন দিন তাহলে কীভাবে কাটাচ্ছেন মিসেস সেন? অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘মিসেস সেন’ কী চমক রেখেছে ভাঁড়ারে আমাদের জন্য? এক নিঃসঙ্গ বিরহকাতর নারীকে! কিন্তু সেই নারী ২০১১ সালের চারুলতার মতো অসহায় নন, স্বামীর খোঁজে ব্যতিব্যস্ত ৩ কন্যের অন্যতম অপর্ণাও নন।
 
মিসেস সেনের নামটা আসলে অনুরাধা; এমনিতে নরম-সরম হলেও তাঁর ভেতরে লুকিয়ে আছে এক যোদ্ধৃসত্ত্বা। এক চমৎকার সকালে তা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল।
 
সেদিনের সকালটা আর পাঁচটা দিনের মতই সাধারণ ছিল। অনুরাধা সেন-এর জীবনের গানে সব সুর যখন ঠিক ঠিক তারে বাঁধা পড়ছিল, ঠিক তখনই যেন তার কেটে গেল হঠাৎই। একটা ফোনেই বদলে গেল মিসেস সেনের মনের ঝলমলে রঙ, ধুয়ে গেল বাঁচা-মরার মাঝের বিভেদটিও। বিপদ ডেকে আনা সেই ফোনেই মিসেস সেন জানতে পারলেন প্রবাসে তাঁর স্বামীর দুর্ঘটনার কথা।
 
থাইল্যান্ডে কর্মসূত্রে থাকেন তিনি ওঁর থেকে অনেক দূরে! কিন্তু এলাকা, সময় বা দেশের থেকেও বেশি একটা দূরত্ব যে গ্রাস করেছিল তাঁর ও সোমনাথের সম্পর্ক, একথা মিসেস সেন ভাবতেই পারেননি। থাইল্যান্ডে তড়িঘড়ি পৌঁছে তারপর তিনি প্রথমবারের জন্য জানতে পারেন সোমনাথ ও ঋষিতার অবৈধ সম্পর্কের কথা। যথেষ্ট জটিল ব্যাপার-স্যাপার, স্বীকার করতেই হবে।
 
কলকাতায় তিনি দিন গোনেন স্বামীর ঘরে ফেরার, আর স্বামী সেই প্রতীক্ষা থেকে নিজেকে দিব্যি ভুলিয়ে রেখেছেন অন্য নারী সহবাসে? তাহলে কী পদক্ষেপ নেবেন মিসেস সেন? সেটা জানতে হলে করতে হবে সামান্য অপেক্ষা আর চোখ রাখতে হবে অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়-এর আপকামিং ছবি ‘মিসেস সেন’-এর দিকে।
 
মোটের ওপর, এই নিয়ে তিন-তিন বার অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই রসায়ন পুরনো হলেও ‘মিসেস সেন’ ছবি তুলে ধরছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে দর্শকদের ভাললাগা আরও এক পুরনো রসায়নকে। ছবিতে যে সোমনাথ চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন রোহিত রায়; এর আগে ‘ভোরের আলো’ আর ‘মিত্তল ভার্সেস মিত্তল’ নামের দুটো ছবি যিনি করে ফেলেছেন ঋতুপর্ণার সঙ্গে।
 
অন্যদিকে, আগের ছবি ‘৩ কন্যা’র মতোই এ ছবিতেও অভিনয় করছেন মুম্বইয়ের এক প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী। তাঁর নাম হৃষিতা ভট্ট। তিনিই এই ছবির দাম্পত্যে অপর নারী। শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই; ছবিটি প্রযোজনা করছে অগ্নিদেব চ্যাটার্জি ক্রিয়েশনস্।
   

স্ত্রীর যৌনাঙ্গে তালা দেওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড


ন্দেহের বশেই স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ভারি তালা ঝুলিয়ে রাখতেন সোহনলাল। বাড়ির বাইরে যতবার বেরোতেন ততবারই স্ত্রীর যৌনাঙ্গে তালা দিয়ে চাবিটা সঙ্গে নিয়ে বেরোতেন। কারণ, তাঁর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী যেনো পর পুরুষের সঙ্গে কখনওই যৌন সঙ্গে লিপ্ত হতে না পারেন। এভাবেই চলছিল বেশ কয়েক বছর। শেষ পর্যন্ত গত বছর ধরা পড়ে গেলেন।
 
বছর খানেক জেল হেফাজতে থাকার পর গতকাল শুক্রবার শাস্তি ঘোষণা হয়েছে বিচারাধীন বন্দি সোহনলালের। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অবনীন্দ্র কুমার সিংহ সোহনলালকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বলে এক ভারতীয় দৈনিকে জানানো হয়।
 
পেশায় গাড়ির মেকানিক সোহনলালের মানসিক বিকৃতি, সন্দেহপ্রবণতা, স্ত্রীকে অত্যাচারের ঘটনাকে বিচারক বিরল ও বিকৃত অপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন। রায়দানের সময় মাথা নীচু করেই সব শুনছিল সে। কিন্তু রায় ঘোষণার পর ভেঙে পড়ে সোহনলাল। তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৩৬ নম্বর ধারা (ইচ্ছাকৃতভাবে স্থায়ী আঘাত করা), ৪৯৮ ধারা (স্ত্রীর প্রতি হিংসাত্মক আচরণ) ইত্যাদিতে দোষীতে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
 
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর যৌনাঙ্গে তালা লাগানোর জন্য কয়েক বছর আগে সে গোপনে এক হাতুড়ে ডাক্তারকে দিয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে স্থায়ী অস্ত্রোপচার করায়। সেখানে এমনভাবে অপারেশন করানো হয় যাতে ভারি তালা ঝোলানো যায়। স্ত্রীর যন্ত্রণা, প্রতিবাদের কোনও মূল্যই ছিল না তার কাছে। প্রতিবাদ করলেই বিবাহ বিচ্ছেদের ভয় দেখাত সোনেলাল। পরে সেই জায়গায় একাধিকবার ক্ষত ও সেপটিক হয়ে যায়। কোনওক্রমে তা সারানো গেলেও গতবছর সোহনলালের স্ত্রী এরপর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে বাঁচাতে এম ওয়াই হাসপাতালে ভর্তি করেন সোহনলাল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তালা-চাবি খুলতে ভুলে যান।
 
চিকিৎসক সোহনলালের স্ত্রীর চিকিৎসা করার সময় হঠাৎই দেখেন প্রাইভেট পার্টসে লোহার মতো শক্ত কিছু ঠেকছে। সব শুনে আতঁকে উঠেন চিকিৎসক। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও হাসপাতাল সুপারকে সব জানান তিনি। জানা গিয়েছে, চার বছরধরেই স্ত্রীর গোপন অঙ্গে তালা ঝুলিয়ে নিত্যকর্ম সারতে বাইরে বেরোতেন গুণধর স্বামী সোনহলাল। পুলিশ হাসপাতালে এসে সব শুনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে ও সোহনলালকে গ্রেফতার করে।
 
যদিও স্বামীকে বাঁচাতে এবং পারিবারিক সম্মানের জন্য শুনানির সময় নিজের বয়ান থেকে কয়েকবার পিছপা হয়েছিলেন সোহনলালের স্ত্রী। কিন্তু চিকিৎসকদের বয়ান, মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট ও ছবি দেখে সোহনলালকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। জানা গিয়েছে, যোনিতে যাতে ব্যথা না করে সেজন্য ব্যথা কমাতে ডাক্তার দেখানোর বদলে স্ত্রীকে জোর করে অল্প অল্প আফিম খাওয়াতেন সোহনলাল। আফিমের নেশার ঘোরে যন্ত্রণা ভুলে থাকতেন তার অসহায় স্ত্রী।
   

পাকিস্তানি যৌনকর্মীর ভূমিকায় শ্রুতি হাসান!


বার এক পাকিস্তানি যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রুতি হাসান। এর আগে কেবল ‘গুড গার্ল’ ইমেজের চরিত্রেই দেখা গেছে এই মায়াবী চেহারা আর ‘টিএনএজ লুক’-এর শিল্পীকে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এই তথ্য জানা গেছে।
 
জানা গেছে, নিখিল আদভানি পরিচালিত ‘ডি-ডে’ ছবিতে ওই যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি হাসান। তার বিপরীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্টের ভূমিকায় থাকছেন অর্জুন রামপাল।
 
কোলাভেরি ডি গানসংলিত ‘থ্রি’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক আলোচিত হন শ্রুতি। দক্ষিণ ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি এরই মধ্যে ভিন্নধারার চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম কামিয়েছেন।
 
ছিপছিপে একহারা গড়নের শ্রুতি এই পর্যন্ত যত ছবিতে কাজ করেছেন, তার সব কটি চরিত্রই ছিল পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির। দর্শকও এসব চরিত্রে তাকে  গ্রহণ করেছে সাদরে। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো একটা চ্যালেঞ্জিং ও নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করলেন শ্রুতি।
 
এ রকম চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে শ্রুতি খুবই খুশি বলে জানিয়েছেন নিজের ব্লগ আর টুইটারে।
 
ছবিতে দেখা যাবে, পাকিস্তানে বিশেষ এক মিশন নিয়ে যায় ‘র’-এর এজেন্ট অর্জুন রামপাল। সেখানেই তিনি প্রেমে পড়েন যৌনকর্মী শ্রুতি হাসানের। এমনই গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ডি-ডে’ ছবিটি।
 
ডিএআর মোশন পিকচার্সের ব্যানারে ছবিটি আগামী ১৯ জুলাই মুক্তি পাবে।
   

ধোনীর গদি টালমাটাল


স্পট ফিক্সিং বিতর্কে জুয়াড়িরা তো আছেনই এরই মধ্যে ক্রিকেটার, কর্মকর্তা, দলের মালিক, বলিউড, টলিউড এমনকি বোর্ড কর্তাদের নাম বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এবার যিনি জড়ালেন তিনি খোদ ভারতীয় ক্রিকেট দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনীর স্ত্রী সাক্ষী।
 
যতোই দিন যাচ্ছে আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারীতে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। কিছুতেই যেন জট খুলছে না। বরং রহস্য আরও  ঘনিভূত হচ্ছে। একের পর এক বেরিয়ে আসছে তারকাদের নাম।
 
আইপিএলের মাঠের উত্তাপ এখন ঘরেও প্রবেশ করেছে। ধোনী পত্নী সাক্ষীর স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত হওয়ার খবর প্রকাশের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা চাপা ক্ষোভে ফুঁসছেন। অনেক ক্রিকেটারই এখন ধোনীর নেতৃত্ব মানতে নারাজ।
 
গত মঙ্গলবার বলিউড অভিনেতা বিন্দু দারা সিং গ্রেপ্তার হওয়ায় মিডিয়া পাড়ায় হইচই পড়ে যায়। বিন্দুকে রিমান্ডে নেয়ার পর বেরিয়ে এসেছে বেশ কিছু নতুন তথ্য। চেন্নাই সুপার কিংসের এক মালিকও নাকি স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত।
 
রিমান্ডে বিন্দু নাকি স্বীকার করেছেন, তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের এক মালিকের সঙ্গে ফিক্সিং নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতেন। সেই মালিকের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন এক ক্রিকেটারের স্ত্রী। আর তিনি হচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী।
 
আইপিএল চলাকালে গ্যালারিতে সাক্ষীর পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে বিন্দুকে।
 
এ প্রসঙ্গে বলিউডের এ অভিনেতা বলেন, ‘সাক্ষীর অনুরোধেই আমি তার পাশে বসতাম।’
 
পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে আরেকটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে। জয়পুরে শ্রীশান্ত যে মহিলাকে ফিক্সিংয়ের টাকা দিয়ে দামি মোবাইল উপহার দিয়েছিলেন তিনি সাক্ষীর বান্ধবী।

Thursday, May 23, 2013

বিয়ে করছেন সালমান?


বেশ কয়েকদিন ধরেই রোমানিয়ান টিভি উপস্থাপক ইউলিয়া ভ্যানটারের সঙ্গে বলিউডি অভিনেতা সালমান খানের রসায়ন নিয়ে সরগরম হয়ে আছে বলিউড। মিড-ডে জানিয়েছে, গোয়ায় নিজের পরবর্তী সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে এই প্রেমিকার সঙ্গেই অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন সালমান! শুধু তাই নয়, সালমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি অনুযায়ী, ইউলিয়াকে বিয়ের কথাও চিন্তা করছেন তিনি!
বলিউডের সবচেয়ে ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’ হিসেবে পরিচিত সালমান তার এই নতুন সম্পর্কটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বলে জানিয়েছে সূত্র। গোয়ায় একত্রে তাদের সময় খুবই ভালো কাটছে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সূত্রের ভাষ্য, “দুই বছর ধরে সালমানের জীবনে এসেছেন ইউলিয়া; যদিও এ ব্যাপারে এতদিন কাউকে জানতে দেননি তিনি। এখন এই প্রেমকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন সালমান। আর তাই কাছের মানুষদের সঙ্গে ইউলিয়াকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন নিজের প্রেমিকা হিসেবে। সালমানের ঘনিষ্টদের সবাই-ই এখন তার জীবনে ইউলিয়ার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন। এমনকি, সবাই এখন তাকে বিয়ের পরামর্শও দিচ্ছেন। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিলেও এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলছেন না তিনি।”

Wednesday, May 22, 2013

মাত্র ২০ সেকেন্ডে মুঠোফোন চার্জ!


যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী এমন বিস্ময়কর এক যন্ত্রাংশ তৈরি করেছেন, যা দিয়ে একটি মুঠোফোন মাত্র ২০ সেকেন্ডে পুরোপুরি চার্জ করা সম্ভব।
‘ডেইলি মেইল’ আজ সোমবার জানায়, আবিষ্কারক এশা খার গত সপ্তাহে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স এলাকায় অনুষ্ঠিত ইনটেল ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ারে পুরস্কার জিতেছেন। অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর সায়েন্স অ্যান্ড পাবলিক প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করেনি এমন তরুণ-তরুণীরাই কেবল এতে অংশ নিতে পারে।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় এশা রসায়নে গবেষণার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিযোগিতার দুজন রানার আপের মধ্যে তিনি অন্যতম। প্রায় ৭০টি দেশের এক হাজার ৬০০ প্রতিযোগীর মধ্যে তিনি নিজের জায়গা করে নেন। এতে তিনি নগদ ৫০ হাজার ডলারও (প্রায় ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা) জেতেন।
এশার মা রিনা খার ‘সিবিএস সানফ্রানসিসকো’ পত্রিকার অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না। অবিশ্বাস্য।’ বাবা মনোজ খার বলেন, ‘ঘটনাটি দারুণ।’
এশার তৈরি যন্ত্রটি একটি সেলফোনের ব্যাটারির ভেতরে পুরে দেওয়া যায় এবং এটি কার্যকর থাকলে ব্যাটারিটি ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে চার্জ হয়ে যাবে।
এশা বলেন, ‘আমার প্রকল্পে আমি একটি নতুন সুপার ক্যাপাসিটর তৈরি করেছি। কার্যত, এটি এমন এক ধরনের চার্জধারক, যা বিপুল চার্জকে ছোট একটি পরিসরে ধারণ করতে পারে।’ তাঁর প্রযুক্তিটি গাড়ির ব্যাটারির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে।
এশা জানান, তিনি পুরস্কারের অর্থে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবেন এবং সেখানে গবেষণা চালিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল এশার যন্ত্রটির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে।
এখন পর্যন্ত এশা তাঁর সুপার ক্যাপাসিটরটি একটি আলো বিচ্ছুরণকারী ডায়োটে (এলইডি) ব্যবহার করেছেন। তিনি এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘সব সময়ই আমার মুঠোফোনের চার্জ ফুরিয়ে যেত।’ এ থেকেই তিনি নতুন কিছু উদ্ভাবনের কথা ভাবেন।

প্রেমের টানে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী..


চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে প্রেমের টানে ভারতীয় এক তরুণী বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাকে আটক করে। সোমবার বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও  বিজিবি সূত্রে  জানা যায়, ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার পদ্মমালা গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে কাজলী (২৫) প্রেমের টানে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মালেকের বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মুন্সিপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা কাজলীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার দুপুর ১টায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দামুড়হুদার মুন্সিপুর সীমান্তের ৯৩ নং মেইন পিলারের কাছে দু’দেশের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে কাজলীকে বিএসএফের হাতে হস্তান্তর করা হয়।


পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মহাখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেকটর বিজয় পাল সিং। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবির মুন্সিপুর কোম্পানী কমান্ডার শফিকুল ইসলাম।


গ্যাসের চাপে সাত ফুট চূড়ায় ভবন

রাজধানীর জোয়ার সাহারায় গ্যাসের চাপে পাইলিং থেকে সাত ফুট উপরে উঠে গেছে নির্মাণাধীন একটি ভবন। তবে বেইজমেন্ট কিংবা ভিমে আপাতত কোনো ফাটল বা হেলে পড়ার চিহ্ন নেই।

 স্থাপত্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পঁচনশীল আবর্জনা দিয়ে খাল ভরাট করে ভবনটি নির্মাণ করায় অতিমাত্রায় গ্যাসের চাপে ভবনটি উপরে উঠে গেছে। গ্যাস সরে গেলে ভবনটি যেকোনো সময় হেলে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

 ভবনটি হঠাৎ বিকট শব্দে উপরে উঠে পড়েছে। পাইলিং এর রড এবং কংক্রিটও উঠেছে কয়েক ফুট উপরে। এতে মূল রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে প্রবেশ পথ।

 স্থাপত্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ভবনটির নিচ থেকে জমে থাকা গ্যাস সরানো না গেলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

 ভবনটি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার দান করা জমিতে ওয়াকফ হিসেবে ২০১০ সাল থেকে মসজিদ এবং মাদ্রাসা নির্মাণ করা হচ্ছিল।  

কর্ণাটকে রাজ্যভাষার মর্যাদা পেল ‘বাংলা’


এবার কর্ণাটক সরকারও ওই রাজ্যের বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকায় বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। কর্ণাটকের বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে বাংলা পড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
আগে সেখানে বাঙালিদের কন্নড়, হিন্দি ও ইংরেজি শেখার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলা শেখার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তাই রাজ্য সরকার বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকার বিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। যদিও ৪২ বছর ধরে বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকার বাঙালিরা বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্য মূলত বাংলা ভাষাভাষীদের। এ ছাড়াও বিহার, ঝাড়খন্ড, আসাম, মেঘালয়, উত্তর প্রদেশ, ওডিশা, ছত্তিশগড় রাজ্যেও প্রচুর বাঙালির বাস। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার প্রধান ভাষা হলো বাংলা। এরপর ঝাড়খন্ড রাজ্য বাংলাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিল।

তিন কোটি টাকায় বিক্রি হলো কবুতর!

চার লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে ‘বোল্ট’ নামের একটি দ্রুত গতিসম্পন্ন কবুতর। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় তিন কোটি ১২ লাখ টাকা। নিলামকারী ওয়েবসাইট পিপা সূত্রে এ কথা জানা যায়।
পিপার কর্মকর্তাদের দাবি, চীনা এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা বেলজিয়ান এই কবুতর এযাবত্কালের সবচেয়ে দামি কবুতর।
পিপার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকোলাস গাইসেলব্রেখট বলেন, ‘কবুতরটির দাম দেখে আমি হতবাক!’
এটি অসম্ভব দ্রুত গতির এক রেসিং কবুতর। তার ওড়ার গতির সঙ্গে বিজলির চমকের তুলনা করা হয়। এ জন্য খ্যাতনামা দৌড়বিদ উসাইন বোল্টের নামানুসারে নাম রাখা হয়েছে ‘বোল্ট’। 
ওই চীনা ব্যবসায়ী বোল্টের মাধ্যমে এই প্রজাতির কবুতরের বংশবিস্তার করাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যে ১৬ হাজার ইউরোতে একটি ‘রেসিং কবুতর’ বিক্রি হয়েছিল। সেটিও কিনে নিয়েছিলেন এক চীনা ব্যবসায়ী। বিবিসি, ফক্সনিউজ অনলাইন।

Friday, May 17, 2013

প্রতিদিন ২৫ রুপি আয় করবেন সঞ্জয়!

স্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত বলিউডি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুনের ইয়েরাওয়াড়া জেলখানায় সাড়ে তিন বছর বন্দী থাকতে হবে তাঁকে। তবে জেলের চার দেয়ালের ভেতর অলস বসে থাকতে নারাজ এ তারকা অভিনেতা। সেখানে রান্নার কাজ করতে চেয়ে আবেদনও করেছেন। এই দায়িত্ব পালন করলে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতিদিন তিনি পাবেন ২৫ রুপি।
ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে কাঠমিস্ত্রি, শতরঞ্জি কারিগর ও বাবুর্চি হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। সেগুলো থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবেন সঞ্জয়। কাজে দক্ষতা দেখাতে পারলে তাঁর দিনপ্রতি আয় ২৫ থেকে বেড়ে ৫০ রুপি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’।
এদিকে জানা গেছে, কারাগারে পরীক্ষামূলকভাবে টেলিফোন ব্যবহারের সুবিধা দিতে যাচ্ছে ইয়েরাওয়াড়া জেল কর্তৃপক্ষ। এর ইনচার্জ করা হতে পারে সঞ্জয়কে। এ ছাড়া, প্রতি মাসে সঞ্জয়কে দেড় হাজার রুপি দেওয়া হবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। কারাগারে বন্দী অবস্থায় প্রতি মাসে সর্বোচ্চ পাঁচজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন সঞ্জয়। তবে তাঁদের সঙ্গে ২০ মিনিটের বেশি কথা বলতে পারবেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে গত ২১ মার্চ সঞ্জয়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলায় এরই মধ্যে তিনি দেড় বছর জেল খেটেছেন। এ জন্য তাঁকে আর সাড়ে তিন বছর সাজা খাটতে হবে।

Tuesday, May 14, 2013

শর্ত ছাড়াই সংলাপে রাজি খালেদা জিয়া

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি চান তিনি।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ মনোভাব ব্যক্ত করেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে এ বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি সেখানে অবস্থান করে। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায়ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির এমন একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলেই কেবল এ সংকটের সমাধান হতে পারে।
এ অবস্থায় অস্কার ফার্নান্দেজ অনুরোধ করেছেন, নির্দলীয় সরকারের শর্ত বাদ দিয়েই যেন খালেদা জিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁর মতে, আলোচনা একবার শুরু হলে সমাধানের একটা পথ বেরিয়ে আসবে। তা ছাড়া জাতিসংঘ বিষয়টির ওপর নজর রাখবে।
জবাবে খালেদা জিয়া কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনার চিঠি পেলে সাড়া দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিনি এ-ও বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তুতে যাতে নির্দলীয় সরকারের প্রসঙ্গটি থাকে। তিনি বলেন, এটা তাঁর অনুরোধ, পূর্বশর্ত নয়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছেন খালেদা জিয়া।
শমসের মবিন বলেন, আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে, আলোচনা চলছে, চলবে। বিরোধীদলীয় নেতা জাতিসংঘের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবকে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে, সংকটের নিষ্পত্তি হবে।’
একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা দুই দফায় বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলেন। প্রথম দফায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান ও ওসমান ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন। আর সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের অন্য প্রতিনিধিরা ছিলেন। দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়া ও অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো একান্তে আলোচনা করেন।

সোনায় বাঁধানো শচিন


এবার সোনার মুদ্রায় জায়গা পেলেন ভারতের মাষ্টার ব্লাষ্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। ভ্যালুমার্ট নামে একটি জুয়েলারি কোম্পানি টেন্ডুলকারের ছবি ও স্বাক্ষর সংবলিত একটি মুদ্রা বাজারে ছেড়েছে। মুদ্রার এক পাশে টেন্ডুলকারের ছবি ও অন্যপাশে তার স্বাক্ষর রয়েছে।
 
মুদ্রাটির মোড়ক উন্মোচনের জন্য সোমবার এক জাকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভ্যালুমার্ট জুয়েলারি কোম্পানিটি। আর তাতে উপস্থিত ছিলেন টেন্ডুলকার নিজেই। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘অক্ষয় তৃতীয়া’ নামে একটি ধর্মীয় দিন উপলক্ষে মুদ্রার মোড়ক উন্মোচন করেন টেন্ডুলকার।
 
২৪ ক্যারেটের এই মুদ্রার ওজন ১০ গ্রাম। প্রাথমিকভাবে এক লাখ মুদ্রা বাজারে ছেড়েছে জুয়েলারি কোম্পানিটি। এটি যে কেউ ক্রয় করতে পারবে। তবে এটি ক্রয় করতে হলে গ্রাহককে গুনতে হবে ৩৪ হাজার টাকা।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে টেন্ডুলকার বলেন, ‘মাঠে আমার অনেক সোনালি মূর্হুত আছে। অনেক স্মৃতি খুবই চমৎকার। কিন্তু এটি অন্যধরনের সুন্দর। এখানে আসার পর সবাই আমাকে ‘অক্ষয় তৃতীয়া’র শুভেচ্ছা জানিয়েছে। কারণ এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।’
 
টেস্ট ও ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের মালিক টেন্ডুলকার আরও বলেন, ‘আমি স্বর্ন ক্রয় করতে পছন্দ করি। গলায় স্বর্ন থাকলে দারুন লাগে এবং কিশোর বয়স থেকেই আমি তা পরে আসছি। আর খেলোয়াড়দের কাছে স্বর্ন সবসময়ই খুব প্রিয়। তার উপযুক্ত প্রমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। তারা অনেক বেশি স্বর্ন ব্যবহার করে গলায় ও হাতে।

Sunday, May 12, 2013

কিশোরীর প্রথম.....


  তেরো -চৌদ্দ বছর বয়সের একজন কিশোরীর অনেক সমস্যা থাকে। এসব সমস্যার মধ্যে এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো লজ্জায় বলা হয়ে ওঠে না। যৌবনপ্রাপ্তির বয়সে শারীরিক কিছু পরিবর্তন সূচিত হয়, যার ফলে শরীরে মিনস্ট্রুয়শন শুরু হয়। মিনস্ট্রুয়েশন, মাসিক, ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এগুলো সবই সমার্থক শব্দ। একটি মেয়ের পিরিয়ড শুরু হওয়া মানেই সে গর্ভধারণের যোগ্য। হঠাৎ করে পিরিয়ডের আবির্ভাবে কিশোরীর মনে ভয় লাগতে পারে। বস্তুত এগুলো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং জীবনধারারই অঙ্গ।

জীবনের প্রথম পিরিয়ডটি খুব বেশি সংক্ষিপ্ত কিংবা দীর্ঘ হবে। প্রথমদিকে পিরিয়ডে কিছুটা অনিয়ম দেখা দিতে পারে। অনেক সময় কয়েক মাস পরেও পিরিয়ড শুরু হতে পারে। ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে পিরিয়ড নিয়মিত অর্থাৎ প্রতি ২৮ দিন পরপর দেখা দেয়। তবে ৩ থেকে ৫ সপ্তাহের মধ্যে পিরিয়ডের উপস্থিতিকে স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া হয়।

অনেক সময়ে ঠিক একইভাবে রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রেও তারতম্য দেখা দেয়। পিরিয়ডের রক্তক্ষরণ ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়। তবে ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত রক্তক্ষরণকেও স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায়। এ ব্যাপারে জনে-জনে ব্যতিক্রম লক্ষণীয়। পিরিয়ডের এই রক্তের রং প্রথম দিন লালচে থাকে, পরবর্তী দিনগুলোতে তা বাদামি বর্ণ ধারণ করে।
এই রক্তে থাকে জরায়ুর একটি স্তর, জরায়ুমুখ থেকে নিঃসরিত তরল, জরায়ুস্তরের মৃত কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর উপস্থিতির ফলে এর একটি বিশেষ দুর্গন্ধ রয়েছে। পিরিয়ডের জন্য মোটামুটিভাবে ৩৫ থেকে ৪৫ মি.লি.রক্ত হারাতে হয়। এই রক্তের পরিমাণ ৫মি.লি. থেকে ৪০মি.লি.পর্যন্ত হতে পারে। এতে রক্তের আয়রন কমে যায়। আয়রনের এই ঘাটতি গড়ে প্রতিদিন ০.৫-০.৭ মি. গ্রাম আয়রন মাসজুড়ে হারানোর সমান। প্রায় ৫০ ভাগের বেলায়ই পিরিয়ডের রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এটিও স্বাভাবিক।

অন্য অসুবিধাগুলো

পিরিয়ড চলাকালীন কিছু কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া হয়। অস্বস্তি এবং বিষন্নতা পেয়ে বসে এ সময়ে। তলপেট এবং পিছনে ব্যথাও হতে পারে।
পিরিয়ড শুরুর আগে যে সমস্যা দেখা যায়

শরীর অবসন্ন ভাব, ক্লান্তি ম্যাজম্যাজে অনুভূতি, বিষণœতা, উত্তেজনা, বিরক্তি, মাথাব্যথা, স্তন ভারি বোধ করা ও ব্যথা, অমনোযোগ ইত্যাদি উপসর্গ পিরিয়ড শুরু হওয়ার ২/৩ দিন আগে থেকে দেখা দিতে পারে। অনেকের বেলায় বমি-বমি ভাব, বমি ও তলপেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। চোখের নিচে কালো ছায়া পড়তে পারে। মুখে, পিটে, বুকে ব্রণের মতো স্পট দেখা দিতে পারে।

যে ব্যবস্থা নিতে হবে  

পিরিয়ড হওয়া মেযেদের একটি অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। এ সময়ে উদ্ভুত শারীরিক সমস্যাকে মেনে নিতে হবে, স্বাভাবিক জীবন-যাপনে নিজেকে অভ্যস্ত করতে হবে।
পিরিয়ডের সময়ে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজনে এই প্যাড বদলে দিতে হবে।


এ সময়ে অপরিষ্কার কোনো কিছু প্যাড হিসাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। পরিচ্ছন্ন নরম কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে ইস্ত্রি করে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ সময়ের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্যই এগুলো করা প্রয়োজন।
অনেকে পিরিয়ডের শেষে মাসিকের পথ পরিষ্কার করে থাকেন। এগুরো করা ঠিক নয়। এতে এবং ক্ষতি হয় বরং মাসিকের পথ নিজেই নিজের যত্ন নিতে সক্ষম।এ জন্য বাড়তি কিছু দরকার নেই।
এ ছাড়া বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ডিওডরেন্ট ও উক্ত স্থানে ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে স্থানীয়ভাবে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।


পিরিয়ডের সময় বা আগে তলপেটে ব্যথা ও বমি হলে ট্যাবলেট বিউটাপ্যান/নস্পা/ হাইসোমাইড/ বাসকোপ্যান ইত্যাদি ১টা করে দিনে ৩ বার  ৩/৪ দিন খাওয়া যেতে পারে।এ ছাড়া ব্যথা বেশি হলে ট্যাবলেট ডাইক্লোফেনাকসোডিয়াম- যেমন ডাইক্লোফেন/ ক্লোফেনাক/ আলট্রাফেন ৫০ মি.গ্রাম করে দিনে ২ বার ভরাপেটে ৩/৪ দিন খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট ১টা খাওয়ার পর খেতে হবে।


অনেকে এ সময়টাতে শুয়ে কাটাতে চায়। এটাও ঠিক নয়। এ সময়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখা উচিত। এমনকি খেলাধুলা পর্যন্তও করা যায়।


আবার কেউ কেউ নিজেকে খুব অপরিচ্ছন্নভাবে। ফলে বারবার গোসল করে, চুল পর্যন্ত ধুয়ে ফেলে। এসব বাড়তি ঝামেলার কোনোই দরকার নেই আসল কথা হচ্ছে পিরিয়ডের ব্যাপারটিকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে নিজেকে সাহসী করে তুলতে হবে। কারণ, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটি একটি স্বাভাবিক এবং কাঙ্খিত ব্যাপার।

একজন মেয়ে কখন সবচেয়ে বেশী কষ্ট পায়


কজন মেয়ে কখন
সবচেয়ে বেশী কষ্ট পায়
জানেন???
-
-
- -
-
-
-
-
যখন দেখে তার নতুন কেনা কাপড়টার মত একই
কাপড় মহল্লার
অন্য বাড়ির কাজের
মেয়ের গায়ে :
ল্যাও ঠ্যালা ..... 

পাগলের কবলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মঞ্চে বসা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন। আর এ সময়ই ঘটে গেল বিপত্তি। মঞ্চে দৌঁড়ে উঠলেন ফুলবাড়িয়ার আলোচিত গোল্লা পাগল (৪২)। ঝাপটে ধরলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পা। বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়লেন তিনি। এ সময় পাগল তাঁকে বললেন, ‘আমার খাস জমি চাই।’ পরক্ষণে হাসি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় ফুলবাড়িয়া থানার নবনির্মিত থানা ভবন উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে এ অবাক কাণ্ড ঘটে।

এ ঘটনা দেখে অনুষ্ঠানের অন্য অতিথিরাও প্রশ্ন তুললেন, এতো নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে এ পাগল মঞ্চে উঠলো কীভাবে?’

বিস্ময়ভরা চোখে সবাই যখন এ বিষয়টি দেখছিলেন ঠিক তখনই দৌঁড়ে এলো পুলিশ। জোরপূর্বক পাগলকে নিয়ে গেল থানা হাজতে।


স্থানীয় পুলিশের দায়িত্বহীনতার এমন ঘটনায় মঞ্চে উপস্থিত ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জোবায়েদুর রহমান ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ভূইয়ার ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ভূইয়া জানান, ‘গোল্লা পাগলকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহাজোটের শরীক ফুলবাড়িয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ফুলবাড়িয়া পুলিশ কেমন দায়িত্ব পালন করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের চোখেই আজ দেখে গেলেন। আজ যদি এখানে কোন অঘটন ঘটতো তখন পুলিশ হয়তো চেয়ে চেয়ে দেখতো।’

অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত দৈনিক প্রভাতের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রধান নাজমুল হুদা মানিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ সাংবাদিকদের সরিয়ে দিলেও পাগলকে সরাতে পারেননি। এটি পুলিশের দায়িত্বহীনতার স্বাক্ষী।

চার চাকার চক্করে

মোটরবাইকের দামে চার আসনের প্রাইভেট গাড়ি! সেই গাড়ি আবার চলবে নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়ির চেয়ে বেশি গতিতে! কিন্তু জ্বালানি খরচ হবে কম! কী অবিশ্বাস্য ব্যাপার!
এমন অবিশ্বাস্য এক কাজকেই সম্ভব করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পাঁচ তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী। যন্ত্রকৌশল বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়ুয়া এই মেধাবীরা হলেন নাহিয়ান বিন হোসেন, তাউসিফ আহমেদ, ইয়াসিন আলী, বখতিয়ার উদ্দিন ও শরফ শাহরুল হক। তাঁরা ‘নাইপটা-৮’ নামের এক গাড়ির মডেল উদ্ভাবন করেছেন।
এই উদ্ভাবন তাঁদের জন্য বয়ে এনেছে গৌরব ও স্বীকৃতি। বুয়েট ও জাইকার আয়োজিত ‘ইকোরান বাংলাদেশ ২০১৩’ শীর্ষক এক প্রতিযোগিতায় নাইপটা-৮ অর্জন করেছে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার। মাস দুয়েক আগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, এমআইএসটি ও আইইউটি থেকে অংশগ্রহণ করা ১৪টি দলের মধ্যে বুয়েটের এই দল অর্জন করে সেরা পুরস্কার। রানারআপ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে চুয়েট। আর প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে রুয়েট।
স্বপ্নবান এই পাঁচ তরুণ খুব সংগত কারণেই এখন ভীষণ আশাবাদী। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁদের এই সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হবে বাংলাদেশের গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। অচিরেই হয়তো এই প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি করবে এমন সব গাড়ি। কেননা, নাহিয়ানেরা মনে করছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত এই গাড়ির রয়েছে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য, যা গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই আকৃষ্ট করবে। কী সেসব বৈশিষ্ট শোনা যাক তাঁদের মুখেই।
‘প্রথমত, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এখন আমরা কমবেশি সবাই জানি যে জ্বালানি বেশি খরচ হওয়ায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আমাদের এই গাড়িতে যেহেতু কম জ্বালানি ব্যয় হবে, তাই পরিবেশের ক্ষতি হবে কম। পরিবেশবান্ধব এমন গাড়ি তাই জনপ্রিয় হওয়া স্বাভাবিক।’ বলছিলেন নাহিয়ান। তাঁকে সঙ্গ দিতে কথা শুরু করলেন নাহিয়ানের সহপাঠী তাউসিফ, ‘আমাদের এই গাড়ির বডি তৈরি করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিলের ফাঁপা পাইপ দিয়ে। চেসিস তৈরিতে অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গ্যালভানাইজিং মাইল্ড স্টিল। এসব উপাদান আমাদের দেশে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় বলে এই গাড়ির উৎপাদন খরচ হবে কম। আর ইঞ্জিন হিসেবে যেহেতু ব্যবহার করা হয়েছে মোটরবাইকের ইঞ্জিন, তাই জ্বালানি খরচ হবে কম। কিন্তু ঘণ্টায় অন্যান্য গাড়ির তুলনায় এই গাড়ি পাড়ি দেবে বেশি পথ।’
নিজেদের উদ্ভাবিত গাড়ির গুণাগুণ বর্ণনা করছেন তাঁরা। আমরা মুগ্ধ শ্রোতা। আমাদের মুগ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়ে তাউসিফ আবার বলতে শুরু করেন কীভাবে রাত-দিন একাকার করে তাঁরা এই মডেল দাঁড় করিয়েছেন। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট—এসব নিত্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাঁরা পড়ে ছিলেন ল্যাবরেটরিতে। এক বন্ধু বংশাল গেছেন মডেলের উপাদান সংগ্রহ করতে তো আরেক বন্ধু গেছেন ধোলাইখাল। এক বন্ধু গবেষণাগারে তো আরেক বন্ধু স্যারের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করতে। এভাবেই টানা দেড় মাস। ইয়াসিন বলছিলেন, ‘বৃহস্পতি ও শুক্রবার আমাদের ক্লাস থাকে না। তাই এই দুই দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি আমরা ল্যাবে কাজ করতাম।’ ইয়াসিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বখতিয়ার বললেন, ‘ভুলে গেলি, অনেক দিন রাত ১০টা পর্যন্তও কাজ করেছিলাম।’
না, সেসব দিনের কথা ভোলেননি তাঁরা। ভোলেননি এই প্রকল্পের কাজে সহায়তাকারী তিন শিক্ষকের কথাও। ‘মনন মাহবুব স্যার, এহসান স্যার ও মামুন স্যারের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। স্যাররা সর্বাত্মক সাহায্য না করলে আমাদের সফল হওয়া সম্ভব হতো না।’ বলছিলেন শরফ শাহরুল।
এখন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা আশা করেন এই পাঁচ স্বপ্নবান তরুণ। তাঁরা বিশ্বাস করেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশকে আর উচ্চমূল্যে কর দিয়ে বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করতে হবে না। দেশেই তৈরি হবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উন্নত মানের গাড়ি। একদিন বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় ছুটে চলবে নাইপটা-৮।

Saturday, May 11, 2013

কুনমিংয়ে বাংলাদেশের নতুন মিশন কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজী


চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ নতুন মিশন খুলেছে বলে সূত্রে জানা গেছে। আর মিশন প্রধান (কনসাল জেনারেল) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচিত নারী কর্মকর্তা শাহনাজ গাজীকে। যিনি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলস-এ ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সেই শাহনাজ গাজী, যাকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিলকে জড়িয়ে শাহনাজ গাজীকে নিয়ে ২০১১ সালে যে বিতর্ক হয়েছিল, তার জের গড়িয়েছিল বহুদূর। মাহবুবুল হক শাকিল ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তবে শাহনাজ গাজী ছিলেন বহাল তবিয়তে। ওই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা শাহনাজ গাজীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস মিশনের গুরুত্বপূর্ণ ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল।


সর্বশেষ কুনমিংয়ের কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে শাহনাজ গাজীকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেওয়া হলো বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকেই মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে যে আপোসহীন কুনমিং মিশনের নিয়োগ তারই প্রমাণ।


সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, এই নিয়োগের মাধ্যমে কার্যত এটাই প্রমাণ হলো যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় মাহবুবুল হক শাকিল ও শাহনাজ গাজীকে নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছিল তা কেবলই মুখরোচক আলোচনা। অবশ্য শাহনাজ গাজী নিজেও বিষয়টিকে ¯্রফে মিডিয়ার গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। যদিও ওই বিতর্কের জেরে সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুল হক শাকিল বেশ বেকায়দায় পড়েন বহুদিন। মিডিয়ার সমালোচনার মুখে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব ছেড়ে দেন। অবশ্য নিরবে নিভৃতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা লেখা থেকে শুরু করে আরও অনেক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এক পর্যায়ে নিজ যোগ্যতায় আবার ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হয়ে।

   

স্বপ্নের চরিত্রে হৃতিক


বিশ্বের প্রায় সব অভিনেতার স্বপ্নের চরিত্র হ্যামলেট। অনেক অভিনেতাই এই চরিত্রে অভিনয় করতে পারলে নিজের অভিনয় ক্যারিয়ারকে ধন্য মনে করেন। এবার সেই অপূর্ব সুযোগটিই এসেছে ঋত্বিক রোশনের সামনে। কিংবদন্তি ইংরেজ সাহিত্যিক উইলিয়াম শেকসপিয়ারের বিখ্যাত ‘হ্যামলেট’ উপন্যাসের নাম ভূমিকায় এবার অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।
 
ছবিটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করছেন তিগমানশু ধুলিয়া এবং প্রযোজনা করবেন গোলডি বেহল। এরই মধ্যে ঋত্বিকের সঙ্গে এ বিষয়ে সব কথা শেষ করেছেন তিগমানশু।
 
আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের মাঝামাঝি ছবিটির শ্যুটিং শুরু হবে। তবে ছবিতে ঋত্বিকের বিপরীতে আর কে কে অভিনয় করবেন তা এখনো ঠিক করা হয়নি। 
 
জানা যায়, এ নিয়ে সম্প্রতি ঋত্বিক ও তিগমানশুর মধ্যে একটি বৈঠক হয়। তিগমানশু ঋত্বিককে হ্যামলেট চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তা সাদরে লুফে নেন। ছবির চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে ভারতের গ্রামীণ আবহে, যা ঋত্বিকের খুবই পছন্দ হয়েছে।
 
তবে ঋত্বিক বর্তমানে সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘ব্যাং ব্যাং’ ও করন মালহোত্রার ‘শুদ্ধি’ ছবির শ্যুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরপরই তিনি মনোযোগ দিতে চান হ্যামলেট চরিত্রটির দিকে। অবশ্য এ বিষয়ে ঋত্বিক, তিগমানশু কিংবা গোলডি কোনো মন্তব্য করেননি। 
 
উল্লেখ্য, এর আগেও ঋত্বিককে নিয়ে ‘হ্যামলেট’ ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০০১ সালে তারসেম সিংয়ের পরিচালনায় লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে তা আলোর মুখ দেখেনি।
   

কুয়াকাটায় নববধূ ধর্ষণ: ম্যানেজার গ্রেপ্তার

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল উদয় অস্তে এক পর্যটক নববধূ (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনা সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ধর্ষক বাপ্পি মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে আরেক ধর্ষক হোটেল বয় বিধান মজুমদার সুমন পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।


কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে এক পর্যটক দম্পতি কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে হোটেল উদয়-অস্তের ১০ নম্বর কক্ষে ওঠেন। শনিবার ভোর রাতে নববধূর স্বামী বাইরে বের হলে হোটেল ম্যানেজার বাপ্পি মোল্লা ও হোটেল বয় বিধান মজুমদার  সুমন ওই কক্ষে প্রবেশ করে তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।

এরপর ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে ধর্ষকরা ভয় দেখিয়ে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে বাকেরগঞ্জ পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মোটরসাইকেল চালক কৌশল করে তাকে বাকেরগেঞ্জ না নিয়ে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় তার স্বামী মো.সবুজ মাতুব্বর খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আসে এবং তারা পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানায়।

পুলিশ তাৎক্ষণিক হোটেল উদয় অস্তে অভিযান চালিয়ে হোটেলের ম্যানেজার কুয়াকাটার আজিমপুর গ্রামের শামসুল হক মোল্লার ছেলে বাপ্পি মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এর সঙ্গে জড়িত একই হোটেলের বয় পটুয়াখালী সদর থানার ভায়লা গ্রামের সতিশ মজুমদারের ছেলে বিধান মজুমদার সুমন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় মন্ডল বলেন, ‘কুয়াকাটা পুলিশের তদারকিতে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষক দু’জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মামলা করেছে।’

রেশমার মিরাকল এবং মুন্নী সাহার সস্তা সাংবাদিকতা


রেশমা বেচে গেল এই যাত্রায়! ১৭ তম দিনে এই বেচে থাকা খোদার কোন বিরল দৃষ্টান্ত ছাড়া আর কিছু না। সতেরতম দিনে জীবিত! আমার মনে হয় গত বছরখানেকে এর চাইতে ভাল কোন খবর কোথাও দেখিনি। মানুষের জীবনের আকাঙ্খা কত প্রবল হতে পারে, বেচে থাকার ইচ্ছা মানুষকে অসাধ্য সাধন করাতে পারে আর খোদার অপূবর্ মিরাকল তো আছেই!
রেশমার বেচে থাকাটা যে কত বড় মিরাকল তা না বল পারা যাবে না। সারা দুনিয়ার নিউজ মিডিয়াতে এটা এখন ব্রেকিং নিউজ। সবখানে। Reshma is the greatest survivor of all time. শুনেছি, বেজমেন্ট আর ২ তলার মাঝামাঝি কোন জায়গায় একটা বড় পকেটে সে ছিল আর কিছু খাবার দাবার পেয়েছিল আশেপাশে। এটাও শুনলাম, ওই জায়গায় একটা মসজিদও নাকি ছিল। রেশমার বেচে থাকা আসলে আমাদের আশার বানী। চিন্তা করে দেখুন, ১০৪৩ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে, বেচে থাকার কোন আশাই আর ছিল না কারো, ঠিক তখনই রেশমা এসে জানিয়ে গেল আমরা যেন আশা না হারায়। এখনও অনেক কিছু আছে।
আর এই রেশমার বেচে থাকা নিয়ে এটিএন বাংলার মুন্নী সাহার সস্তা সাংবাদিকতাও দেখলাম। তার চিরচারিত অবান্তর প্রশ্নের ঝুলি। এমন সাংবাদিকতা কোথায় শিখেছে সে? তার উতপত্তি কোথা থেকে? সে তো আগে C গ্রেডের সাংবাদিক ছিল আর এখন, ধান্ধাবাজি করে হয়ে গেছে বড় সাংবাদিক! সাংবাদিকতার কিছু জানে কিনা সন্দেহ আছে। সাংবাদিকতার সে কলঙ্ক। রেশমাকে সে প্রশ্ন করে “কাপড় ছিল”? “খাবার কোথা থেকে আসছে”? “আসলেই তো” । এই ধরনের প্রশ্ন। চিন্তা করে দেখুন! এই ধরনের সাংবাদিকদের ঘাড় ধরে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়া উচিত এবং এমন কোন সার্টিফিকেট দেয়া উচিত যাতে সে আর জীবনে কোথাও সাংবাদিকতা করতে না পারে। সে নিজেকে অনেক স্মাটর্ মনে করে, কিন্তু আদপে সে একটা ছাগল ছাড়া আর কিছু না। এবার সবাই মিলে পিটিশন করে মুন্নি সাহাকে নিষিদ্ধ করা উচিত।
মুন্নী সাহার প্রশ্নগুলো ছিল এমনঃ
১/ উনি এতোদিন পর কিভাবে বেচে আছেন?
২/ উনাকে এতো ফ্রেশ লাগছে কেন?
৩/ ১৭ দিন কোন খাবার ছাড়া কিভাবে উনি বেচে আছেন?
৪/ ওনার কাছে খাবার কোথা থেকে আসল?
৫/ উনার জামা কাপর গুলা এরকম নতুন মনে হচ্ছে, কোন ময়লা নেই কেন?
আজকের মিরাকল এবং আমার মনে হয়, এই যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ অলৌকিক ঘটনা – রেশমার জীবিত বের হয়ে আসা রানা প্লাজার এই মৃত্যুপুরী থেকে। আমি এ নিয়ে ফেসবুকে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দেখছিলাম। তবে ৯০% ভাগ মানুষ আল্লাহর কাছে দোয়া চাইছে। আর নানা প্রপাগাণ্ডার মানুষ নানাভাবে ব্যাপারটা নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। হাস্যকর এসব পোস্টগুলো দেখতে দেখতে একেবারে অতি বিরক্ত। তবে রেশমার জন্য রইল মন থেকে অনেক দোয়া আর ভালবাসা। কি যুদ্ধই টা না সে করেছে। আর আমাদের মুন্নী সাহার প্রশ্নগুলো শুনেই মেজাজ্টা এতই খিচড়ে গিয়েছিল বলার মত না। অবশ্য তার কাছ থেকে এর চাইতে ভাল কিছু আশাও করা যায় না। তার আসল রুপ মোটামুটি সবাই জানে যারা একটু চোখ কান খোলা রাখে। সারা দুনিয়ার মিডিয়াগুলোতে এই মিরাকলের ঘটনা অনেক ফলাও করে প্রচার করছে এবং সম্পূনর্ পজিটিভ ওয়েতে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, রেশমা যে জীবিত বের হয়ে এসেছে এটাই তো অনেক বড় কথা! একটা মসজিদে সে আটকে ছিল। এটা খোদার অনেক বড় কুদরত ছাড়া আর কিছু না।
কিন্তু, এসবকে আজাইরা প্রশ্নবিদ্ধ করতে ওখানে মাইক ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আমাদের এটিএন বাংলার ইডিয়টিক রিপোটর্ার মুন্নী সাহা। নিজেকে সে সিএনএন বা বিবিসর সাংবাদিক ভাবা শুরু করেছিল হয়তো। তাই চরম ভাব নিয়ে সেই আহত, ক্লান্ত রেশমাকে জিজ্ঞেস করে বসল “আপনার অনুভুতি কি? আপনাকে এত ফ্রেশ লাগছে কেন”? ইত্যাদি ইত্যাদি। মুন্নীর আচরন যার পরনাই সবাইকে চরমভাবে বিরক্ত এবং বিব্রত করেছে। সবাই এই সস্তা সাংবাদিকের উপর এখন ক্ষেপে আছে। আসলে ঠিক জায়গায় ঠিক মানুষ না থাকলে যা হয় আর কি। মুন্নী নিজেকে বা এটিএন বাংলাকে একটু বেশী হাইলাইট করতে চেয়েছিল আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার, মাহফুজুর রহমানের আদর-আপ্যায়নে মুন্নী সাহা কিছু না হওয়া সত্তেও অনেক উপরের দিকে উঠেছিল। এবং এক পযর্ায়ে অনেক দুনর্াম কামিয়েছে। যা আমরা অনেকেই জানি। নিজেকে হাইলাইট করতে গিয়ে বেচারা মুন্নী আজ নিজেই বদনাম হয়ে গেল। তাকে এখন সবাই লাল কাডর্ দেখাচ্ছে।
আমাদের দেশে হলুদ সাংবাদিকতা অনেকটা ডাল-ভাতের মত ব্যাপার। আর এসব আমরা দেখেও না দেখার ভান করি। অবশ্য অনেকেই বুঝিও না কে কোন দিকে কি দাও মারছে। ব্যাপারটা হলো, আমাদের দেশের মানুষ জীবন ধারনের উপায় খুজতে এতই ব্যাস্ত থাকে এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনার প্রয়াস পায় না। কারন, জীবন তো আগে। এর আগেও মুন্নী সাহা শাহবাগে কি চোট্পাট দেখাতে চেয়েছিল কিন্তু পোলাপাইনও ফাজিল কম না, ওখানেও তাকে ভালই পচানো হয়েছিল। সেই মুন্নী সাহা আজ একটু বাড়াবাড়িই করে ফেলেছিল। এই ধরনের সাংবাদিকদের আসলে সাংবাদিকতা করার অধিকার হরন করা উচিত। তবে, এরা পার পেয়ে যাবে। কারন এরা তেল মারতে এবং তেল গায়ে লাগাতে ওস্তাদ। কাউকে না কাউকে পটিয়ে ঠিকই আবার নিজের সেই “ক্যারিয়ার” ঠিক করে ফেলবে। আমি জানিনা, মুন্নী সাহা আসলে কোন দলের কিনা বা কার সাথে কি করে, তার তেমন একটা গুরুত্বও আমার কাছে নেই – সস্তা টাইপের মানুষ সে। কিন্তু, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল পৃথিবীর ২/১ জন নামকরা সাংবাদিকের সাথে দুই লাইন কথা বলার, তাদের দেখেছি – সাংবাদিকতা পেশাটাকে তারা কতটা পবিত্র মনে করে। নিজেদের দায়িত্বের ব্যাপারে তারা সদা সচেতন। প্রফেশানালিজম তাদের প্রকট এবং ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করাই তাদের মুল লক্ষ্য আর আমাদের মুন্নি সাহার সাংবাদিকতার নামে ছাগলামি যারপরনাই আমাদের চরমভাবে বিব্রত করে এবং বিরক্তির জন্ম দেয়। এর মত মানুষেরা হঠাত করে সামান্য ক্ষমতা হাতে পেলে আর Abuse ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনা আর সে ক্ষমতা পেয়ে তারা নিজেদের সবচেয়ে বেশী ক্ষমতাবান মনে করে আর ভুলে যায় তাদের অতীত। আর ভুল মানুষের হাতে ক্ষমতা গেলে এবং ভুল পথে ক্ষমতা আসলে সেই ক্ষমতার মেয়াদ বেশীদিন থাকেনা। থাকতেও পারে না।
আজ, আমার মনে হয়, বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ, অন্তত যারা অনলাইনে বিচরন করেন বা একটু খব্রাখবর রাখেন, তাদের বেশীরভাগই এই মুন্নী সাহাকে প্রচন্ড ভাবে ঘৃনা করে। সাংবাদিকতার আড়ালে মুন্নি সাহার হলুদ রুপ আজ নতুন করে আমাদের ভাবায় আসলে সাংবাদিকতা কি? মুন্নী সাহার মত সাংবাদিকেরা কোন জায়গায় কখন কি বলতে হয় এটা কি কখনও শেখেনি? শুধু কি তেল মারাই শিখেছে? প্রশ্নটা জাতির বিবেকের কাছে না, মুন্নী সাহা বা তাদের যারা উপরে তুলেছে তাদের কাছে – যদিও উনারা জবাব দিবে

Friday, May 10, 2013

দাম ২৮ হাজার টাকার নিচে

হালকা ও বহনযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য হিসেবে নেটবুক কম্পিউটার এখন ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে। আকারে ছোট, হালকা এবং দামটা কম হওয়ায় তরুণদের কাছে নেটবুক বেশ জনপ্রিয়। দেশের বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের, বিভিন্ন দামের নেটবুক পাওয়া যায়। দেখতে আকর্ষণীয় এবং দাম ২৮ হাজার টাকার কম—এমন নেটবুকের খোঁজ থাকছে এখানে।

স্যামসাং
বর্তমানে বাজারে ২০ হাজার ৮০০ থেকে সাড়ে ২৭ হাজার টাকার মধ্যে স্যামসাং ব্র্যান্ডের বেশ কটি নেটবুক পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসর-নির্ভর ২ গিগাবাইট র‌্যামযুক্ত স্যামসাং এন১০০এস এবংইন্টেল অ্যাটম এন২১০০ ও ১ গিগাবাইট র‌্যামসহ এন১০০ অ্যাটম এন৪৩৫ মডেলের নেটবুকের দাম ২০ হাজার ৮০০ টাকা। এনসি ১০৮-পি০১বিডি ইন্টেল অ্যাটম এন২৬০০ মডেলের নেটবুকের দাম ২৩ হাজার ৮০০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ১ গিগাবাইট র‌্যামসহ স্যামসাং এনসি ২১৩ অ্যাটম এন২৬০০ নেটবুকের দাম সাড়ে ২৭ হাজার টাকা।

এসার অ্যাসপায়ার নেটবুক
১০.১ ইঞ্চি পর্দার ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসর-নির্ভর এসার অ্যাসপায়ার ওয়ান ডি২৭০ মডেলের নেটবুকের দাম ২৩ হাজার ৬০০ টাকা। ১১.৬ ইঞ্চির পর্দা ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্কযুক্ত এসার অ্যাসপায়ার ওয়ান ৭২৫ এএমডি সি৬০ মডেলের নেটবুকের দাম ২৬ হাজার ৩০০ টাকা।

আসুস
বাজারে বর্তমানে আসুস ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রঙের কম দামের বেশ কটি নেটবুক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ১০.১ ইঞ্চি পর্দার ৩২০ গিগাবাইটের হার্ডডিস্কসহ আসুস এক্স১০১সিএইচ ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসরযুক্ত নেটবুকের দাম ২১ হাজার ৮০০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ২ গিগাবাইটের র‌্যাম ও ১০.১ ইঞ্চি পর্দাযুক্ত আসুস ১০১৫বিএক্স এএমডি ডুয়েল কোর সি৬০ মডেলটির দাম ২৪ হাজার টাকা। এছাড়া এক্স১০১সিএইচ মডেলের ইপিসির দাম ২২ হাজার টাকা।

এইচপি
বর্তমানে বিভিন্ন দোকানে এইচপির মিনি ১১০-৪১১২টিইউ অ্যাটম এন২৬০০ নেটবুক পাওয়া যাচ্ছে। ৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, ২ গিগাবাইটের র‌্যামসহ ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসর-নির্ভর এই মডেলের দাম ২৪ হাজার থেকে
২৫ হাজার টাকা।

প্রাপ্তিস্থান
ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের বিভিন্ন কম্পিউটার বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যায় কম দামের এই নেটবুকগুলো। চট্টগ্রামের জিইসি, আগ্রাবাদ, সিলেটের বন্দরবাজারের বিভিন্ন কম্পিউটার বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যায় নেটবুকগুলো।

সংবাদ সেই বীর বাবু আর নেই!


গত ২৪ এপ্রিল, রানা প্লাজা ধসের দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে সাধারণ মানুষের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। নিজের জীবন বিপন্ন করে তাঁরা বাঁচিয়ে দিয়েছে অনেক মানুষের প্রাণ। এদেরই একজন অসম সাহসী বীর উদ্ধার কর্মী বাবু। পুরো নাম ওমর ফারুক বাবু। নিজে উদ্ধার করেছেন অসংখ্য আহত নিহতদের। সাহসী এই উদ্ধারকর্মী ভবন ধসের প্রথম দিনে একাই ৩০ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। আজ তিনি নিজের নাম লেখালেন লাশের কাতারে।
সাভারের রাজাসনের বাসিন্দা বাবু একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি। ভবন ধসের নির্মমতা ছুঁয়ে যায় বাবুকে। বিভৎস লাশগুলো টেনে হিঁচরে বের করার পর মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনার পর থেকে বাবুর মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তিনি আতঙ্কে ঘুমাতে পারেন না, মাঝেমধ্যে ভয়ে শিউরে ওঠেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পর গভীর রাতে ঘুমের মধ্যেই ‘বাঁচাও' বাঁচাও বলে আর্ত চিৎকার দিয়ে জেগে উঠতেন।
বাবুর স্ত্রী আরো জানায়, পুরোপুরিভাবে মানসিক ভারসাম্য হারানোর আগে তিনি চিৎকার করতেন 'আমি চলে আসছি আর সমস্যা নেই আপনাদের কিচ্ছু হবেনা'।
এভাবেই তার স্বামী ওমর ফারুক বাবু আতঙ্কিত হয়ে ক্রমেই মানসিক ভারসাম্য  হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে! এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মানুষের জন্য মানবতার গান গাওয়া এই সাহসী বীর বাঁচতে পারলেন না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহস্যজনকভাবেই মৃত্যু হয় তার।
সাভারের ধসে পড়া ভবনে স্বেচ্ছায় উদ্ধারকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন এই সাহসী যুবক।  চিকিৎসাধীন অবস্থায় 'নিখোঁজ হওয়ার' দু'দিন পর মঙ্গলবার তার লাশ পাওয়া গেছে। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ঢামেক হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের পাশের করিডোরে একটি ট্রলিতে বাবুর লাশ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা।
মানুষের সাহাযার্থে ঝাঁপিয়ে পরা বাবুর গ্রামের বাড়ী বরিশালের নলছিটির ষাইটপাখিয়া এলাকায়। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
অতি সাধারণ এই মানুষটি তাঁর কর্মের মাঝে বীরের খেতাব লাভ করলেও মৃত্যুকে বরণ করে দিলেন অতি সাধারণ ও অস্বাভাবিকভাবে। শহীদের সমমর্যাদার এই সত্যিকার দেশপ্রেমিক বাবু নিভৃতেই খুব অসময়ে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভিয়ে পাড়ি দিলেন অজানার পথে। বাবু এর আগেই সংবাদে এসেছিলেন, তবে তখন তিনি ছিলেন এক বীরযোদ্ধা, আর এখন তিনি সংবাদে আসলেন সাভার ট্র্যাজেডির বলি, আরো এক লাশ হয়ে।
উল্লেখ্য, গত ৪ মে শনিবার সাভার ট্র্যাজেডির আরেক উদ্ধারকর্মী ইজাজ এক সপ্তাহ দগ্ধ শরীরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুর শোক না কাটতেই উদ্ধারকর্মীদের মর্মান্তিক মৃত্যুর কাতারে গত মঙ্গলবার, ৭ মে বাবুও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। সাভার সহ সমগ্র দেশ জুড়ে এই বীরেদের মৃত্যুতে নেমে এসেছে হাহাকার।

যোগ্য পাত্রের অপেক্ষায় তারিন

মনের মতো যোগ্য পাত্র পেলে অবশ্যই বিয়ে করব। সেটা যে কোনও সময়ই হতে পারে। এই প্রক্রিয়া চলমান।’ বৈশাখী টেলিভিশনের শুধুই আড্ডা অনুষ্ঠানে বিয়ে প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন তারিন।
বৈশাখী টেলিভিশনের শুধুই আড্ডা অনুষ্ঠানে তারিন আরও জানিয়েছেন, নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক নির্মাণেও মনোনিবেশ করেছেন তিনি। তবে পরিচালক হিসেবে নয়, প্রযোজক হিসেবে।
আড্ডায় জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী কথা বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার, অভিনয় জীবন ও তার বর্তমান ব্যস্ততা ও ভবিষ্যত্ পরিকল্পনাসহ নানা প্রসঙ্গে।
আড্ডা ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে তারিন তাঁর পছন্দের একটি গানও গেয়েছেন।
এসএমএসের মাধ্যমে দর্শকদের পাঠানো নানা প্রশ্ন নিয়ে তারিনের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন ফারহানা নিশো।
পলাশ মাহবুবের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় লীজান শুধুই আড্ডা প্রচারিত হবে আগামী শনিবার রাত নয়টা ১০ মিনিটে।

যৌনকর্মীর চরিত্রে পাকিস্তানের ভীনা


মাত্র কয়েকদির পরেই মুক্তি পেতে চলছে হট বোম খ্যাত ভীনা মালিকের নতুন সিনেমা ‘জিন্দেগি ৫০-৫০’। ।
 
ব্যাপক নিরাপত্তা সত্ত্বেও, হাজারো ভক্তের উন্মাদনায় হতম্বভ হলেন ভীনা। একটা অটোগ্রাফের জন্য তাঁর উপর প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েন হাজার হাজার ভক্ত। কোনও ক্ষতি না হলেও এই আচরণে রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ভীনা। এঘটনার পরে তৎক্ষনাৎ জয়পুর সফরের  মেয়াদ কমিয়ে নিয়ে আসেন তিনি।
 
বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং হচ্ছে ‘জিন্দেগি ৫০-৫০’, মুক্তি পাবে এই মাসের ২৪ তারিখ।
 
ভীনা এই ছবির প্রোমোশনের জন্য কিছুদিন আগে বিকিনি পরে একটি বোল্ড ফ্যটো শ্যুট-ও করেন। ছবিটিতে তিনি মাধুরী নামের একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই ছবি ছাড়াও ‘দি সিটি দ্যাট নেভার স্লিপ’ ছবিতেও কাজ করছেন ভীনা। তবে তিনি বলছেন তাঁকে ঘিরে এমন উন্মাদনার কোনও ভাবেই পর্ন স্টার-দের নিয়ে সাম্প্রতিক উন্মাদনার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। কারণ যতই খোলামেলা ছবি তুলুন না কেন তিনি কিন্তু পর্ন স্টার নন। হয়ত একজন পাকিস্তানি হয়েও এইরকম উদার চিন্তা-ভাবনার ‘মালিক’ হওয়ার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে তাঁকে নিয়ে কৌতুহলের যাবতীয় বীজ।

চার কারখানার রপ্তানির অর্থ দেশে আনার উদ্যোগ

সাভারের রানা প্লাজার চার পোশাক কারখানার পাওনা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার তৎপরতা শুরু করেছে পোশাকশিল্প মালিকদের সমিতি বিজিএমইএ। এ জন্য কারখানাগুলোর কার্যাদেশের বিপরীতে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার বা জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) সনদ চেয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) আবেদন করেছে সমিতি। জিএসপি সনদের মাধ্যমে শুল্ক ছাড় পেয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ইউরোপের দেশে দেশে রপ্তানি হয়।
জানা যায়, ফ্যান্টম অ্যাপারেল, ফ্যান্টম ট্যাক, নিউ ওয়েভ ট্যাক ও নিউ ওয়েভ বটমস ভবনধসের আগে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে ১৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। এই পুরো টাকা দেশে প্রত্যাবাসন করতে এখন জিএসপি সনদ দরকার। 
বিজিএমইএ এই জিএসপি সনদ পাওয়া এবং তা আমদানিকারকের কাছে পাঠানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সমিতির সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ইপিবির কাছে চিঠিও দেন। 
ইপিবি জানায়, সাভারের রানা প্লাজার ফ্যান্টম অ্যাপারেল ও ফ্যান্টম ট্যাক ইউরোপীয় ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্যের কার্যাদেশ পায়। গত ২৪ এপ্রিল ভবনধসের আগেই কার্যাদেশের বিপরীতে দুটি চালানে জাহাজীকরণ সম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠান দুটি। বাকি তিনটি চালান জাহাজীকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে নিউ ওয়েভ বটমস ও নিউ ওয়েভ স্টাইল ভবনধসের আগেই ইউরোপে প্রায় তিন লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। কারখানা দুটির চেয়ারম্যান বজলুস সামাদ আদনান ও পরিচালক মাহমুদুর রহমানও বর্তমানে কারাগারে আছেন। 
জিএসপি-সুবিধা পাওয়ার জন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সনদ ইস্যু করে ইপিবি। এই সনদ দাখিল করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ শতাংশ কর ছাড় পেয়ে থাকে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে বাংলাদেশের পোশাক অন্য দেশের চেয়ে মূল্য প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যায়। 
জানতে চাইলে শহিদউল্লাহ আজিম গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, যদি জিএসপি-সুবিধার সনদ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ হারাবে দেশ। তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজার প্রতিষ্ঠানগুলো যে পণ্য রপ্তানি করেছে, তার অনুকূলে জিএসপি সনদ ইস্যু করার আবেদন করেছি আমরা। এটি না হলে বিদেশি ক্রেতারা অর্থ পরিশোধ করবে না।’
শহিদউল্লাহ আজিম আরও বলেন, ‘কারখানাগুলোর মালিকেরা জেলে আছেন। এদিকে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। তাই এই টাকাগুলো এলে কিছুটা সহযোগিতা হবে।’ 
তবে ইপিবির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সাভারের ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে জিএসপি সনদ ইস্যু করার ক্ষেত্রে কিছুটা দোটানায় পড়েছে সরকারি এই সংস্থা। ইপিবির পক্ষ থেকে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও আইনজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। 
অবশ্য ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান চারটির অনুকূলে জিএসপি সনদ ইস্যুর জন্য বিজিএমইএ আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। বিষয়টি আমাদের বিবেচনাধীন রয়েছে। সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে আমাদের দিক থেকে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, নিউ ওয়েভ বটমস বছরে এক লাখ ডজন প্যান্ট ও শার্ট তৈরি করত। এ ছাড়া নিউ ওয়েভ স্টাইল বছরে ৬০ হাজার ডজন প্যান্ট, শার্ট ও ট্রাউজার; ফ্যানটম ট্যাক ১৯ লাখ পিস পোলো শার্ট ও টি-শার্ট; ফ্যানটম অ্যাপারেলস ছয় লাখ পিস প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেট ও ট্রাউজার এবং ইথারটেক্স পাঁচ লাখ পিস প্যান্ট ও শার্ট উৎপাদন করত।
এই কারখানাগুলো ভবনধসের আগে দীর্ঘদিন ধরে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালি, পোল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি করে আসছিল।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইপিবিকে দিয়ে সাভারে ভবনধসের যে তদন্ত করিয়েছে, তাতে সাভার ট্র্যাজেডির জন্য ভবনের মালিক, পোশাক কারখানার মালিক ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়ী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে ‘দুর্ঘটনার জন্য দায়ী’ অংশে বলা হয়, ত্রুটিপূর্ণ নকশা ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় রানা প্লাজা ধসে পড়ে এবং স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য ভবন এবং পোশাক কারখানার মালিকপক্ষ দায়ী। তাঁদের অসচেতনতা ও অদূরদর্শিতা, মাইকিং করে ভুল তথ্য প্রকাশ এবং জোর করে শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করায় এই হূদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
তবে ইপিবিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের বিশেষজ্ঞ না থাকায় এ-সংক্রান্ত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য আরেকটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে।

১৭ তম দিনে জীবিত রেশমাকে উদ্ধার


সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১৭তম দিনে আজ শুক্রবার ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের একজন নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সে করে সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি অক্ষত রয়েছেন বলে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন। 
হাসপাতালে নেওয়ার পথে রেশমা তাঁর বোন আসমাকে দেখতে চান। এ সময় ঘটনাস্থলে হাতমাইকে আসমার সন্ধান চাওয়া হয়। তখন রেশরার ছবিসহ আসমা হাজির হলে তাঁকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে নয়টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা ভবনটি ধসে পড়ে। এ পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৪।
ধসে পড়ার ১৭তম দিনে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে রেশমাকে (ডানে)। �
সাভারের এরিয়া কমান্ডার ও জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেছেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মুঠোফোনে রেশমার সঙ্গে কথা বলেছেন। জিওসি আরও বলেন, এ সময় রেশমা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আমি ১৭ দিন অন্ধকারে বসেছিলাম।’
জিওসি প্রথম আলো ডটকমকে জানান, মুঠোফোনে প্রধানমন্ত্রী রেশমাকে বলেন, ‘আমি তোমাকে দেখতে আসছি।’ এর পরই প্রধানমন্ত্রী সাভারে সিএমএইচের উদ্দেশে রওনা হন। 
হাসান সারওয়ার্দী আরও বলেন, সকালের দিকে ধ্বংসস্তূপের ওই অংশে একটি ছিদ্র করা হয়। তখন ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আলো যায়। এ সময় রেশমা ভেতর থেকে চিত্কার করে ওঠেন। একজন মেজর প্রথম রেশমাকে দেখতে পান বলে জানান জিওসি। তিনি জানান, রেশমাকে ভবন ধসের ৪১৬ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হলো। 
জিওসি আরও জানান, রেশমা প্রথমে পানি খেতে চান। তাঁকে পানি ও খাবার দেওয়া হয়েছে।

সোহাগপুরের বিধবাদের চোখে আনন্দাশ্রু


‘এই দিনটার জন্য আল্লাহ আমারে বাঁচাইয়া রাখছে। আমগর স্বামী-সন্তানদের যেভাবে মারছে তার বিচার অইছে।’ কথাগুলো বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন বিধবা হাফিজা খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
হাফিজা খাতুনের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের বেনুপাড়ায়। যা এখন বিধবাপল্লি নামে পরিচিত। একাত্তরের ২৫ জুলাই আলবদর, রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল সেখানে। বেনুপাড়ার সব পুরুষ মানুষকেই (১৮৭ জন) হত্যা করে পাড়াটিকে পরিণত করা হয়েছিল বিধবাপল্লিতে। সেদিন যে ৫৭ জন বিধবা হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে হাফিজাসহ ৩১ জন বেঁচে আছেন।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের মধ্যে তৃতীয় অভিযোগ হলো সোহাগপুরে হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণ নিয়ে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
গতকাল রায়ের পর সোহাগপুর গ্রামে গেলে একাত্তরে স্বামীহারা নারীদের চোখে দেখা গেছে আনন্দাশ্রু। স্বজন ও গ্রামবাসী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।
একাত্তরে স্বামীহারা হাফিজা খাতুনের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি বলেন, ‘এত বছর ধইরা আল্লাহর কাছে কাইন্দা কাইন্দা একটাই প্রার্থনা করছি, যারা আমাগর স্বামী-সন্তানগরে নির্বিচারে হত্যা করছে, তাগর বিচার যেন বাইচ্চা থাকতে দেইখা যাইবার পাই। আল্লাহ আমাগর প্রার্থনা কবুল করছে।’
আরেক বিধবা করফুলি বেগম বলেন, ‘এই কামারুজ্জামানের লাইগা ৪২ বছর ধইরা আমরা কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে রইছি। আজ তার উচিত বিচার অইল। বিচারে আমরা খুব খুশি অইছি।’ একাত্তরের ওই দিনে করফুলি বেগম স্বামীসহ পরিবারের আটজনকে হারিয়েছেন।
একাত্তরে স্বামীহারা হাসেন বানু, দিলমনি রাকসান আরও কয়েকজন একই রকম প্রতিক্রিয়া জানান।
একাত্তরের ওই দিনে শহীদ রহিম উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে আমার বাবাসহ ১৮৭ জনকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। তাঁর ফাঁসির আদেশ হইছে। আমি এই রায়ে স্বস্তি অনুভব করছি।’
নালিতাবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহাবউদ্দিন জানান, রায়ে এলাকার বিধবাসহ মুক্তিযোদ্ধারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই রায়ের মাধ্যমে বিধবারা তাঁদের স্বজনদের হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন।
মিষ্টি বিতরণ: কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি মিষ্টি বিতরণ করেছে। রায় শোনার পর পৌর শহরের শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত মানুষ পরস্পরকে মিষ্টি মুখ করান।
শেরপুরে আনন্দ মিছিল, সমাবেশ: শেরপুর প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণার পর শহরে আনন্দ মিছিল বের করে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা জাসদ, জাগ্রত তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে পৌর টাউন হল মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সাংসদ মো. আতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী, শেরপুর চেম্বারের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া প্রমুখ।
রায়ের পর শহরের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ আনন্দ প্রকাশ ও মিষ্টি বিতরণ করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বাড়ি শেরপুর জেলা সদরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরি মুদিপাড়া গ্রামে।
ময়মনসিংহে আনন্দ মিছিল: ময়মনসিংহ অফিস জানায়, দুপুরে রায় ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ময়মনসিংহ জেলা ইউনিট কমান্ড, গণজাগরণ মঞ্চ ও জেলা আওয়ামী লীগ শহরে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ও পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। শহরের ব্যস্ততম গাঙ্গিনারপার মোড় স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে।

Wednesday, May 8, 2013

ওয়েবসাইট বানাতে চান?


দিন যত যাচ্ছে বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নানা ধরনের কাজের চাহিদা। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন। বিশেষ করে আউটসোর্সিংয়ের কাজে ওয়েবসাইট ডিজাইনের বেশ চাহিদা রয়েছে। নিজের মধ্যে সৃজনশীলতা আছে এমন যে কেউ এ কাজে আসতে পারেন। মূলত ওয়েবসাইট খুললেই যে বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখা যায়, সেটিই হচ্ছে ডিজাইন। 
গ্রাফিক ডিজাইন শেখা থাকলে খুব সহজেই ওয়েবসাইটের ডিজাইন করা সম্ভব। অ্যাডোবি ফটোশপ শিখেও এ কাজ করা যাবে। তবে ভালোভাবে শিখতে চাইলে আরও কিছু সফটওয়্যারে দক্ষতা লাগবে। 
ওয়েবসাইট ডিজাইনার নুসরাত জাহান জানালেন, ‘বেশ কিছু সফটওয়্যারে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজটি অনেক সহজ। যেমন ফটোশপের মাধ্যমে শুরুতেই ওয়েবসাইটের একটা চেহারা দাঁড় করানো যায়। পরে সেটি নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা কিংবা নিজের পছন্দ অনুযায়ী অনেক কিছু যোগ করা সম্ভব।’ এ ছাড়া ওয়েবসাইট অলংকরণের কাজগুলোর জন্য রয়েছে ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার। এর বাইরে ওয়েবসাইটকে সত্যিকার অর্থে অর্থবহ করে তুলতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হাইপার টেক্সট মার্ক-আপ ল্যাংগুয়েজ (এইচটিএমএল)। এইচটিএমএল জানা থাকলে ওয়েব ডিজাইন করা যায় সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। আরেকটি জরুরি জিনিস হলো ক্যাসকেড স্টাইল শিট (সিএসএস)। সিএসএস হলো ডিজাইন আকর্ষণীয় করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। 
ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের প্রচুর কাজ করা হয়। এ ছাড়া অ্যানিমেশন যোগ করতে প্রয়োজন ফ্ল্যাশের। সুন্দর ও আকর্ষণীয় অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে জীবন্ত করে তোলা যায়।পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রোগ্রামিং ভাষা জানা দরকার।এ জন্য জাভা স্ক্রিপ্ট, পিএইচপি, মাইএসকিউএল শেখা যেতে পারে। জাভাস্ক্রিপ্টকে স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজও বলা হয়। জাভাস্ক্রিপ্ট শুধু ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যারে (ব্রাউজার) চলতে পারে। জাভাস্ক্রিপ্টের সাহায্যে একটি ওয়েবসাইট ডাইনামিক হতে শুরু করে। জাভাস্ক্রিপ্ট ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার উভয় দিকেই কাজ করতে পারে ও ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডেটা নিয়ে তা প্রক্রিয়া করে সার্ভারে পাঠাতে পারে।আরও আছে পিএইচপি। এটিও একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। পিএইচপি একটা সার্ভার সাইড ও ক্রস প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ। এর উদ্দেশ্য হলো ওয়েব পেজকে দ্রুত তৈরি করা। পিএইচপি ব্যবহার করে কাস্টম কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) তৈরি করা যায়। এ ছাড়া ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যার ইত্যাদি তৈরিতেও পিএইচপি ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। আরেকটি হচ্ছে মাইএসকিউএল। মাইএসকিউএল হচ্ছে একটা ডেটাবেইস সিস্টেম, যা বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। 
এগুলোর ওপর একজন ওয়েব ডিজাইনারকে পুরোপুরি দক্ষ করে তোলা সক্ষম। ইন্টারনেটে এসব বিষয়ে রয়েছে বিস্তর ভিডিও এবং লিখিত টিউটোরিয়াল। সেগুলো দেখে ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি চর্চা চালিয়ে যেতে পারলে সহজেই কাজটি শেখা সম্ভব। এছাড়াও বাংলা ও ইংরেজিতে ওয়েবসাইট ডিজাইন বিষয় অনেক বই দেশেই পাওয়া যায়। চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রিও নিতে পারেন। তবে নিজে নিজে শিখতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব।

ক্যানসার প্রতিরোধে ১৩ খাদ্য

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সব ধরনের ক্যানসারের সঙ্গেই খাদ্যের একটা যোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে ১৭টি দেশের ১৭০টি গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যতালিকা একটু পাল্টে নিলেই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে। ক্যানসার প্রতিরোধী বিভিন্ন খাবার প্রতিদিন কিছু পরিমাণে গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে। আসুন, জেনে নিই সেই খাদ্য তালিকা। 
গাজর, হলুদ ও কমলা রঙের সবজি
এসবে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী বিটাক্যারোটিন, যা ক্যানসার কোষের ওপর চড়াও হয়।
টমেটো, তরমুজ
টমেটো ও তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন, যার পরিমাণ রক্তে কম হলে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। 
সবুজ শাকসবজি
গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে ক্যানসাররোধী বিটাক্যারোটিন, ফোলেট ও লিউটেইন থাকে। যে শাকসবজি যত সবুজ, তাতে তত বেশি উপাদান রয়েছে।
বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম
অল্প সেদ্ধ করলে সবজির উপাদান ঠিক থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই সবজি নিয়মিত গ্রহণে খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে।
সয়াবিন
সয়াবিনে ক্যানসাররোধী অন্তত পাঁচটি উপাদান রয়েছে। এসবের মধ্যে একটি উপাদানের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য স্তন ক্যানসারে ব্যবহূত ওষুধ টেমোক্সিফেনের মতো। 
রসুন ও পেঁয়াজ
রসুন-পেঁয়াজজাতীয় সবজিতে রয়েছে খাদ্যনালি, পাকস্থলী, ফুসফুস ও যকৃতের ক্যানসাররোধী কয়েকটি উপাদান, যা রসুনের নির্যাস স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির প্রায় ৭১ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল
যারা প্রতিদিন কিছু না কিছু ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল খায়, তাদের অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়।
স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধ
স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, রিবোফ্ল্যাবিন, ভিটামিন এ, সি, ডি প্রভৃতি উপাদান, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে।  ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, কলেজ ও হাসপাতাল।