সুখ নেই মিসেস সেনের জীবনে! কী করেই বা থাকবে, তাঁর স্বামী মিস্টার
সেন যদি পরকীয়ায় মত্ত হন অন্য নারীর সঙ্গে। যৌবনের দারুণ দহন দিন তাহলে
কীভাবে কাটাচ্ছেন মিসেস সেন? অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘মিসেস সেন’
কী চমক রেখেছে ভাঁড়ারে আমাদের জন্য? এক নিঃসঙ্গ বিরহকাতর নারীকে! কিন্তু
সেই নারী ২০১১ সালের চারুলতার মতো অসহায় নন, স্বামীর খোঁজে ব্যতিব্যস্ত ৩
কন্যের অন্যতম অপর্ণাও নন।
মিসেস সেনের নামটা আসলে অনুরাধা; এমনিতে নরম-সরম হলেও তাঁর ভেতরে লুকিয়ে
আছে এক যোদ্ধৃসত্ত্বা। এক চমৎকার সকালে তা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল।
সেদিনের সকালটা আর পাঁচটা দিনের মতই সাধারণ ছিল। অনুরাধা সেন-এর জীবনের
গানে সব সুর যখন ঠিক ঠিক তারে বাঁধা পড়ছিল, ঠিক তখনই যেন তার কেটে গেল
হঠাৎই। একটা ফোনেই বদলে গেল মিসেস সেনের মনের ঝলমলে রঙ, ধুয়ে গেল
বাঁচা-মরার মাঝের বিভেদটিও। বিপদ ডেকে আনা সেই ফোনেই মিসেস সেন জানতে
পারলেন প্রবাসে তাঁর স্বামীর দুর্ঘটনার কথা।
থাইল্যান্ডে কর্মসূত্রে থাকেন তিনি ওঁর থেকে অনেক দূরে! কিন্তু এলাকা, সময়
বা দেশের থেকেও বেশি একটা দূরত্ব যে গ্রাস করেছিল তাঁর ও সোমনাথের
সম্পর্ক, একথা মিসেস সেন ভাবতেই পারেননি। থাইল্যান্ডে তড়িঘড়ি পৌঁছে তারপর
তিনি প্রথমবারের জন্য জানতে পারেন সোমনাথ ও ঋষিতার অবৈধ সম্পর্কের কথা।
যথেষ্ট জটিল ব্যাপার-স্যাপার, স্বীকার করতেই হবে।
কলকাতায় তিনি দিন গোনেন স্বামীর ঘরে ফেরার, আর স্বামী সেই প্রতীক্ষা থেকে
নিজেকে দিব্যি ভুলিয়ে রেখেছেন অন্য নারী সহবাসে? তাহলে কী পদক্ষেপ নেবেন
মিসেস সেন? সেটা জানতে হলে করতে হবে সামান্য অপেক্ষা আর চোখ রাখতে হবে
অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়-এর আপকামিং ছবি ‘মিসেস সেন’-এর দিকে।
মোটের ওপর, এই নিয়ে তিন-তিন বার অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করছেন
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই রসায়ন পুরনো হলেও ‘মিসেস সেন’ ছবি তুলে ধরছে
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে দর্শকদের ভাললাগা আরও এক পুরনো রসায়নকে। ছবিতে যে
সোমনাথ চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন রোহিত রায়; এর আগে ‘ভোরের আলো’ আর ‘মিত্তল
ভার্সেস মিত্তল’ নামের দুটো ছবি যিনি করে ফেলেছেন ঋতুপর্ণার সঙ্গে।
অন্যদিকে, আগের ছবি ‘৩ কন্যা’র মতোই এ ছবিতেও অভিনয় করছেন মুম্বইয়ের এক
প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী। তাঁর নাম হৃষিতা ভট্ট। তিনিই এই ছবির দাম্পত্যে অপর
নারী। শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই; ছবিটি প্রযোজনা করছে অগ্নিদেব
চ্যাটার্জি ক্রিয়েশনস্।
No comments:
Post a Comment