চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি চান তিনি।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ মনোভাব ব্যক্ত করেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে এ বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি সেখানে অবস্থান করে। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায়ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির এমন একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলেই কেবল এ সংকটের সমাধান হতে পারে।
এ অবস্থায় অস্কার ফার্নান্দেজ অনুরোধ করেছেন, নির্দলীয় সরকারের শর্ত বাদ দিয়েই যেন খালেদা জিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁর মতে, আলোচনা একবার শুরু হলে সমাধানের একটা পথ বেরিয়ে আসবে। তা ছাড়া জাতিসংঘ বিষয়টির ওপর নজর রাখবে।
জবাবে খালেদা জিয়া কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনার চিঠি পেলে সাড়া দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিনি এ-ও বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তুতে যাতে নির্দলীয় সরকারের প্রসঙ্গটি থাকে। তিনি বলেন, এটা তাঁর অনুরোধ, পূর্বশর্ত নয়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছেন খালেদা জিয়া।
শমসের মবিন বলেন, আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে, আলোচনা চলছে, চলবে। বিরোধীদলীয় নেতা জাতিসংঘের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবকে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে, সংকটের নিষ্পত্তি হবে।’
একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা দুই দফায় বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলেন। প্রথম দফায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান ও ওসমান ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন। আর সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের অন্য প্রতিনিধিরা ছিলেন। দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়া ও অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো একান্তে আলোচনা করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ মনোভাব ব্যক্ত করেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে এ বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি সেখানে অবস্থান করে। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায়ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির এমন একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলেই কেবল এ সংকটের সমাধান হতে পারে।
এ অবস্থায় অস্কার ফার্নান্দেজ অনুরোধ করেছেন, নির্দলীয় সরকারের শর্ত বাদ দিয়েই যেন খালেদা জিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁর মতে, আলোচনা একবার শুরু হলে সমাধানের একটা পথ বেরিয়ে আসবে। তা ছাড়া জাতিসংঘ বিষয়টির ওপর নজর রাখবে।
জবাবে খালেদা জিয়া কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনার চিঠি পেলে সাড়া দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিনি এ-ও বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তুতে যাতে নির্দলীয় সরকারের প্রসঙ্গটি থাকে। তিনি বলেন, এটা তাঁর অনুরোধ, পূর্বশর্ত নয়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছেন খালেদা জিয়া।
শমসের মবিন বলেন, আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে, আলোচনা চলছে, চলবে। বিরোধীদলীয় নেতা জাতিসংঘের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবকে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে, সংকটের নিষ্পত্তি হবে।’
একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা দুই দফায় বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলেন। প্রথম দফায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান ও ওসমান ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন। আর সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের অন্য প্রতিনিধিরা ছিলেন। দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়া ও অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো একান্তে আলোচনা করেন।
No comments:
Post a Comment