Saturday, June 29, 2013

মশার বিরুদ্ধে মেসি লড়াই

এবার মশার বিরুদ্ধে লড়বেন লিওনেল মেসি! অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। পৃথিবীতে তো ভয়ংকর প্রাণীর সংখ্যা কম নয়। বাঘ, ভালুক, হাঙর—এগুলোর সঙ্গে লড়লেও না হয় একটা কথা ছিল। কিন্তু এত প্রাণী থাকতে মেসি কেন লড়তে যাচ্ছেন মশার বিরুদ্ধে?
ব্যাপারটা পানির মতো পরিষ্কার। ছোট্ট হলেও এই মশা বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের কারণ। মেসির লড়াইটা ওই মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে। মশা যত রোগ ছড়ায়, তার মধ্যে ম্যালেরিয়াতেই মারা যায় সবচেয়ে বেশি মানুষ। কেবল আফ্রিকাতেই এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৯১ শতাংশ। 
মেসি মশা মারতে কামান দাগবেন না। তিনি বিতরণ করবেন মশারি। আফ্রিকা মহাদেশের ১০টি দেশে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বিতরণ করবেন ম্যালেরিয়ার জীবাণু বাহক মশা প্রতিরোধের মশারি। কাতারভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাসপায়ার ফুটবল ড্রিমের হয়ে মেসির এই কার্যক্রম। আফ্রিকার ১০টি দেশে চার লাখ মশারি বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। 
মেসির এই মহতী কর্মের শুরুটা হয়েছে সেনেগাল থেকে। ভবিষ্যতেও এই লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন হালের জনপ্রিয় ফুটবল তারকা। একটি বিষয় মেসিকে এই কর্মযজ্ঞে নামতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি অবাক হয়ে জেনেছেন, ফুটবল মাঠে যে ৯০ মিনিট প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকেন মেসি, সেই ৯০ মিনিটে সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় মারা যায় ১৮০টি শিশু। এই তথ্য জেনে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়ার সংকল্প ঝরেছে মেসির কণ্ঠে, ‘ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে অবিরাম কাজ করে যাওয়াই অমার সংকল্প। ভবিষ্যতেও এ ব্যাপারে কাজ করার সুযোগ পেলে তাতে অংশ নিতে দ্বিধা করব না।’ সূত্র: বিবিসি স্পোর্টস

দুবাইয়ে বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালকের অসাধারণ সততা

হ্যালো’, ফোনের ওপাশের কণ্ঠস্বরে ব্যস্ততা আর ক্লান্তির মিশেল।
‘আব্দুল হালিম বলছেন?’
বাংলায় প্রশ্ন করতেই কিছুক্ষণ নীরবতা। ওপাশের মানুষটা বোধ হয় মুঠোফোনের পর্দায় তাকিয়ে নিশ্চিত হলেন, ফোনটা বাংলাদেশ থেকেই এসেছে। ‘জি ভাই, বলেন,’ আব্দুল হালিমের গলার স্বরে এবার আন্তরিকতা। ক্লান্তি-ব্যস্ততা হাওয়া!
দুবাইয়ের ট্যাক্সিচালক তিনি। হাসি-খুশি তরুণ আর তাঁর পেছনের ঝলমলে শহরটা কল্পনায় দেখতে পাচ্ছিলাম। কথা বলতে বলতে মনে হলো কোথায় ঝলমলে শহর, কোথায় দুবাই? এ যে আমাদের কুমিল্লার কালিন্দীপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিম, ডাকনাম শুভ! দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকেও আব্দুল হালিমের কণ্ঠে ‘বিদেশি বাতাস’ খুব একটা লাগেনি। মনটা এখনো এ দেশেই পড়ে আছে।
ইন্টারনেট, পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল বিভিন্ন সূত্র থেকে ইতিমধ্যেই অনেকের আব্দুল হালিমের গল্প শোনা হয়ে গেছে। তাঁর নিজ মুখে শুনব বলে আরও একবার জানতে চাইলাম। লম্বা একটা দম নিয়ে আব্দুল হালিম শুরু করলেন, ‘সেদিন ছিল ২৫ মে...।’

চিচিং ফাঁক
আব্দুল হালিম দুবাইয়ের রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (আরটিএ) অধীনে চাকরি করেন। সকালবেলা ট্যাক্সি নিয়ে বের হন, বিকেলে আরেকজন চালকের হাতে ট্যাক্সি বুঝিয়ে দিয়ে তাঁর ছুটি। সেদিন ১১টা নাগাদ দুবাইয়ের জেএলটি এলাকার আলমাস টাওয়ারের সামনে থেকে আব্দুল হালিমের ট্যাক্সিতে উঠলেন দুজন মিসরীয় ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থাকা বাক্সপেটরাগুলো রাখা হলো গাড়ির পেছনের ডালার ভেতরে। গন্তব্য গোল্ড সোউক। আধঘণ্টার যাত্রাপথ। সাড়ে ১১টা নাগাদ যাত্রী দুজনকে নির্ধারিত স্থানে নামিয়ে দিয়ে হালিম নিজের পথ ধরলেন। সারা দিন আরও অনেক যাত্রী হালিমের ট্যাক্সিতে উঠলেন এবং নামলেন। যথারীতি বিকেল চারটায় ডিউটি শেষ হলো। গাড়ি ঠিকঠাক বুঝিয়ে দেবেন বলে শেষবারের মতো গাড়ির সবকিছু দেখে নিচ্ছিলেন হালিম। প্রতিদিনের অভ্যস্ততায় গাড়ির পেছনের ডালা খুললেন। দেখলেন, বাদামি রঙের একটি চামড়ার ব্যাগ।
অনেক যাত্রীই ভুল করে ব্যাগ ফেলে যান। এটা নতুন কিছু নয়। একবার এক পরিবার নাকি তাঁদের ছোট বাচ্চাটাকে ভুলে ট্যাক্সিতে ফেলে নেমে গিয়েছিল; এমন ঘটনাও প্রচলিত আছে এই ধনকুবেরদের শহরে। ব্যাগের মালিকের সন্ধান পেতে হলে ব্যাগটা খুলে দেখতে হবে, তা ছাড়া কৌতূহলও কিছুটা হচ্ছিল বৈকি। হালিম ব্যাগ খুললেন। এবং খুলেই তাঁর চোখ ছানাবড়া! ব্যাগভর্তি চকচকে ৫০০ দিরহামের বান্ডিল, সঙ্গে বেশ কিছু হীরার গয়না আর দামি ঘড়ি!
হালিম হতভম্ব! এমন ৫০০ দিরহামের অল্প কিছু নোট তাঁর মাসিক আয়। একসঙ্গে এতগুলো দিরহাম আগে কখনো চোখেও দেখেননি। এত দামি হীরার গয়নাও কখনো হাতে নিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। গাড়ির পেছনে পাওয়া এসব ধন-সম্পদ তাঁর কাছে রূপকথার গুপ্তধনের মতো; কিন্তু না। হালিম বড়জোর দুই মিনিট স্তব্ধ হয়ে থাকলেন, পরমুহূর্তেই তাঁর মনে হলো, যাঁর জিনিস তাঁকে ফেরত দেওয়া দরকার। হালিম সঙ্গে সঙ্গে আরটিএতে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করলেন। তিনি দ্রুত ব্যাগটা কাছাকাছি কোনো থানায় পৌঁছে দিতে বললেন।
‘আমি থানার দিকে রওনা হলাম। এরই মধ্যে আমার কাছে থানা থেকে ফোন এল। আমার গাড়ির নম্বর জিজ্ঞাসা করল। বলল, “আপনি একটু থানায় আসেন।” আমি বললাম, দিরহামভর্তি ব্যাগের কথা বলবেন তো? আমি পেয়েছি। থানার দিকেই আসছি। তারা শুনে একরকম অবাকই হলো।’ বলছিলেন হালিম।

সততার পুরস্কার
হালিম ব্যাগসহ সবকিছু থানায় পৌঁছে দিলেন। থানায় বসেই তাঁরা গণনা করলেন। একটা নোটও এদিক-ওদিক হয়নি। সব মিলিয়ে নগদ দুই লাখ দিরহাম, আর প্রায় ১০ লাখ দিরহাম সমমূল্যের স্বর্ণালংকার ছিল ব্যাগের ভেতরে। সবকিছু ফেরত পেয়ে ব্যাগের মালিকের মুখটাও হয়েছিল দেখার মতো! দুবাইয়ের একটি পত্রিকার কাছে হালিম হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘তিনি খুশিতে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। নাচবেন না ডিগবাজি খাবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না।’
দুবাইয়ের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের লোকজন প্রশ্ন করেছেন, ‘এতগুলো দিরহাম হাতের কাছে পেয়েও তুমি কী ভেবে ফেরত দিয়ে দিলে?’ শুনে আমাদের হালিমের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘এটাই দুবাইয়ের ট্যাক্সিচালকদের নিয়ম।’
হালিমকে সততার পুরস্কার দিয়েছে আরটিএ কর্তৃপক্ষ। আরটিএর চেয়ারম্যান মাত্তার আল তায়ার নিজ হাতে হালিমের হাতে সনদ তুলে দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হালিফ আল রুমাইতি, জাবের আল-বাশার, চিফ ইন্সপেক্টর আবদুল আজিজ আল-সালেমিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মাত্তার আল তায়ার দুবাইয়ের পত্রিকাগুলোর কাছে বলেছেন, ‘আমরা তাঁকে (হালিম) নিয়ে খুবই গর্বিত।’ আব্দুল হালিম বললেন, ‘স্যার আমাকে বলেছেন, তুমি বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের ধারণাই বদলে দিয়েছ।’
বিশ্বের বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে এই খবর। প্রতিটি খবরেই হালিমের নামের পাশে লেখা একটি শব্দে চোখ আটকে যায়—বাংলাদেশি! ‘আমার সঙ্গে সঙ্গে সবাই আমার দেশের কথাও বলে। এইটা খুব ভালো লাগে, ভাই।’ বলছিলেন হালিম। তিনি জানালেন, দুবাই এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ডের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়েছে। দুবাইয়ের শেখ প্রতিবছর একজনের হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। তবে হালিমের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো, মনের শান্তিটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। ‘অনেকে বলে, তুমি তো টাকাটা নিয়ে নিতে পারতা। লুকায় ফেলতে পারতা। এসব করলে হয়তো বড়লোক হইতাম, কিন্তু ভাই, মনে তো শান্তি পাইতাম না। যাঁর টাকা তাঁরে ফিরায় দিছি। এখন দেখেন, কত ভালো আছি।’ হালিমের কণ্ঠে প্রশান্তি।
তথ্যসূত্র: এমিরেটস টোয়েন্টিফোর/ সেভেন, ইয়াহু নিউজ

গ্রামের নাম কালিন্দীপাড়া
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার কালিন্দীপাড়া গ্রাম। গ্রামের ঘরে ঘরে টেলিভিশন আছে, আছে স্যাটেলাইট সংযোগও। তবে মনু মিয়ার কথা আলাদা। মনু মিয়া বলছিলেন, ‘বাড়িতে ডিশ নাই। পোলারে নাকি টিভিতে দেখাইছে। আশপাশের মানুষজন কইছে। আমরা দেখতে পারি নাই। সবাই বলতেছে, আপনার ছেলে একটা ভালো কাজ করছে।’ হ্যাঁ, মনু মিয়াই আমাদের আব্দুল হালিমের বাবা। যে বাবা ছেলেকে ছোটবেলায় সৎ থাকতে শিখিয়েছেন, তাঁর আনন্দ আজ কতখানি? প্রশ্নের জবাব ইতিমধ্যেই একবার হালিমের কাছে পাওয়া হয়েছে, ‘ঘটনা যেদিন ঘটল, সেদিনই আমার স্ত্রীকে ফোন করছিলাম। আব্বা-আম্মার সঙ্গে কথা হইছে। তাঁরা খুব খুশি। আমি যে লোভ করি নাই, এইটাই আব্বা-আম্মার কাছে সবচেয়ে বড়।’ বাবা মনু মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে পাওয়া গেল একই সুর, ‘কী যে খুশি হইছি, বইলা প্রকাশ করতে পারব না।’ মনু মিয়া একসময় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ আর সিলেট ক্যাডেট কলেজে ঠিকাদারের কাজ করেছেন। এখন বয়স হয়েছে, সংসারের দায়িত্ব ছেলেদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ছেলে সততার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করছেন, বাবার চেয়ে খুশি আর কেই-বা হতে পারে।
আব্দুল হালিমের দুই ছেলেমেয়ে। ছেলে আজমাইন জুহায়ের আনজুমের বয়স ছয়, আর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়েটার নাম সামিয়া জারিন সারা। স্ত্রী কোহিনূর আক্তার কুমিল্লার একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। কুমিল্লায় কোহিনূরের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা চলছে। হালিমের বাড়ির সবার সঙ্গে যখন মুঠোফোনে কথা হচ্ছে, কোহিনূর গেছেন পরীক্ষা দিতে।
হালিমের এই অসাধারণ সততায় কে বেশি আনন্দিত—এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য মনু মিয়ার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী শ্যামলা বেগম, আব্দুল হালিমের মা। বললেন, ‘আমরা দরিদ্র মানুষ। গরিবের তো সম্মানটাই সবচেয়ে বড়। টাকাপয়সা দিয়া কী হইব? ছেলে নিজের সম্মান রাখছে, আমাগো সম্মানও রাখছে। এইটাই বড়।’

Thursday, June 13, 2013

বাপ কা বেটা

জিয়া খানের আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউডের অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি। এ ঘটনার পরপরই প্রখ্যাত ভারতীয় কলামিস্ট ও ঔপন্যাসিক শোভা দে তাঁর ব্লগে সুরজ ও আদিত্যকে উদ্দেশ করে মন্তব্য করেছেন, ‘লাইক ফাদার, লাইক সান।’ এতে আদিত্য ভীষণ ক্ষুব্ধ হলেও তাঁর অতীতের কীর্তি ঘাঁটলে শোভা দের উক্তিকে খুব বেশি ভুল বলা যায় না।

কারণ, আদিত্যের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, পরকীয়া জড়ানোর পাশাপাশি কিশোরী ধর্ষণের মতো গুরুতর সব অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জিনিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

জীবনের শেষ চিঠিতে প্রেমিক সুরজের বিষয়ে নানা গুরুতর অভিযোগ করে গেছেন সদ্য প্রয়াত বলিউডের অভিনেত্রী জিয়া খান। সেগুলোর মধ্যে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের মতো বিষয়ও আছে। জিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বয়সে ২০ বছরের বড় এক নারীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন সুরজ। পাঞ্চোলি পরিবারে গয়না সরবরাহ করতেন ওই নারী। সুরজের অনেক অত্যাচার মুখ বুজে সইলেও প্রেমিকের কাছ থেকে প্রতারণার বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি জিয়া।


৩ জুন রাতে পশ্চিম মুম্বাইয়ের জুহু বিচসংলগ্ন নিজ বাসায় ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার মতো কঠিন পথ বেছে নেন তিনি। এভাবেই মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিভে যায় উঠতি এই তারকা অভিনেত্রীর জীবনপ্রদীপ।

আশির দশকে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন সুরজের বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি। এখন পর্যন্ত বিতর্কিত নানা কাণ্ড ঘটিয়ে বেশ কয়েকবার মুখরোচক সব খবরের জোগান দিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতা। বলাই বাহুল্য, এসব কীর্তির কারণে তিনি সমালোচিত হয়েছেন বিভিন্ন মহলে।


জিনিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদিত্য নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় বলিউডি অভিনেত্রী পূজা বেদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। প্রেমিকা পূজা বেদির ১৫ বছর বয়সী কিশোরী কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আদিত্যের বিরুদ্ধে।

২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল কঙ্গনা রানাউতের। ২২ বছরের ছোট কঙ্গনাকে প্রেমের জালে জড়িয়ে ফেলেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক আদিত্য। এমনকি জনসমক্ষে কঙ্গনার সঙ্গে থিতু হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তাঁদের সে সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি।

জিয়া খানের মা রাবেয়া আমিন তাঁর মেয়ের আত্মহত্যার জন্য সুরজের পাশাপাশি তাঁর বাবা আদিত্য পাঞ্চোলিকেও দায়ী করেছেন।


এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, আমার মেয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশ ছিল বলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সত্যিটা হলো, সুরজ ও তার বাবা আদিত্য পাঞ্চোলির কাছ থেকে অসহনীয় যন্ত্রণা পাওয়ার কারণেই আত্মহত্যার মতো কঠিন পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে জিয়া।’



জিয়ার আত্মহত্যার এক দিন পর গত ৪ জুন সুরজের পাশাপাশি তাঁর বাবা আদিত্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মুম্বাই পুলিশ। তিনি আরও বলেন, বাবার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দেখতে দেখতেই বেড়ে উঠেছে সুরজ পাঞ্চোলি। বেশির ভাগ সন্তানই তার বাবাকে আদর্শ হিসেবে মেনে নিতে চায়। সুরজও হয়তো তেমনটাই করেছে। সুরজের নৈতিক স্খলনের জন্য বাবা হিসেবে কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না আদিত্য।

মৌসুমী আঠারো বছর পর আবারো প্রতারণার শিকার!

১৯৯৫ সালে চিত্রনায়িকা মৌসুমী ছিলেন দেশের শীর্ষ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীদের একজন। সেসময় তাঁর বিশ্বস্ত সহকারী হিসাবে নিয়োজিত ছিলো শহীদ নামের এক ব্যক্তি। বিশ্বাস করে মৌসুমী শুটিং এর সময় তাঁর টাকা পয়সা থেকে শুরু করে দামী গহনা গচ্ছিত রাখতেন। একদিন এভাবেই একটি নতুন ছবিতে সাইনিং এর নগদ দুই লক্ষ টাকা শহীদের কাছে রাখেন। কিন্তু বাসায় ফেরার আগেই সেই টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে যায় শহীদ। পরবর্তীতে আর তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পঁচানব্বই সালে বাংলাদেশী টাকায় দুই লক্ষ টাকা মানে অনেক টাকা! দীর্ঘ আঠারো বছর পর আবারো বিশ্বস্ত সহকারী দ্বারা প্রতারণার শিকার হলেন মৌসুমী। তাঁর দীর্ঘদিনের দুই সহকারী রেজা ও আরিফের প্রতারণার কারণে বিষণ্ণতায়ও ভুগছেন তিনি।
প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মৌসুমীর সহকারী ছিলেন তারা। মৌসুমীর অগোচরে সহকারী আরিফ ও রেজা এই চিত্রনায়িকার পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে ঘরের টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ সব কিছু থেকেই কমিশন নিয়েছে। গত সপ্তাহেই প্রথম বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। জানার পর রীতিমতো হতবাক হয়ে যান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমার ছেলেমেয়ে দুজন রেজার হাতে বড় হয়েছে। তার টাকার দরকার হলে আমার কাছ থেকে চেয়ে নিত। কিন্তু এ রকম প্রতারণার আশ্রয় নেওয়াটা বরদাশত করতে পারছি না।"

আঠারো বছর আগের ঘটনার শহীদের মতো আরিফও কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। সাথে বেশ কিছু টাকা ও দামি সম্পদ নিয়ে যায়। আরিফের হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া নিয়ে রেজাকে জেরা করলে বেরিয়ে আসে নানারকম গোপন তথ্য। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী একজন অভিনেতা জানান, পুলিশ এলেও রেজাকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়নি। মৌসুমীর ছেলে ফারদিনের অনুরোধে রেজাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বিশ্বাসভঙ্গের ভার কাটিয়ে উঠতে মৌসুমীর বেশ সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।

নোভার অনাগত সন্তান গর্ভে নিয়ে বৌভাত

ছোটপর্দার গুণী অভিনেত্রী নোভা মা হতে যাচ্ছে- এ খবরে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই! জানতে চেয়েছিলেন, নোভা বিয়েই বা করলেন কবে? ঘটনা হচ্ছে, ২০১১ সালেই নোভা গোপনে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন, তবে বিয়ের আনুষ্ঠানিতকতা পারিবারিকভাবেই সম্পন্ন হয়। ১১-১১-১১ তারিখকে স্মরণীয় করতেই এ দিনে নোভা ও তাঁর স্বামী, নির্মাতা রায়হান খান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আর আসছে জুলাইতে মা হচ্ছেন নোভা, ফলে এবার ধুমধামের সাথে অনাগত সন্তানকে গর্ভে নিয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা বা বৌভাত করতে যাচ্ছেন এ দম্পতি।
বিয়ের পর নানা গুজব উঠলেও এতোদিন নোভা-রায়হান তাদের বিয়ে কথা অস্বীকার করেছেন। আর এখন যেহেতু সন্তানের প্রসঙ্গ এসেছে, তারা সবাইকে জানিয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত করতে। আগামী ১৪ জুন ধানমণ্ডির ফোর সিজনস রেস্টুরেন্টে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নোভা ও রায়হানের আত্মীয় ও কাছের মানুষেরা।
এ প্রসঙ্গে নোভা বলেন, "দেড় বছর আগে বিয়ের পরই ইচ্ছে ছিল ঘটা করে অনুষ্ঠান করব। কিন্তু কিছুদিন পর আমার ভাই মারা যাওয়ায় তা হয়নি। এদিকে মা হতে চলেছি। এখন কাছের কয়েকজন মানুষকে নিয়েই বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করেছি। সবাই দোয়া করবেন আমার সন্তান যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আসতে পারে। সংসার গুছিয়ে আবার অভিনয়ে ফিরব।"
আগামী মাসেই মা হচ্ছেন নোভা, তাই ডাক্তারের পরামর্শে নোভা এখন পূর্ণ বিশ্রামে আছেন। অভিনয় জগৎ থেকেও সাময়িক বিরতিতে আছেন তিনি।


সালমান খানের স্পেশাল নাস্তা বাসি রুটি, চা

একটু অবাক হবার মতন খবর যে, প্রতিদিন সুদর্শন সালমান খান সকালে বাসি রুটি খান। সকালে যে গরম গরম রুটি-চাপাতি পান না সেজন্যে নয়, আগের দিনের রুটি পরের দিন সকালে নাকি তাঁর কাছে অমৃত সমান। খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সচরাচর সবাই সকালে গরম গরম ভাজা ডিম, পরোটা, ভাজি, টোস্ট এসব খেতেই ভালোবাসেন। সালমান খানের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে- স্বাস্থ্যবান এবং পেশীবহুল সুদর্শন বলিউডের এই নায়ক সকালে ঘুমের আড়মোড়া ভেঙ্গে প্রথমেই আগের রাতে বানানো বাসি রুটি চা দিয়ে খেয়ে নেন। আর এছাড়া সব সময়ই সালমান ঘরের তৈরী খাবার খেতে খুবই পছন্দ করেন। এমনকি তিনি যখন সেটে থাকেন, তখনও তাঁর প্রিয় খাবার ঘরের রান্না।

বলিউড তারকাদের আয়

ঝা চকচকে গাড়ি জমকালো পোশাকে বলিউড তারকাদের জীবন যে আর দশজনের মতই তা আমরা ক’জনই ভাবি? রূপালী জগতের আলোর বাইরে আমরা সাধারনরা তো তাদের কথা ভাবতেই পারি না। তাদের জীবন যাপন সবসময়ই রাজকীয়,আয়েশী কিংবা বিলাসীতায় ভরর্পু আর বিলাসী হবেনই বা কেন। তাদের দৈনিত আয় কত তা কি আপনি জানেন ? টাইমস অব ইন্ডিয়া সেটাই প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। ঢাকা টাইমস পাঠকদের জন্য সেটাই অনুবাদ করে দেয়া হল –

আমির খান : মিঃ পারফেকশনিস্ট দৈনিক আয়ের ব্যাপারেও পারফেক্ট। নতুন রুপে নতুন কোন বিষয় নিয়ে তিনি ক্যামেরার সামনে আসেন দর্শককে চমকে দিতে। তার দৈনিক আয় কত জানেন ? মাত্র ৫ কোটি রূপি।

কারিনা কাপুর : বিয়ে যে ক্যারিয়ারের জন্য প্রতিবন্ধকতা নয় সেটাই প্রমান করেছেন কারিনা কাপুর খান। জুয়েলারি থেকে শুরু করে ল্যাপটপের বিজ্ঞাপনেও তার সপ্রতিভ উপস্থিতি। তাইতো আয়ের অংকও অন্য নায়িকাদের চেয়ে বেশি। দিনে মাত্র ১.৫০ কোটি রূপি।

ক্যাটরিনা কাইফ : বলিউডের হার্টথ্যব ক্যাটরিনা কাইফ ও কি কম যান ? বিভিন্ন বিউটি প্রোডাক্ট,জুয়েলিসহ আরও অনেক কিছুর মডেল তিনি। তাইতো আয় ও কারিনার সমানে সমান। দৈনিক ১.০ কোটি রূপি।

শাহরুখ খান : বলিউড বাদশা শাহরুখ খান অভিনয়ের ফাঁকে বিজ্ঞাপনের জন্য বোধ হয় খুব কম সময়ই পান। তাই বলে আয় কিন্তু কম না। এখনও তিনি দৈনিক আয় করেন ১.৫০ থেকে ২ কোটি রূপি প্রায়।

রনবির কাপুর : তাকে ভাবা হয় শাহরুখের বিকল্প হিসেবে। নতুনদের মধ্যে রনবির এখন বেশিরভাগ ব্লগবাস্টার ছবির নায়ক। তরুনদের ক্রেজ। মোবাইল ফোন, মোটর বাইক কিংবা ঘড়ি সব ধরনের বিজ্ঞাপনেই তার সরব উপস্থিতি। আয়েও তিনি অন্যসব নতুনদের চেয়ে এগিয়ে। তার দৈনিক আয় কত জানেন ? মাত্র ৩ কোটি রূপি।

অক্ষয় কুমার : আয়ে বলিউডের আক্কুও পিছিয়ে নেই। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বিজ্ঞাপনেও তিনি আছেন। তাইতো তার আয় মাত্র ৩.৫০কোটি রূপি।

দীপিকা পাড়ুকোন : বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়–কোনের শুরুটা হয়েছিল বিজ্ঞাপন দিয়ে। এরপর তিনি পেয়ে যান শাহরুখের জন্য ওম শান্তি ওম এ অভিনয়ের সুযোপ। সেই থেকে তাকে আর পিছনে ফিরতে হয়নি। তাইতো তা দৈনিক আয় ১ কোটি রূপি।

সালমান খান : তাকে বলা হয় একশ কোটির নায়ক। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে আছেন তিনি। সর্বশেষ ক্যাটরিনার সঙ্গে একটি স্যান্ডেলেন বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। তার দৈনিক আয় ৩ কোটি রূপি।