Tuesday, June 4, 2013

ডায়াবেটিস ও হূদরোগ চিকিত্সায় নৌবাহিনীর প্রযুক্তি

পানির নিচে যোগাযোগের জন্য সাউন্ড নেভিগেশন অ্যান্ড র্যাংগিং বা সোনার পদ্ধতি ব্যবহার করেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিত্সকেরা সোনার পদ্ধতিটি ডায়াবেটিস ও হূদরোগ চিকিত্সায় কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
ইউনিভার্সিটি অ্যাট বাফেলোর গবেষকেরা সোনার প্রযুক্তির ক্ষুদ্রতম সংস্করণ মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস বা হূদরোগ চিকিত্সায় কাজে লাগিয়েছেন। এ পরীক্ষায় গবেষকেরা রিয়েল টাইমে মানুষের দেহের তথ্য পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষার সাফল্য নির্ভর করে আলট্রাসাউন্ডনির্ভর সেন্সরের ওপর। নৌবাহিনীতে এ পদ্ধতির সাহায্যে দিক নির্ণয় করা হয়। একই পদ্ধতির সাহায্যে চিকিত্সকেরা সনোগ্রাম করে থাকেন।
গবেষক টোমাসো মেলোডিয়া এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে প্রধান রোগগুলোর চিকিত্সায় এ প্রযুক্তিটির উন্নয়ন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। অবশ্য তারবিহীন পদ্ধতিতে ‘বডি এরিয়া’ নেটওয়ার্ক তৈরির ঘটনা আগে থেকেই চিকিত্সকদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু গবেষকেরা জিপিএস বা মুঠোফোন প্রযুক্তির মতো সব সেন্সরকে একত্র করে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে রূপ দেওয়ার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। এ পদ্ধতিতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কার্যকর হলেও অতিরিক্ত তাপ উত্পাদনের মতো সমস্যা তৈরি হয় এবং অধিক শক্তির উেসর প্রয়োজন পড়ে।
গবেষক মেলোডিয়া জানিয়েছেন, মানুষের শরীরের অধিকাংশ তরল হওয়ায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির তুলনায় আলট্রাসাউন্ড বেশি কার্যকরী হবে। নৌবাহিনী যেমন সোনার ব্যবহার করে সমুদ্রে অন্যান্য জাহাজের তথ্য বের করতে পারে, তেমনি মানুষের শরীরে ক্ষুদ্র একটি সোনার যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে শরীরের নানা তথ্য বের করতে পারবেন গবেষকেরা, যা ভবিষ্যতে চিকিত্সার ক্ষেত্রে নানা কাজে ব্যবহার করা যাবে বলেও তাঁরা আশাবাদী।
নতুন এ চিকিত্সা প্রযুক্তিটি নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন http://www.buffalo.edu/ এই লিঙ্কে।

No comments:

Post a Comment