ঝুঁকির মুখে রয়েছেন বাংলাদেশে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রাহকরা। এটিএম
বুথগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা এ ঝুঁকির কারণ। গোয়েন্দা বিভাগ
সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশের প্রায় ৬০ লাখ গ্রাহক ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন৷
এখন প্রায় সব ব্যাংকই এই দু’ধরনের কার্ড ইস্যু করে গ্রাহকদের৷ ২৪ ঘণ্টা নগদ
টাকা তোলা এবং কেনাকাটার জন্য দ্রুতই এই কার্ড বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে
উঠছে৷ কিন্তু সম্প্রতি ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত চক্রের এক সদস্য মোশররফ হোসেন
গ্রেপ্তার হওয়ার পর, কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে ব্যাংকগুলো৷
গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, এই কার্ড
জালিয়াতির ঘটনা আগে থেকেই ঘটে আসলেও ব্যাংকগুলো তাদের সুনামের কথা চিন্তা
করে চুপচাপ ছিল৷ কিন্তু এখন তারা তা স্বীকার করছে৷ তিনি জানান, কয়েকমাস আগে
সেলিম নামে এক ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত ব্র্যাক ব্যাংক থেকে চার লাখ ঢাকা
টাকা তুলে নিয়েছে বলে জানা গেছে৷ অন্যদিকে, চট্টগ্রামে সিটি ব্যাংকেও
ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে৷ জালিয়াত চক্র জাল ক্রেডিট কার্ড
থেকে ১০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছে বলে খবর৷ আর পুলিশ এই অপরাধে জড়িত থাকার
অভিযোগে আব্দুর রহমান এবং শ্রীলংকান নাগরিক মোহনা থারাসকে গ্রেপ্তার করেছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপের যে কার্ড ব্যবহার করা হয়
তা জাল করা খুবই সহজ৷ এ পর্যন্ত যে ক’জন ধরা পড়েছে তারাও একই কথা বলেছে৷
এছাড়া এটিএম বুথগুলো পুরনো প্রযুক্তির৷ বুথের কার্ড পাঞ্চ করার জায়গায়
স্ক্যাম প্রতিরোধক কোনো ব্যবস্থা নেই৷ তাই সেখান থেকেই এতদিন গ্রাহকদের
কার্ডের তথ্য এবং পিন চুরি হয়ে আসছিল৷ কিন্তু সম্প্রতি আটক হওয়া মোশাররফ
আরো আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে কার্ড জালিয়াতির জন্য৷ মশিউর রহমান জানান,
তাদের ধারণা এই প্রযুক্তি এখন আরো কয়েকটি গ্রুপের হাতে রয়েছে৷ যা
স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কার কারণ৷ ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন জীশান
কিংশুক হকও স্বীকার করেন যে কমপক্ষে একবার টাকা উত্তোলনের আগে এই প্রতারণা
ধরার সুযোগ নেই৷
বাংলাদেশে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডে এখনো মাইক্রো চিপস ব্যবহার করা হয় না৷
অথচ গোয়েন্দারা মনে করেন, মাইক্রো চিপস ব্যবহার শুরু হলে জালিয়াতি অনেক
কমবে৷ কারণ এটি কপি করার প্রযুক্তি এখানো বাংলাদেশে নেই৷
No comments:
Post a Comment