Monday, December 31, 2012

Sunday, December 30, 2012

থার্টি ফার্স্টে’ সন্ধ্যার মধ্যে ঘরে ফেরার অনুরোধ \


ইংরেজি বর্ষবরণ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ঘরে ফেরার অনুরোধ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ।
ওই দিন বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়ক, হোটেল-ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয় ও গির্জায় বাড়তি সতর্কাবস্থায় থাকবে পুলিশ। পুলিশের এই বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থার কার্যক্রম আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ এসব কথা জানান। ডিএমপির কমিশনার বলেন, এ সময় দায়িত্ব পালনে কোনো পুলিশ সদস্য যদি অবহেলা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সবাই যাতে ইংরেজি বর্ষবরণ উদযাপন করতে পারে, সে জন্য নগরের রাজপথে, বিশেষ করে গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এসব এলাকায় বসানো হবে ১৪টি বিশেষ চেকপোস্ট। রাজপথে থাকবে পুলিশের টহল দল। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যাওয়ার জন্য কেবল কাকলী ক্রসিং (কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ) ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এই সড়ক ছাড়া ওই এলাকায় প্রবেশের অন্য সড়কটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। একইভাবে আগামীকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যাওয়ার জন্য পুরোনো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার, জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় সড়কটি শুধু খোলা থাকবে বলে জানান ডিএমপির কমিশনার। তা ছাড়া রাজপথে অকারণে যানবাহনের হর্ন না বাজানোর অনুরোধ করেন তিনি।
ডিএমপির কমিশনার আগামীকাল রাতে অভিজাত এলাকার হোটেলের পানশালাগুলো সন্ধ্যা ছয়টার পর বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। কাল কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে উত্সবস্থলে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ইন্টারনেটের বিশাল তথ্যভান্ডার থেকে আপনার কাঙ্খিত তথ্যটি খুঁজে পাওয়ার কয়েকটি সহজ এবং ইউসফুল ট্রিক্স।

গুগলের অসংখ্য সার্চ অপারেটর আছে যেগুলো ব্যবহার করে আমরা আমাদের কাঙ্খিত তথ্যের সার্চ রেজাল্টকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তবে সবগুলো অপারেটর মনে রাখাও যে কারও পক্ষে খুবই কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাড়াতে পারে। এ কারণেই এই পোস্টে সবচেয়ে হেল্পফুল এবং বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি সার্চ ট্রিক্স আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্যগুলি ইন্টারনেটে খুজে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। 

প্রথমেই দেখা যাক গুগলের সার্চ অপারেটরের কমন সিনট্যাক্সটা কি? 

Operator:parameter 

দ্রষ্টব্যঃ কোলন চিহ্নের কোন পাশেই স্পেস দেবেন না। আরও মনে রাখবেন সার্চ অপারেটরগুলো সব 
কেস সেন্সিটিভ। 

[sb
]#site : এই অপারেটরটি যে কোন নির্দিষ্ট ওয়েব সাইট কিংবা এর সাব-ডোমেইন এ তথ্য খুঁজে বের করার জন্য খুবই কার্যকরি। 

উদাহরণ ১: sakib site:cricinfo.com এই সার্চটি আপনাকে শুধুমাত্র ক্রিকইনফো এবং এর সাব-ডোমেইন থেকে সাকিবের উপর সমস্ত ওয়েব পেজ রিটার্ন করবে।

উদাহরণ ২: Evolution site:edu - এই সার্চটি বিবর্তনের উপর শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েব ডোমেইন থেকে পাওয়া সার্চ রেজাল্ট আপনাকে দেখাবে। 
#filetype : আপনি গুগলে এই অপারেটর ব্যবহার করে যে কোন ধরণের প্রেজেন্টেশন স্লাইড খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারবেন। 

উদাহরণ ৩: Software design filetype:ppt এটি ব্যবহার করতে পারেন যখন আপনি সফ্টওয়্যার ডিজাইনের উপর পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড খুঁজছেন। 

উদাহরণ ৪: Software design filetype:pdf সফটওয়্যার ডিজাইনের উপর শুধুমাত্র পিডিএফ ফাইল সহ পেজ রিটার্ন করবে। 

উদাহরণ ৫: Software design filetype:pdf site:edu এই সার্চটি আপনাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডোমেইন গুলো থেকে পিডিএফ ফাইল সহ ওয়েবপেজ রিটার্ন করবে। 
#inurl : আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট কি ওয়ার্ড কোন ওয়েব পেজের URL এ খুঁজে পেতে চান তবে এই অপারেটরটি খুব কাজে লাগবে। 

উদাহরণ ৬: Inurl:bangla আপানাকে যে সমস্ত ওয়েব পেজের URL এ bangla শব্দটি আছে শুধুমাত্র সে সমস্ত ওয়েব পেজ রিটার্ন করবে। 

উদাহরণ ৭: inurl:program filetype:java এই সার্চটি জাভা সোর্স ফাইল রিটার্ন করবে যেখানে program শব্দটি URL এ উপস্হিত আছে। 

আপনি ইচ্ছা করলে allinurl অপারেটর ব্যবহার করটে পারেন যখন আপনি একের অধিক কি ওয়ার্ড URL এ খুঁজবেন। 

যেমন: allinurl: bangla music
#intitle: আপনি যদি পেজ টাইটেলে খুব কমন কোন শব্দ খুঁজে পেতে চান তাহলে এটি খুবই উপকারী। 

উদাহরণ ৮: intitle:hacking আপনাকে এমন সব ডকুমেন্ট সহ ওয়েব পেজ রিটার্ন করবে যার টাইটেলে hacking শব্দটা আছে। 

উদাহরণ ৯: intitle:hacking filetype:pdf এই সার্চটি হ্যাকিংয়ের উপর পিডিএফ ফাইল সহ ওয়েব পেজ রিটার্ন করেবে। 

আপনি যদি allintitle: একের অধিক কি ওয়ার্ড টাইটেলে খুঁজে পাওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন । যেমন allintitle:hacking virus filetype:pdf 
#define : গুগল সার্চকে যদি ডিকশনারী হিসাবে ব্যবহার করতে চান তবে এটা খুবই হেল্পফুল। ইন্টারনেটে অনেক ডেডিকেটেড ডিকশনারী সাইট আছে তবে গুগলের এই অপশনটি সেগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী। 

উদাহরণ ১০: define:hacker আপানকে hacker শব্দের মানে ব্যাখ্যা করা আছে এমন সব ওয়েব পেজ রিটার্ন করবে। 

উদাহরণ ১১: define:netwrok security আপানকে নেটওয়ার্ক সিকিউরিটির মানে সহ সব ওয়েব পেজ রিটার্ন করবে। 

দ্রষ্টব্য: define শব্দটির আগে কোন কিছু টাইপ করা যাবে না। অথবা অন্য কোন অপারটরের সাথে এটাকে একসাথে ব্যবহার করা যাবে না যেমনটা উপরে আমরা দেখেছি। 
#OR: কয়েকটি সার্চ রেকাল্টকে একসাথে করতে চাইলে এটি ব্যবহার করা যায়। গুগল And সার্চটি অটমেটিক ভাবেই কয়েকটি কি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু কখনও কখনও OR এর ব্যবহার খুবই দরকারি হতে পারে। 

উদাহরণ ১২: hacking filetype:pdf OR filetype:doc হ্যাকিংয়ের উপর উভয়ধরণের ফাইল খুঁজে পেতে এটা আপনাকে সাহায্য করবে। 

উদাহরণ ১৩: car site:en.wikipedia.org OR site:howstuffworks.com গাড়ির উপর তথ্যসহ ওয়েব পেজ সার্চ শুধুমাত্র এই দুটি সাইটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে। 

দ্রষ্টব্য: OR অবশ্যই বড় হাতের হবে এবং এর পরে কোলন ব্যবহার করা যাবেনা। 

আশা করি উপরের এই ট্রিক্সগুলি আজকের পর থেকে ইন্টারনেটে খুব সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়ি আপানার কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। 

how to tie your tie


sochin at ashraful's house



প্রিয় শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমেদ \

তিনি বি.এ. পাশ করলে হয়ত পরিবারের জন বড় কিছু হতেন। বি. এ. ফেল করে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করলেন। আর সমগ্র জাতির জন্য অমর এক প্রবাদ পুরুষ হয়ে গেলেন। “ওকি গাড়িয়াল ভাই / হাঁকাও গাড়ি তুই চিল মারির বন্দর এ রে”। এই একটা গানের লাইনে অখ্যাত এক চিল মারির বন্দরকে কোটি কোটি মানুষের মনে বিখ্যাত করে দিলেন। তিনি বাংলার অমর শিল্পী আব্বাদউদ্দীন আহমদ। জন্ম ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চমিবঙ্গের কুচবহিার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে। পিতা মোঃ জাফর আলী আহমদ ছিলেন আইনজীবী। মায়ের নাম হীরামন নেসা।

পাখীকে গাইতে দেখে তারও গাইতে ইচ্ছে হতো। বাড়ীর পাশে ছিল কালজানি নদী। মাঠে কৃষকেরা দিনরাত কাজের ফাঁকে ফাঁকে গাইতো ভাওয়াইয়া গান। প্রথাগত গানের শিক্ষা বলতে তেমন নেই তাঁর। গানের ওস্তাত বলতে মাঠের সেই কৃষকেরা আর পাখপাখালীর গান।

১৯৩০ সালে প্রথম গানের রেকর্ড বের হয় তার। ‘কোনো বিরহীর নয়নজলে’ এবং ‘স্মরণপারের ওগো প্রিয়' এই দুটি গানই ছিল আধুনিক ধাচের গান। কলের গান শুনে শুনে গান গাইলে যা হয় তাই হলো। স্বকীয়তা বলতে সে গানে কিছুই ছিল না। একদিন কৃষ্ণচন্দ্র দে’র একটি গান নকল করে গাইছিলেন আব্বাসউদ্দীন। কাজী নজরুল ইসলাম পিছনে এসে দাড়িয়ে ছিলেন কখন তা টের পাননি। নজরুল তখন ডেকে বল্লেন - ‘আব্বাস, চোখ তোমার অন্ধ হয়নি বরং চশমা পর্যন্ত এখনও নাওনি। কাজেই সেদিক থেকে তুমি কানা-কেষ্ট নও। তারপর ওঁর গলায় নকল করে গান গাইলে জীবনভর তোমাকে এই অপবাদের বোঝা মাথায় নিয়ে বেড়াতে হবে যে ‘আব্বাস! ও তো কেষ্টবাবুর নকল!’ এই কথাগুলো ধাক্কার মত লাগলো বুকে। তিনি তখনই ঠিক করলেন তার নিজস্বতা দরকার। আর সেই নিজস্বতার পথ হিসাবে খুঁজে নিলেন আজন্ম বয়ে চলা গ্রাম বাংলার সুরকে। সঙ্গে পেলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি জসিমউদ্দীন, কিব গোলাম মোস্তফার মত অসীম প্রতিভাধর সৈনিকদের।

তখনকার রেকর্ড কোম্পানীর ম্যানেজার ভগবতী বাবু আব্বাসউদ্দীনের পল্লীগানের আবেদনে সাড়া দিলেন না। পরে ঠিক হলো পল্লীর সুরে রেকর্ড বের করা যাবে কিন্তু শব্দগুলো হবে আধুনিক। আর শব্দ চয়নের ভার দেয়া হলো কাজী নজরুল ইসলামকে। গান বের হলো, ‘নদীর নাম সে অঞ্জনা’ এবং ‘পদ্ম দিঘীর ধারে ধারে’। ১৯৩২ সালে বের হওয়া সে রেকর্ডের উপরে লেখা গলো গ্রাম্যসঙ্গীত। কলকাতার তখন আশি ভাগ মানুষেরই মূল বাড়ী পল্লী অঞ্চলে। তাই রাস্তায় মানুষজন থেমে গেল সেই সুর ও কথা শুনে। সবাই অবাক হয়ে ভাবলো, নাড়ীতে টান মারা সেই সুরে কে কথা কয়! অসম্ভব সফলতার মুখ দেখলো এই রেকর্ড। পরে গ্রামের সহজ সরল শব্দে রেকর্ড বের হলো - ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ এবং ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’। এই রেকর্ডের উপর লেখা হলো ‘শিক্ষিত কবির কাব্যে যখন পড়ি, ‘এ পারে চক্রবাক ওপারে চক্রবাকী, মাঝেতে বহে বিরহিণী। তখন মনের আগে বুদ্ধি দিয়ে আমরা রস উপলব্ধি করি। কিন্তু অশিক্ষিত কবির গানে যখন দেখি ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে’ আর বিরহিণী বগীর মর্মব্যথায় সারা আকাশ ছলছল! তখন আর বুদ্ধি প্রয়োগের দরকার হয় না। বিরহের এই অতি সহজ প্রকাশভঙ্গি তীরের মতো সোজা এসে মানুষের মর্মে বেঁধে।’ এইসব গানের জনপ্রিয়তা ভেঙ্গে দিল আগের সব জনপ্রিয়তার রেকর্ড!

আব্বাসউদ্দীনের অনুরোধে কাজী নজরুল লিখেন ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে’ গানটি। এবং নিজের কন্ঠে তা তুলেও নিলেন। এই রেকর্ড বের হবার মাত্র দুই মাস পর ছিল রোজার ঈদ। হিন্দু মুসলিম সবাই মুগ্ধ হয়ে গেল সেই গানে। একে একে অনেক অনেক ইসলামী গান লিখলেন নজরুল, গাইলেন আব্বাসউদ্দীন।

তিনি চারটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। দীর্ঘদিন পক্ষাঘাত রোগ ভোগের পর ১৯৫৯ সালের ৩০ এ ডিসেম্বর সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাসটি ত্যাগ করেন। বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে এই শ্রদ্ধেয় শিল্পী ততদিন অন্তত অমর থাকবেন।

নয়াদিল্লির ছাত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন \


নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেল ছাত্রীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স
নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেল ছাত্রীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স
ভারতের নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো মেডিকেল ছাত্রীর শেষকৃত্য আজ রোববার ভোরে শেষ হয়েছে। বার্তা সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 
আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই ছাত্রীর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় তাঁরা ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন। 
এরপর ওই ছাত্রীর মরদেহ তাঁদের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এমনকি সেখানে গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশাধিকারের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
ভারতের দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেলের ছাত্রী প্রায় দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল শনিবার সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় গতকাল নয়াদিল্লিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রাস্তায় মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার দাঙ্গা পুলিশ। অনেক সড়ক, বিপণিবিতান ও মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে পাঁচজনের বেশি একত্রে জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। শান্ত থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সোনিয়া।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর একটি বিশেষ বিমানে করে তাঁর লাশ দেশে আনা হয়।
১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে ছয়জন দুর্বৃত্ত মেডিকেলের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে তাঁকে ও তাঁর ছেলেবন্ধুকে পিটিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীকে দিল্লির সফদারজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচারের পরও অবস্থার অবনতি হতে থাকায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর জানার পরপরই প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ। এ ছাড়া মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, অমৃতসর, শিলিগুড়িসহ বেশির ভাগ বড় বড় শহরে বিক্ষোভ হয়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ হয়। গতকাল ভারতজুড়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে শোক প্রকাশ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।

Saturday, December 29, 2012

মৃত্যু লড়াই করতে দিল না তাঁকে /

লড়াই না করে কোনোভাবেই হারব না’—গত শনিবার পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে এমন কথা বলেছিলেন ভারতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেলের ছাত্রী। কিন্তু মৃত্যু তাঁর এ লড়াইয়ে বাদ সাধল। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আজ শনিবার স্থানীয় সময় ভোর চারটা ৪৫ মিনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 
হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেলভিন লোহ বলেছেন, ‘শান্তিতেই মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর সময় স্বজন ও ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা তাঁর পাশেই ছিলেন।’
কেলভিন জানান, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের একটি দল ওই তরুণীর চিকিত্সা করছিল। তবে শরীরে ও মস্তিষ্কে মারাত্মক আঘাতের কারণে তাঁর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়ছিল। এ কারণেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হলো না। তাঁর মস্তিষ্ক, ফুসফুস ও তলপেটে গুরুতর জখম ছিল।

Friday, December 28, 2012

বাবার জবাব শুনে.


পেপার পড়ায় ব্যস্ত বাবা
খুব মনযোগ দিয়ে,
ঠিক তখনই ছোট্ট ছেলে
বললো হঠাৎ গিয়ে-
আচ্ছা বাবা, নদীর পানি
যায়-বা কোথায় বলো?
প্রশ্ন শুনে ভীষণ রেগে
বাবা তখন ক'লো-

নদীর সকল পানি আমার
মাথায় জমা হয়।
জবাব শুনে ছোট্ট ছেলে
খানিক হেসে কয়-
তাইতো বুঝি বাবার কভু
সর্দি হলে পরে
মাথায় জমা পানিগুলো
নাক'টা দিয়ে ঝরে!

Thursday, December 27, 2012

গুগলের উদ্যোগ সর্বশেষ ব্রেকিং নিউজ জানাতে ........।


সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ জানাতে এখন কাজ করছে গুগল। তাৎক্ষণিক সংবাদে আরও এগিয়ে যেতে সর্বশেষ ব্রেকিং নিউজ এবং একইসঙ্গে অন্য সব গণমাধ্যমগুলোর সংবাদগুলোকে সামনে নিয়ে আসার জন্য গুগল সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

সংবাদের মাধ্যমের ওপর জোর দিয়ে গুগল জানিয়েছে, মানুষ এখন বিভিন্ন নিউজ সাইটে যেতে চায় না। সংবাদপ্রেমীরা এখন একটা নির্দিষ্ট সাইটে সব ধরনের সংবাদ পেতে আগ্রহী। গুগল এ বিষয়েই কাজ করবে। 

অন্য সব জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে আরএসএস ফিড করবে গুগল। এ ছাড়াও সংবাদ পরিবেশনের জন্য অ্যাপলিকেশন তৈরিতেও হাত দিয়েছে গুগল। 

গুগলের গবেষণায় সুস্পষ্ট দেখা গেছে, এ মুহূর্তে আইসিটি বিষয়ক সংবাদের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। তাই শুরুতেই তথ্যপ্রযুক্তির সংবাদের ওপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে গুগল।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদের জনপ্রিয়তাও এখন বহুগুণ বেড়েছে। এ বিষয়ে গুগল অবগত আছে বলেও গুগল সূত্র জানিয়েছে। অচিরেই সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য
বিশেষ সংবাদ সরবরাহের 
ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে গুগল।

ক্যারিয়ার গড়ুন ইমেইল মার্কেটিংয়ে!

ইমেইল মার্কেটিং বা সরাসরি বিপনন ব্যবস্থা হল মার্কেটিং-এর এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারের ইমেইলে কোন পণ্য বা সেবার বিবরণসহ পণ্য সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী প্রেরণ করা হয়, ফলে কোন কাস্টমার ওই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাগুলো ইমেইলের ইনবক্সেই পেয়ে যান এবং তিনি পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। শুধুমাত্র আমেরিকাতে ২০১১ সালে ১.৫১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয় ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য, যেটা বর্তমানে ২.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। আরেকটি মজার তথ্য আছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যত বিক্রি হয় তার ২৪ শতাংশই ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং অনেক মার্কেটারের কাছে জনপ্রিয় পদ্ধতি। শুধুমাত্র ইমেইল মার্কেটিং রপ্ত করে বিভিন্ন অ্যাফেলিয়েট নেটওয়ার্ক থেকে (যেমন: Clickbank, Commission Junction, Plimus, One Network Direct) অ্যাফিলিয়েশনের প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে ইমেইল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে প্রতি মাসে ৫০০ ডলার থেকে শুরু করে ২০ হাজার ডলার বা তারও বেশি আয় করছে অনেক মার্কেটার।

মজার ব্যাপার হল, ইমেইল মার্কেটিংয়ের মত এই শক্তিশালী টুলসের ব্যবহার জানা অত্যন্ত সহজ এবং স্বল্পমেধা সাপেক্ষ। যেকেউ ঘরে বসেই ইমেইল মার্কেটিংয়ের সব কাজ করতে পারেন, এর জন্য আলাদা কোন অফিস নেওয়ার প্রয়োজন নেই। নেই কোন অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার কেনার ঝামেলাও।

ইমেইল মার্কেটিংয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
একজন ইমেইল মার্কেটার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে দু’ভাবে কাজ করতে পারে। ১. ঘন্টা হিসেবে এবং ২. নির্ধারিত মূল্যে। আর এখানে পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম কাজ করারও সুযোগ আছে। দক্ষ ইমেইল মার্কেটার হতে পারলে কাজের অভাব নেই। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সাধারণত ইমেইল মার্কেটিংয়ের যে কাজগুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে টেমপ্লেট ডিজাইনিং, ইমেইল নিউজলেটার তৈরি, ইমেইল প্লাটফর্ম মেইনটেইনেন্স, সাপ্তাহিক বা মাসিক নিউজলেটার পাঠানো, বিজনেস প্রোপোজাল লেটার ডিজাইন ও ইমেইল কনটেন্ট রাইটিং উল্লেখযোগ্য।

একজন ফ্রিল্যান্স ইমেইল মার্কেটারের আয়
ইমেইল মার্কেটিং এর পরিধি ব্যাপক। অ্যাফিলিয়েশন থেকে শুরু করে নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানে সার্ভিস প্রদান করে এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে হাজার হাজার ডলার আয় করছে অনেক ইমেইল মার্কেটার। এই ক্ষেত্রটিতে সৃজনশীল তরুণ-তরুণীরা খুব দ্রুত ভালো কিছু করতে পারে। ইমেইল মার্কেটিং কে ক্রিয়েটিভ সেক্টরও বলা চলে। আপনি আপনার ক্রেতাদের কাছে পণ্যকে কিভাবে উপস্থাপন করবেন, তা নিতান্তই আপনার উপর। তবে আপনি যত সৃজনশীল উপায়ে পণ্যকে উপস্থাপন করতে পারবেন আপনার বিক্রিও তত বেশি হবে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ওডেস্কে যত কাজ রয়েছে তার ১৫ শতাংশই ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সাধারণত ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজে প্রতি ঘন্টায় ৮ থেকে ১০ ডলার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে নতুনরা ৪ থেকে ৫ ডলার পেয়ে থাকে। এছাড়াও নির্ধারিত মূল্যে কাষ্টম ইমেইল টেমপ্লেট ডিজাইনিং ও বাল্ক মেইল পাঠানোর কাজ রয়েছে। সর্বসাকুল্যে একজন সাধারণ ইমেইল মার্কেটার মাসিক ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা আয় করতে পারে।

চালু হলো বনানী উড়ালসড়ক \



বনানী উড়ালসড়ক আজ বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে বনানী উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেন। ঢাকার যানজট নিরসনে বর্তমান সরকারের নেওয়া এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু হলো।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বনানী হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭২টির বেশি ট্রেন চলাচল করে। এতে একদিকে গুলশান-জাহাঙ্গীর গেট-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অন্যদিকে বনানী-বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উড়ালসড়কটি চালু হওয়ায় সব যানবাহন রেললাইনের ওপর দিয়ে চলে যাবে। ট্রেন চলাচলের কারণে যানগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।
প্রকল্পটি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই উড়ালসড়ক নির্মাণ করেছে। ৮০৪ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কটি নির্মিত হয়েছে বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর। এতে ব্যয় হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। 
সওজ সূত্র জানায়, বনানী উড়ালসড়ক নির্মাণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১০ সালের মার্চে। কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি। প্রকল্প প্রস্তাবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালের জুনে। তবে ছয় মাস আগেই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
ছয় লেনের বনানী উড়ালসড়কটি প্রস্থে ২২ দশমিক ৫২ মিটার। আর্মি স্টেডিয়ামের কাছ থেকে উড়ালসড়কের শুরু। বনানী-বিমানবন্দর সড়কের ওপর দিয়ে রেললাইন পার হয়ে সেটি শেষ হয়েছে নৌবাহিনীর অফিসার্স মেসের কাছে গিয়ে।

সংগীতশিল্পী সোহরাব হোসেন আর নেই \


নজরুলসংগীত ও শাস্ত্রীয় সংগীতের খ্যাতিমান শিল্পী সোহরাব হোসেন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন এই শিল্পী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মূত্রথলিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ছাড়াও কান, কিডনি, হূদযন্ত্রসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা ধরা পড়ে।
১৯২২ সালের ৯ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটের কাছাকাছি আয়েশতলা গ্রামে জন্ম নেন সোহরাব হোসেন। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ছিল তাঁর আগ্রহ। 
নয় বছর বয়সে রানাঘাটের সংগীত শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের কাছে তাঁর গান শেখা শুরু হয়। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় তত্কালীন জমিদার ক্ষীরোদ পাল চৌধুরীর নজরে পড়েন তিনি। জমিদার তাঁকে কিরণ দে চৌধুরী নামের এক সংগীত শিক্ষকের কাছে গান শেখার ব্যবস্থা করে দেন।
পরিবারের লোকজন তাঁর সংগীতপ্রীতির বিষয়টি ভালোভাবে দেখতেন না। এ কারণে তাঁর পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে ব্যবসার কাজে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁর শিক্ষক কিরণ দে চৌধুরীর মাধ্যমে পরে কলকাতায় গিয়ে শ্রীরঙ্গম থিয়েটারে মাসে ১২ আনা বেতনে গান গাওয়ার কাজ পান তিনি। সোহরাব হোসেন কলকাতায় ইন্দুবালা, গিরীশ চক্রবর্তী, কৃষ্ণচন্দ্র দের মতো বিশিষ্ট শিল্পীর সাহচর্য পান।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ঢাকায় চলে আসেন সোহরাব হোসেন। তিনি আব্বাস উদ্দীনের মাধ্যমে ৪১ জিন্দাবাজার লেনের একটি বাড়িতে ওঠেন। চাকরি পান তথ্য বিভাগে। এ ছাড়া তিনি নিয়মিত রেডিওতে অনুষ্ঠান করতেন এবং শিক্ষার্থীদের তালিম দিতেন।
ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, শিল্পী শচীন দেব বর্মণ ও অঞ্জলি মুখার্জির সঙ্গে তাঁর খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি আব্বাস উদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন এবং গান গেয়েছেন। চলচ্চিত্রেও তিনি প্লেব্যাক করেছেন। 
অভিনয়েও পারদর্শী ছিলেন সোহরাব হোসেন। তুলসী লাহিড়ীর ‘ছেঁড়া তার’ নাটকে অভিনয় করে দর্শক নন্দিত হয়েছিলেন তিনি। দেশের অনেক জনপ্রিয় ও গুণী শিল্পী তাঁর কাছে সংগীতে তালিম নিয়েছেন। তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন সংগীতজ্ঞ সনজীদা খাতুন, শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, আতিকুল ইসলাম, সাদিয়া মল্লিক প্রমুখ।

Tuesday, December 25, 2012


শফি ইমাম রুমির (বাঙ্গালী: শফি ইমাম রুমী) ছিল একটি বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার গেরিলা যোদ্ধা. তিনি জাহানারা ইমাম এর জ্যেষ্ঠ পুত্র. তার বিখ্যাত স্মৃতিকথা যুদ্ধ সংক্রান্ত ইন, রুমির জাহানারা ইমাম  এর Mémoire Ekattorer Dingulee মধ্যে প্রথম অক্ষর এক হিসাবে দেখা যায় এবং তার কারণ হল, তার মৃত্যু হলে তিনি শহীদ Janoni বা শহীদ এর মা বলা হয়.

রুমির 29 উচ্চতর জাহানারা ইমাম এবং শরীফ ইমাম মধ্যম বর্গ পরিবারে জন্মগ্রহণ মার্চ 1951 ছিল. তিনি স্থানীয় আজিমপুর এ কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তার শিক্ষা শুরু করেন. রুমির Adamji ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ থেকে 1968 সালে তার ম্যাট্রিক পাশ. তিনি পাকিস্তান শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে দাঁড়িয়ে তৃতীয়. কলেজের দিন সময়, রুমির সঙ্গে তার বন্ধু বরাবর ইউনিভার্সিটি অফিসার্স ট্রেনিং কোর এ যোগ দেন. তিনি পরে ছিল সার্জেন্ট পদে যাও উন্নীত হবে. মার্চ 1971, তিনি তার H.S.C. সম্পন্ন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ [1] (বর্তমানে বুয়েট) ভর্তি করা হবে. তিনি ইলিনয় ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি মধ্যে ছিল নথিভুক্ত কিন্তু কারণে যুদ্ধ উপস্থিত থাকতে পারিনি. [2]
[সম্পাদনা] বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার

আমরা একটি যুদ্ধ ন্যায়যুদ্ধ হয়. আমরা জয়লাভ করা হইবে. আমাদের জন্য প্রার্থনা করেন. আমি কি লিখতে জানি না ... তাই অনেক লিখতে হয় সেখানে. কিন্তু নির্মমতা আপনি শুনতে প্রতিটি গল্প, ভয়ানক ধ্বংসের যে আপনি দেখতে প্রতিটি ছবি সত্য. তারা আমাদের মধ্যে একটি বর্বরতার মানব ইতিহাসের অনুপম সঙ্গে টুটা আছে. এবং নিশ্চিত হিসাবে নিউটন অধিকার ছিল, তাই তাদের মধ্যে আমরা খুব ভালো হিংস্রতা সঙ্গে বিছিন্ন করা হইবে. ইতিমধ্যে আমাদের যুদ্ধ উন্নত. যখন monsoons আসা আমরা আমাদের অপারেশন প্রবল বা তীব্র করে তোলা হইবে.
""
-শফি ইমাম রুমির সৈয়দমোস্তফা কামাল  পাশা একটি চিঠিতে [3]
যুদ্ধের আগে ভাগে সময়, রুমির ক্রমাগত প্রদান যাও যাও যুদ্ধ খিদমৎ অনুমতি তাঁর মা সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে. হিসাবে তার মাকে অবশেষে রাজি হন 19 এপ্রিল 1971, [4] রুমির তার যাও 2 সীমানা ক্রুশ প্রথম প্রচেষ্টা কম্পাইল মে. [5] কিন্তু বিরূপ পরিস্থিতির জন্য ফিরে আসা ছিল এবং তার দ্বিতীয় চেষ্টা সফল হয়ে ওঠে. তিনি Melaghar, আগরতলা মধ্যে সেক্টর 2 অধীন যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন. এটা ছিল সেক্টর খালেদ মোশাররফ ও রশিদ হায়দার তত্বাবধান. তাঁর প্রশিক্ষণের পর তিনি ক্র্যাক পল্টন, একটি গ্রুপ যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা প্রধান অপারেশন পরিচালিত যোগ দিতে ঢাকা আসেন. তার প্রধান লক্ষ্য যাও Siddhirganj বিদ্যুৎ কেন্দ্র বোমা ছিল. [6] রুমির কিছু ধানমন্ডি রাস্তা এক সহ এর ক্লোজিং encounters পরিচালিত হয়. [7]
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং পরমুহুর্তের দ্বারা গ্রেফতার [সম্পাদনা]

তিনি তার অপারেশন করার পরে ওঠে তার সহকর্মী ওয়ারিয়র্স একটি আইকন. তিনি থাকুন তাঁর বাড়িতে 29 অগাস্ট রাতে, 1971, রাতে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী গেরিলা একটি অজানা উত্স থেকে তাদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে যোদ্ধাদের সবচেয়ে ধরা. তাঁর পিতা, অনুজ এবং একটি পিসতুত ভাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল. তারা প্রথম ছিল মিরপুর রোড এবং হাতি রাস্তা ছেদ নিয়েছে. একটি সামরিক জীপ্ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সামনে তারা এখন পর্যন্ত রেখাযুক্ত ছিল আপ মুখে হেডলাইট ছুঁড়ে তাদের প্রতিটি চিহ্নিত. সব রুমির মধ্যে এবং বিভক্ত নেন একটি সামরিক গাড়ী যখন অন্যান্য গ্রেফতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শরীফ তাদের পরিবার গাড়ির ছিল না. শরিফ নিজে এবং ড্রাইভিং দুটি সশস্ত্র সামরিক ব্যক্তিদের সাথে ছিল, ছিল সামরিক কনভয় নিম্নলিখিত. পরে রুমির তার বাবাকে বলেন আটক যে গাড়ির মধ্যে রুমির প্রায় সব মুক্তিযোদ্ধা সে দিন পূর্বে গ্রেফতারের সাথে সাথে যুদ্ধ ছিল. তবে হাতি রোড থেকে তারা রমনা থানা যেখানে একটি শনাক্তকরণের নতুন ধারাবাহিক জায়গা নেয় যাও তোলা হয়েছিল. সেখানে সামরিক কনভয় নেতৃত্বে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, এই সময় খুব শরিফ রক্ষণাবেক্ষণ একটি অংশ হিসাবে ছিল ড্রাইভিং থেকে যদিও ছিল বন্দীদের একজন. ইন ঢাকা সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর উভয় রুমির এবং অন্যদের গম্ভীরভাবে নির্যাতন এবং একটি ছোট রুম কাছাকাছি কোথাও ভিতরে বা ক্যান্টনমেন্ট একটি ছাত্রাবাস তাদের রাখা. যে রুম ইন অনেক রাতে অন্যান্য ভুক্তভোগীদের শিল্পী আলতাফ মাহমুদ, আবুল Barak এবং রুমির এর সহকর্মী আজাদ, জুয়েল এবং অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করে তারা এখন পর্যন্ত. অনুষঙ্গী হয় [8] রুমির ব্যাখ্যা তার ভাই Jami যে ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী তার অপারেশন সম্পূর্ণ সচেতন এবং তিনি এবং তার সহকর্মী Bodi পূর্ণ গ্রহণ দায়িত্বের মধ্যে আক্রমণ. তিনি শরীফ এবং Jami একই বিবৃতি দিতে এবং সেনা যে পরিবার (এর রুমির) ছিল তার কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনবগত বলতে উপদেশ দেওয়া.
রুমির এর তুতো ভাই বা বোন তাদের সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, জনশ্রুতি সেপ্টেম্বর 2, 1971 উপর মুক্ত কারণ তখন তিনি একটি বাসের টিকেট যা ঘটনাক্রমে তার পকেটে ছিল এবং তাকে একটি প্রমানিত রুমির এর বসবাসের স্থায়ী বাসিন্দা হতে না দেখাতে সক্ষম ছিল. শরীফ, Jami সেপ্টেম্বর 4 কাটা আলগা দু 'দিন পরে. শরীফ, ক্লান্ত গ্লানি থেকে এবং তীব্র যন্ত্রণা থেকে আহত, তার হাতি রোড বসবাসের তার গাড়ী চালায়. রুমির তার সহ - যোদ্ধাদের Bodi, জুয়েল এবং অন্যদের অন্যদের সঙ্গে, পরে পাওয়া যায় নি কখনও ছিল assumably, ওঠে সামরিক গোষ্ঠী দ্বারা massacred মানুষ শত সহস্রের মধ্যে অন্যতম. [9] কয়েকটি সূত্র দাবি করে যে গ্রেফতার স্বাধীনতা যোদ্ধাদের একটি নম্বর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে সেপ্টেম্বর 4 এবং রুমির এর মধ্যরাত্রে তাদের একজন ছিল. মধ্যে বন্দী, Chullu, রুমির এর শূর সহ - যোদ্ধাদের এক, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে, যেখানে সীমাবদ্ধ তিনি সেক্টর-2 স্বাধীনতা যোদ্ধাদের একটি গ্রুপ দ্বারা পরে মিত্র বাহিনীর 16 ডিসেম্বর ঢাকা দখল থেকে উদ্ধার করা হয়. ছিল [10]
হিসাবে সাথে তার সহ - যোদ্ধাদের বরাবর রুমির ঢাকা মহানগর ভিত্তিক গেরিলা মূল masterminds হিসাবে যে ডেট ছিল অভিনয় করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে প্রায় সব ঢাকায় তারপর স্থিত দিন 29 আগস্ট প্রায় বন্দী ছিল, কঠোর ব্যবস্থা একটি অস্থায়ী মুক্তি স্থগিত হিসাবে আবির্ভুত ঢাকা বাহিনীর অপারেশন. পরে, যদিও সেক্টর কমান্ডার 2 Maj. খালেদ মোশাররফ মূলত কারণ intensifying সেপ্টেম্বর শেষে সীমান্ত বিবাদ, তার ঢাকা সরবরাহ হ্রাস করা ছিল আবার রাজধানী ঘন সামরিক ইউনিটে গেরিলা আক্রমণ এবং কী অবস্থানের উপর বোমা দ্বারা, শুরু করা হচ্ছে এবং এই ধুত সময় এটি পাকিস্তানী সমর্পণ যাও প্রতিবার প্রায় আপ ডিসেম্বর পরে যে বছর.
হিসাবে ইয়াহিয়া খান 5 সেপ্টেম্বর ভর রহমত ছাপানো সেট ছিল, 1971 অনেক পরিবার আত্মীয়দের সরকার রুমির জন্য কৃপাভিক্ষাপত্র জিজ্ঞাসা instated. রুমির বাবা মা এর পরামর্শ গ্রহণ এটি উপর এবং চিন্তা কিন্তু পরে তাই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ তারা এটি রুমির এর মতামত এবং রাজনৈতিক মতাদর্শে একটি অসম্মান যাও গণ্য হবে. [11]
রুমির বাবা Engr. শরীফ ইমাম 13 ডিসেম্বর 1971 একটি বিশাল হৃদয় আক্রমণ নিয়েছেন, IPGMR (PG হাসপাতালে, BSMMU পরে পালটে হিসাবে জনপ্রিয়), যেখানে তিনি নিশুতি মারা যাও rushed ছিল কারণ defibrillator ব্যবহৃত কারণে নিষ্প্রদীপ হচ্ছে বাহিত করা যায়নি সরকারী হিসাবে একটি ইন্দো পাক যুদ্ধ আউট একটি সপ্তাহ আগে শুরু করে. [12] তিনি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পাস নম্বর পাচ্ছেন না জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর পাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক নম্বরের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষাতেই এঁরা জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নির্দেশিকা থেকে জানা যায়, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’, কলা অনুষদের অধীনে ‘খ’ এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ‘গ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ১২০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৮ নম্বর পেতে হয়। এর মধ্যে ‘খ’ ইউনিটে ইংরেজি ও বাংলায় কমপক্ষে ৮ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১৭ নম্বর পাওয়ার শর্ত রয়েছে। আর ‘গ’ ইউনিটে ইংরেজিতে কমপক্ষে ১২ নম্বর পেতে হবে। ‘ঘ’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে পৃথকভাবে কমপক্ষে ৮ নম্বর করে পেতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ বছর স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ক, খ ও গ ইউনিটে জিপিএ-৫ পাওয়া ৪৪ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬৮ জন বা প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই অনুত্তীর্ণের হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৫৩ শতাংশ। 
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৯০ জনের মধ্যে এক হাজার ৫৪৭ জন বা ১০ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। পরে ইউনিটভিত্তিক আসনসংখ্যা অনুযায়ী তাঁদের মধ্য থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পান। তবে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন না।
ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারছেন না কেন, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা কিংবা সুপারিশ রয়েছে কি না, জানতে কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এসে পাসের ন্যূনতম নম্বর পাবেন না, এটা হয় না। তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য একজন শিক্ষক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করতে পারেন কি না, তা ভাবা দরকার। আবার ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়ার মধ্যেও গলদ থাকতে পারে।
বিজ্ঞান অনুষদে অনুত্তীর্ণ ৫১ শতাংশ : চলতি বছর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ৬২ হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩০ হাজার ৯১৪ জন শিক্ষার্থী ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়া। এঁদের মধ্যে পাস করেছেন ১৫ হাজার ১২৭ জন। বাকি ৫১ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ৪২ শতাংশ। এ ছাড়া, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া সাত হাজার ১০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুই হাজার ২২৭ জনই উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
৭৫ শতাংশ অনুত্তীর্ণ ‘খ’ ইউনিটে: কলা অনুষদের অধীনে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৬৮ ও ৫৬ শতাংশ।
এ বছর ‘খ’ ইউনিটের দুই হাজার ২৭৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৩৮ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া পাঁচ হাজার ৯০১ জনের মধ্যে এক হাজার ৪৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জিপিএ-৫ পাওয়া অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৮ পেয়েও বিষয়ভিত্তিক ন্যূনতম নম্বর পাননি ১৭১ জন। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে ৮ নম্বরের কম পেয়েছেন যথাক্রমে ৯০ ও ৭১ জন। সাধারণ জ্ঞানে ১৭-এর কম পেয়েছেন ১০ জন।
এ ছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া ৬৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ২১০ জন।
তুলনামূলক ভালো ‘গ’ ইউনিটে: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৮ শতাংশ উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১১ সালে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৭৮ শতাংশ।
এ বছর ‘গ’ ইউনিটে এক হাজার ৭৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১ হাজার ৪৮১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সাত হাজার ৮২৭ জন; পাস করেছেন তিন হাজার ২৮৭ জন। অনুত্তীর্ণদের মধ্যে দুই হাজার ২৬১ জন মোট ৪৮ পেয়েও ইংরেজিতে ১২ নম্বরের কম পেয়েছেন।
৯০ শতাংশ অকৃতকার্য ‘ঘ’ ইউনিটে: বিভাগ পরিবর্তনকারী এই ইউনিটে ক, খ ও গ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দেন। এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশ পাস করতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৬২ শতাংশ।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে এক হাজার ২৬২ আসনের বিপরীতে ৫৯ হাজার ৮৭৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ১৫ হাজার ৯০ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র এক হাজার ৫৪৭ জন।
এ ছাড়া এই ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া এক হাজার ৫৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২৭৪ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ডের সিলেবাসের ভিত্তিতেই মূলত প্রশ্ন করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতাও যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভর্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলই যে চূড়ান্ত নিক্তি নয়, এই চিত্র তাই প্রমাণ করে।

খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ‘কখন আসবে মা?


খিলগাঁওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত আতিকা সুলতানা। গতকাল ঢাকা মেডিকেল থেকে তোলা ছবি
খিলগাঁওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত আতিকা সুলতানা। গতকাল ঢাকা মেডিকেল থেকে তোলা ছবি
প্রথম আলো
সারা মুখে জখম। পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায়ও ক্ষত। যন্ত্রণা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কুঁকড়ে আছে ছয় বছরের শিশু আতিকা সুলতানা। তার দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদছেন বাবা খন্দকার কে এম রিপন। দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত ও সন্তানেরা আহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েছেন রিপন।
কারাগার থেকে বের হয়েই ছুটে গেছেন হাসপাতালে। মেয়ের করুণ অবস্থা দেখে রিপন ফেটে পড়েন কান্নায়। কেঁদেছে আতিকাও। কিছুক্ষণ পর বাবার প্রতি আতিকার আকুতি—‘মা কখন আসবে? আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে চলো।’ আতিকা জানে না, তার মা চলে গেছে না ফেরার দেশে। 
গত শুক্রবার সকালে মা রত্না আক্তারের সঙ্গে বাবা রিপনকে দেখতেই কারাগারের উদ্দেশে রিকশাযোগে যাচ্ছিল আতিকা। সঙ্গে ছিল ভাই আশফাক খন্দকার রিফাত (১৪)। ওই রিকশাসহ কয়েকটি যানবাহন উঠে পড়ে খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ের রেললাইনে। ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন ওই যানবাহনগুলোকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় মারা যান রত্না। আশফাককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও আতিকাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
রিপন বলেন, ‘আমার স্ত্রী ধার্মিক ছিলেন। আমি তার কবরে একটু মাটিও দিতে পারলাম না।’
হাসপাতালে মেয়ের পাশে আধা ঘণ্টা থেকে আরামবাগে চলে যান রিপন। সেখানে ফুফুর বাসায় আছেন তাঁর ছেলে আশফাক। সেখানেও সৃষ্টি হয় আবেগঘন মুহূর্ত। 
রিপন বলেন, ‘আমি একসময় ছাত্ররাজনীতি করতাম। বর্তমানে তেমন সক্রিয় নই। সম্প্রতি খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার বাসাটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে ১০ ডিসেম্বর আমি শান্তিনগর এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে একটি চাকরির ব্যাপারেও একজনের সঙ্গে দেখা করতে যাই। রিপন বলেন, চাকরির ব্যাপারে বিএনপির পার্টি অফিসের পাশে ভিক্টোরিয়া হোটেল থেকে বের হওয়ার পর পল্টন থানার পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমি কারাগারে পত্রিকায় পড়ে দুর্ঘটনার সংবাদ পাই। প্যারোলে মুক্তির চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জামিনে কারাগার থেকে বের হই।’
জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, ওই দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকজন ইটপাটকেল ছুড়েছিল। ওই সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিপনও তাঁদের একজন হতে পারেন।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সাংবাদিক নির্মল সেন \


বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বাম রাজনীতির পুরোধাব্যক্তিত্ব নির্মল সেন এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের (আইসিইউ) এক নম্বর কেবিনে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে কৃত্রিম ব্যবস্থায় (লাইফ সাপোর্ট) বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার আগে গ্রামের বাড়ি কোটালীপাড়ায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে নির্মল সেন বলেছেন, তাঁর মৃত্যুর পর রাষ্ট্র তাঁকে কোনো পুরস্কার দিলে তা গ্রহণ করা হবে না।
গত শনিবার বিকাল চারটার দিকে নির্মল সেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘিরপাড় গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্মল সেনের ভাইয়ের ছেলে কংকন সেন মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে নির্মল সেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ সাইদুল ইসলাম ও নিউরোলজি বিভাগের চিকিত্সক সিরাজুল হকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তাঁর রোগমুক্তির জন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে গ্রামের বাড়িতে বসে নির্মল সেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জীবনের শেষ চার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। কংকন সেন ও গোপালগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, নির্মল সেনের জীবনের শেষ ইচ্ছা নিজ বাড়িতে নারীদের জন্য একটি কলেজ নির্মাণ করা। মৃত্যুর পর তিনি কোনো মেডিকেল কলেজে দেহ দান করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য তাঁর মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি কোনো পুরস্কার দেওয়া হয়, তা যেন গ্রহণ করা না হয়। বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের আরেকটি ইচ্ছে হলো, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর মৃত্যুর সময় নির্মল সেনকে যে কথাগুলো বলে গিয়েছিলেন, তা বাম রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা। কংকন সেন আরও বলেন, এই চার ইচ্ছা তিনি লিখে রেখে গেছেন।
নির্মল সেন ২০০৩ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত (ব্রেনস্ট্রোকে) সমস্যায় আক্রান্ত হন। এরপর তিনি দেশে ও বিদেশে চিকিত্সা নিয়েছেন। চার বছর ধরে এই সাংবাদিক গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে নিজ বাড়িতে বাস করছিলেন।

Monday, December 24, 2012

‍লিটল মাষ্টার শচীনের ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায়, কোটি দর্শক অশ্রুশিক্ত \

একজন শচীন। মাত্র ১৪ বছ‍র বয়সে যার জাতীয় ক্রিকেট টিমে অভিষেক। ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাই শহরে জন্ম শচীনের। স্কুল তেকেই ক্রিকেট মাস্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন ‍।

সর্বোচ্চ ১০০ টি শতক সহ ডাবল সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব এই লিটিল মাষ্টারের। যার খেলার দর্শক থাকত চোখে পড়ার মত। ৩৯ বছর বয়সী শচীন গত রবিবার ২২ ডিসেম্বর ভারত ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তার অবসর নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে জানিয়ে‍ছে ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিসিসিআই এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর পরেই দর্শকদের মাঝে নেমে আশে শোকের ছায়া...
তার সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্তঃ
Full name Sachin Ramesh Tendulkar
Born April 24, 1973, Bombay (now Mumbai), Maharashtra
Current age 39 years 243 days
Major teams India, Asia XI, Mumbai, Mumbai Indians, Yorkshire
Nickname Tendlya, Little Master
Playing role
 Top-order batsman
Batting style Right-hand bat

Bowling style Right-arm offbreak, Legbreak googly

Height 5 ft 5 in
Education Sharadashram Vidyamandir School
আসুন এক নজরে দেখে নেই লিটিল মাষ্টারের কৃতিত্বঃ
ব্যক্তিগত সম্মাননা ও পুরস্কার


টেন্ডুলকার বিভিন্নভাবে দলীয়, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। উল্লেখযোগ্য সম্মাননা ও পুরস্কারগুলো নিম্নে ছক আকারে দেয়া হলোঃ-
ক্রমিক নং বিবরণ
(১) আইসিসি পুরস্কার - স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি, ২০১০-এর সেরা ক্রিকেটার(২) পদ্মবিভূষণ, ভারতের ২য় সর্বোচ্চ পুরস্কার, ২০০৮(৩) আইসিসি বিশ্ব একদিনের আন্তর্জাতিক একাদশে খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভূক্তি: ২০০৪ ও ২০০৭(৪) রাজীব গান্ধী পুরস্কার (খেলা): ২০০৫(৫) ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০০৩-এ টুর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়াড়(৬) মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ নাগরিকের পুরস্কার লাভ: ২০০১
(৭) পদ্মশ্রী
, ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিকের পুরস্কার, ১৯৯৯(৮) খেলাধূলায় ভারতে সর্বোচ্চ সম্মাননা হিসেবে রাজীব গান্ধী খেল রত্ন লাভ: ১৯৯৭-৯৮(৯) উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার: ১৯৯৭(১০) ক্রিকেটে অভূতপূর্ব ফলাফল করায় ভারত সরকার কর্তৃক অর্জুন পুরস্কার লাভ(১১) অক্টোবর, ২০১০-এ লন্ডন স্পোর্ট এণ্ড দ্য পিপিল্‌স চয়েজ এওয়ার্ড হিসেবে দি এশি
শচীনকে নিয়ে লেখা বই সমূহঃ

বিভিন্ন বইয়ে শচীন টেন্ডুলকারের প্রসঙ্গে আলোচিত হয়েছে। এছাড়াও, নিম্নের বইগুলোতে টেন্ডুলকারের ক্রিকেট জীবনকে উপজীব্য করে রচিত হয়েছেঃ-
ক্রমিক নং বইয়ের নাম লেখক প্রকাশক আইএসবিএন
(১) Sachin: The Story of the World's Greatest Batsman গুল‍ু এজিকাইয়েল পেঙ্গুইন গ্লোবাল 978-0-14-302854-3(২) The A to Z of Sachin Tendulkar গুলু এজিকাইয়েল পেঙ্গুইন গ্লোবাল 978-81-7476-530-73128(৩) Sachin Tendulkar-a definitive biography ভাইভব পুরানদারে রলি বুকস্‌ 81-7436-360-2(৪) Sachin Tendulkar – Masterfu পিটার মুরে ও আশীষ শুক্লা রূপা 81-7167-806-8132(৫) If Cricket is a Religion, Sachin is God বিজয় সান্থানম ও শ্যাম বালাসুব্রামানিয়ান হার্পারকলিন্স, ভারত 978-81-7223-821-6

তার এই প্রশংসনীয় কেরিয়ারে এমন বিদায়ে আমরাও শোকাহত। শোকাহত ক্রিকেট বিশ্..

দেখা মিলল গেছো ভালুকের \


বিপন্ন এ প্রজাতিটির বাংলাদেশে দেখা মিললেও প্রমাণ হিসেবে কোনো ছবি ছিল না। এরপর দেশে আর কোনো বনে এটি দেখা যায়নি। মহাসংকটাপন্ন এই প্রাণীর নাম গেছো ভালুক। দেশে মাত্র দুটি গেছো ভালুক দেখা যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে।
গেছো ভালুকের ইংরেজি নাম বিন্টু রং। এই নামেই প্রাণীটি অধিক পরিচিত। বিন্টু রংয়ের খোঁজে বেশ কয়েকবার চট্টগ্রামের বনে গিয়েছি। কিন্তু তার দেখা পাইনি, এমনকি সাধারণ মানুষের মুখে তার দেখার খবরও পাইনি। এক যুগ ধরে বন্য প্রাণী গবেষকেরা ধারণা করে আসছেন, বন্য অবস্থায় এ প্রাণীটি আর টিকে নেই। কিন্তু এবার তা ভুল প্রমাণিত হলো। গেছো ভালুকটি দেখা গেছে কক্সবাজারের ঈদগাহ এলাকায়। এ এলাকায় পাহাড়ি বন খুব একটা ভালো অবস্থায় টিকে নেই। গবেষক বন্ধু সায়েমের ক্যামেরায় ধরা পড়ল তরতাজা প্রাণবন্ত একটি বিন্টু রংয়ের ছবি। সঙ্গে ছিলেন আরেক গবেষক মো. ফয়সাল। বন থেকে তোলা এটিই বিন্টু রংয়ের প্রথম ছবি। এ দেশের সীমানায় এই প্রাণী যে এখনো টিকে আছে তা আবারও প্রমাণিত হলো। 
গেছো ভালুকটি সম্পর্কে বন্য প্রাণী গবেষক ও দুবাই চিড়িয়াখানার প্রধান রেজা খান বলেন, বন্য অবস্থায় এ প্রাণীটি দেখা খুবই বিরল একটি ঘটনা। এর আগে ২০০২ সালে একটি গেছো ভালুক মানুষের হাতে আটকা পড়েছিল। তবে এবারই প্রথম গবেষকেরা বন থেকে ছবি তুললেন।
গোটা ভারতবর্ষে গেছো ভালুকের এই একটি প্রজাতিই দেখা যায়। তবে বর্তমানে গোটা দুনিয়াতেই প্রজাতিটি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এশিয়ার বেশির ভাগ দেশেই বন্দিদশায় প্রাণীটি আছে, বন্য অবস্থায় খুবই কম দেখা যায়।
গেছো ভালুক পরিবারে বাংলাদেশে মোট ছয়টি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে গেছো ভালুক ছাড়া অন্যগুলো সিভিট বা গন্ধগোকুলের জাত। এই পরিবারে শুধু গেছো ভালুকেরই প্রিহেনসাইল লেজ দেখা যায়। লেজের লোমগুলো শরীরের অন্য পশমের চেয়ে বড়। প্রাণীটি লম্বায় প্রায় ৯০ সেমি এবং দেখতে মিশমিশে কালো। মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে, চোখ লালচে বাদামি। ওজন প্রায় পাঁচ কেজির মতো।
গেছো ভালুক সাধারণত রাতের বেলায় খাবার খোঁজে। খুবই লাজুক প্রকৃতির প্রাণী, দিনের বেলায় সাধারণত পেটের ভেতর মাথা ঢুকিয়ে বিশ্রাম নেয়। গাছের ডালপালার ভেতর লুকিয়ে খাবার খোঁজে বলে এদের দেখা পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। এরা গাছপালা ও প্রাণী দুই ধরনের খাবারই খেতে অভ্যস্ত। লতাপাতা ছাড়াও এরা পোকামাকড় খায়।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু বনে এদের দেখা যেত বলে ধারণা করা হয়। শালবনেও গেছো ভালুকের অস্বিত্ব ছিল বলে প্রমাণ আছে। তবে বাদাবনে এ প্রাণীটি কখনো দেখা যায়নি। এখনই বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাই গেছো ভালুকের আবাসস্থল রক্ষায় এগিয়ে এলে প্রাণীটি আমাদের বনজঙ্গলে টিকে থাকবে আরও বহুদিন।