জাতীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখেই শুরু করছি> আমরা কি এখন বিষয়টা দেখব, নাকি জাহাঙীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রের করুণ দশার মত আরো কোন ঘটনার অপেক্ষা করব?
ঘটনা এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এ, যেটি কিনা অনেক পুরনো ও ঐতিয্যবাহী কলেজে।
০২ ডিসেমবরের ঘটনা:
ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষ শিক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। প্রথম পরীক্ষার দিনেই তাদের পরীক্ষা হবার কথা ২য় তলায়, কিন্তু কোন এক শিক্ষকের সমস্যা থাকায় তাদের কে যেতে বললেন নিচ তলায়।
যথারীতি চলছিলো পরীক্ষা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের পরীক্ষাগুলো হয় অনেক বড় পরিসরের সিলেবাসের ভিত্তিতে। আবার সৃজনশীল প্রশ্ন থাকায় হুবহু কমন পড়ার সম্ভবনাও অনেক কম, যদি স্যারদের সাথে প্রাইভেট পড়ে কোন কিছু পাওয়া যায় তা ভিন্ন কথা।
পরীক্ষার আড়াই ঘন্টা পর আসল ঘটনার সুত্রপাত ! হটাত করেই অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিগ্রী নিয়ে আসা নতুন নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষক কেড়ে নিয়ে যান জানালার পাশে ও সর্বশেষ সিটে বসা এক ছাত্রীর !
অভিযোগ হচ্ছে তার পাশের জানালার ওয়াল থেকে একটি মোচড়ানো কাগজের টুকরা পাওয়া গেছে!
রুমের জানালা এমন উচু যে কেউ থু-তু ফেলতে চাইলে জানালার পাশে থাকলেও একটু উঠতে হবে। ছাত্রীর কথা না শুনেই না বুযেই দেড় ঘন্টা আগেই তার খাতা কেড়ে নেওয়া হয়!
ছাত্রীঃ স্যার এটা আমার না, আমি এর কিছু জানি না।
স্যারঃ বোরকা পড়ে কেন আসো আমরা বুযি না ভেবেছ?
এই কথা কয়েক বার বলতে বলতে সোজা সেমিনারে গিয়ে খাতা ও কাগজের টুকরাটি জমা দিয়ে চলে আসেন এই শিক্ষক।
জানা যায় এই ছাত্রীটি এই কলেজের কোন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ত না। এই পরীক্ষার নম্বরের উপর তাদের টিউটোরিয়ালের ৫০ নম্বর ও নির্ধারণ হবে !!!
স্যার পরে তাকে রুম থেকে বের করে দেয়। অথচ এটা তার নকল ছিল কিনা বা তার হাতের লিখা মিল আছে কিনা অথবা এই নকলের সাথে তার খাতার লিখা মেলে কিনা এটা পরখের কোন প্রয়োজন এই শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষ মনে করল না !!!
জীবনে এমন ঘটনা আগে কোনদিন স্বীকার না হওয়ায় ও স্যারের কথায় লজ্জায় ও অপমানিত হয়ে এক প্রকার দিশেহারা মেয়েটি ওই দিন মেসে চলে যায়। বিষয়টি শেয়ার করতে পারে না কারো কাছে এমনকি তার বাবার কাছেও !
পরদিন ফরম পুরনের জন্য ছবি জমা দিতে যান ছাত্রীটি। সেমিনারের দায়িত্বে থাকা লোকটি জানায়
>তোমার তো ফরম ফিলাপে জামেলা হবে, তুমি বরং একটা দরখাস্থ লিখে ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কাছে যাও।
ওভাবেই ছাত্রীটি গেলে স্যার তাকে ধমকের সুরে ৫০০টাকা ফাইন সহকারে ফরম পুরনের কথা লিখে দেয় দরখাস্থে !!
ছাত্রীটি ঘটনাটি অস্বীকার করলে স্যার স্পষ্ট জানিয়ে দেন পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের চোখের দেখাই আসল ! কোন যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই ! আর কোন কথা এ ব্যাপারে বলতে তাকে ধমকের সুরে নিষেধ করে দেন !এইদিন ঐ অস্ট্রেলিয়ান ডিগ্রীধারি শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখা যায় নি!
টাকাটা এখানে বড় কিছু না তবে
>যাচাই ছাড়া একজনের বিরুদ্ধে সমস্ত ডিপার্টমেন্ট কিভাবে এমন করে, ছাত্রীটি এখন যাবে কোথায়, কার কাছে?
>অনুমানের উপর ধর্মীয় দিক থেকে ক্লাসের সবার সামনে নিরপরাধ একজনকে অপমান ও লজ্জা দেওয়া কি শিক্ষক সমাজের জন্য মানানসই?
>৫০ নম্বর যেখানে নির্ভর করে সেই পরীক্ষায় দেড় ঘন্টা আগে যাচাই ছাড়া কিভাবে একজন কে হল থেকে বার করে দেয়?
>১ম পরীক্ষায় এমন হয়ে গেলে, পরের পরীক্ষা যদি খারাপ হয় বা ফাইনাল রেজাল্টে যদি কোন সমস্যার পরে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, তখন এই দায়ভার কে নেবে, কে?
প্রশাসন কি এখন কিছু করবে না, নাকি জাহাঙীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মত নির্মম কিছু হবার পর সচ্চার হবার বৃথা চেষ্টা ও লোক দেখানোর প্রয়াস চালাবে।
আমরা আর কত নির্বাক থাকব?
সামুতে যদি কোন সাংবাদিক ভাই থাকেন বা পড়েন এটার জন্য কিছু করার অনুরোধ করা গেল।
স্টিকি করার মত কোন পোষ্ট কোন দিন লিখি নি, তবে এ ব্যাপারে কি সামু কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারেন কিনা তা দেখা অপেক্ষায় রইলাম।
গতকালের তাজা ঘটনা, যে কেউ পারলে প্লিজ প্লিজ কিছু করার বিষেশ আহবান জানাচ্ছি, সামু ও হতে পারে প্রান রক্ষার কোন ইতিহাস, সাথে আপনিও। কারণ বিষয়টা সাম্প্রতিক আলোচিত...
সাবধান ও সতর্ক হয়ে সবাই ভালো থাকবেন।
ঘটনা এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এ, যেটি কিনা অনেক পুরনো ও ঐতিয্যবাহী কলেজে।
০২ ডিসেমবরের ঘটনা:
ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষ শিক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। প্রথম পরীক্ষার দিনেই তাদের পরীক্ষা হবার কথা ২য় তলায়, কিন্তু কোন এক শিক্ষকের সমস্যা থাকায় তাদের কে যেতে বললেন নিচ তলায়।
যথারীতি চলছিলো পরীক্ষা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের পরীক্ষাগুলো হয় অনেক বড় পরিসরের সিলেবাসের ভিত্তিতে। আবার সৃজনশীল প্রশ্ন থাকায় হুবহু কমন পড়ার সম্ভবনাও অনেক কম, যদি স্যারদের সাথে প্রাইভেট পড়ে কোন কিছু পাওয়া যায় তা ভিন্ন কথা।
পরীক্ষার আড়াই ঘন্টা পর আসল ঘটনার সুত্রপাত ! হটাত করেই অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিগ্রী নিয়ে আসা নতুন নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষক কেড়ে নিয়ে যান জানালার পাশে ও সর্বশেষ সিটে বসা এক ছাত্রীর !
অভিযোগ হচ্ছে তার পাশের জানালার ওয়াল থেকে একটি মোচড়ানো কাগজের টুকরা পাওয়া গেছে!
রুমের জানালা এমন উচু যে কেউ থু-তু ফেলতে চাইলে জানালার পাশে থাকলেও একটু উঠতে হবে। ছাত্রীর কথা না শুনেই না বুযেই দেড় ঘন্টা আগেই তার খাতা কেড়ে নেওয়া হয়!
ছাত্রীঃ স্যার এটা আমার না, আমি এর কিছু জানি না।
স্যারঃ বোরকা পড়ে কেন আসো আমরা বুযি না ভেবেছ?
এই কথা কয়েক বার বলতে বলতে সোজা সেমিনারে গিয়ে খাতা ও কাগজের টুকরাটি জমা দিয়ে চলে আসেন এই শিক্ষক।
জানা যায় এই ছাত্রীটি এই কলেজের কোন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ত না। এই পরীক্ষার নম্বরের উপর তাদের টিউটোরিয়ালের ৫০ নম্বর ও নির্ধারণ হবে !!!
স্যার পরে তাকে রুম থেকে বের করে দেয়। অথচ এটা তার নকল ছিল কিনা বা তার হাতের লিখা মিল আছে কিনা অথবা এই নকলের সাথে তার খাতার লিখা মেলে কিনা এটা পরখের কোন প্রয়োজন এই শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষ মনে করল না !!!
জীবনে এমন ঘটনা আগে কোনদিন স্বীকার না হওয়ায় ও স্যারের কথায় লজ্জায় ও অপমানিত হয়ে এক প্রকার দিশেহারা মেয়েটি ওই দিন মেসে চলে যায়। বিষয়টি শেয়ার করতে পারে না কারো কাছে এমনকি তার বাবার কাছেও !
পরদিন ফরম পুরনের জন্য ছবি জমা দিতে যান ছাত্রীটি। সেমিনারের দায়িত্বে থাকা লোকটি জানায়
>তোমার তো ফরম ফিলাপে জামেলা হবে, তুমি বরং একটা দরখাস্থ লিখে ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কাছে যাও।
ওভাবেই ছাত্রীটি গেলে স্যার তাকে ধমকের সুরে ৫০০টাকা ফাইন সহকারে ফরম পুরনের কথা লিখে দেয় দরখাস্থে !!
ছাত্রীটি ঘটনাটি অস্বীকার করলে স্যার স্পষ্ট জানিয়ে দেন পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের চোখের দেখাই আসল ! কোন যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই ! আর কোন কথা এ ব্যাপারে বলতে তাকে ধমকের সুরে নিষেধ করে দেন !এইদিন ঐ অস্ট্রেলিয়ান ডিগ্রীধারি শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখা যায় নি!
টাকাটা এখানে বড় কিছু না তবে
>যাচাই ছাড়া একজনের বিরুদ্ধে সমস্ত ডিপার্টমেন্ট কিভাবে এমন করে, ছাত্রীটি এখন যাবে কোথায়, কার কাছে?
>অনুমানের উপর ধর্মীয় দিক থেকে ক্লাসের সবার সামনে নিরপরাধ একজনকে অপমান ও লজ্জা দেওয়া কি শিক্ষক সমাজের জন্য মানানসই?
>৫০ নম্বর যেখানে নির্ভর করে সেই পরীক্ষায় দেড় ঘন্টা আগে যাচাই ছাড়া কিভাবে একজন কে হল থেকে বার করে দেয়?
>১ম পরীক্ষায় এমন হয়ে গেলে, পরের পরীক্ষা যদি খারাপ হয় বা ফাইনাল রেজাল্টে যদি কোন সমস্যার পরে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, তখন এই দায়ভার কে নেবে, কে?
প্রশাসন কি এখন কিছু করবে না, নাকি জাহাঙীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মত নির্মম কিছু হবার পর সচ্চার হবার বৃথা চেষ্টা ও লোক দেখানোর প্রয়াস চালাবে।
আমরা আর কত নির্বাক থাকব?
সামুতে যদি কোন সাংবাদিক ভাই থাকেন বা পড়েন এটার জন্য কিছু করার অনুরোধ করা গেল।
স্টিকি করার মত কোন পোষ্ট কোন দিন লিখি নি, তবে এ ব্যাপারে কি সামু কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারেন কিনা তা দেখা অপেক্ষায় রইলাম।
গতকালের তাজা ঘটনা, যে কেউ পারলে প্লিজ প্লিজ কিছু করার বিষেশ আহবান জানাচ্ছি, সামু ও হতে পারে প্রান রক্ষার কোন ইতিহাস, সাথে আপনিও। কারণ বিষয়টা সাম্প্রতিক আলোচিত...
সাবধান ও সতর্ক হয়ে সবাই ভালো থাকবেন।
No comments:
Post a Comment