নজরুলসংগীত ও শাস্ত্রীয় সংগীতের খ্যাতিমান শিল্পী সোহরাব হোসেন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন এই শিল্পী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মূত্রথলিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ছাড়াও কান, কিডনি, হূদযন্ত্রসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা ধরা পড়ে।
১৯২২ সালের ৯ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটের কাছাকাছি আয়েশতলা গ্রামে জন্ম নেন সোহরাব হোসেন। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ছিল তাঁর আগ্রহ।
নয় বছর বয়সে রানাঘাটের সংগীত শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের কাছে তাঁর গান শেখা শুরু হয়। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় তত্কালীন জমিদার ক্ষীরোদ পাল চৌধুরীর নজরে পড়েন তিনি। জমিদার তাঁকে কিরণ দে চৌধুরী নামের এক সংগীত শিক্ষকের কাছে গান শেখার ব্যবস্থা করে দেন।
পরিবারের লোকজন তাঁর সংগীতপ্রীতির বিষয়টি ভালোভাবে দেখতেন না। এ কারণে তাঁর পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে ব্যবসার কাজে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁর শিক্ষক কিরণ দে চৌধুরীর মাধ্যমে পরে কলকাতায় গিয়ে শ্রীরঙ্গম থিয়েটারে মাসে ১২ আনা বেতনে গান গাওয়ার কাজ পান তিনি। সোহরাব হোসেন কলকাতায় ইন্দুবালা, গিরীশ চক্রবর্তী, কৃষ্ণচন্দ্র দের মতো বিশিষ্ট শিল্পীর সাহচর্য পান।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ঢাকায় চলে আসেন সোহরাব হোসেন। তিনি আব্বাস উদ্দীনের মাধ্যমে ৪১ জিন্দাবাজার লেনের একটি বাড়িতে ওঠেন। চাকরি পান তথ্য বিভাগে। এ ছাড়া তিনি নিয়মিত রেডিওতে অনুষ্ঠান করতেন এবং শিক্ষার্থীদের তালিম দিতেন।
ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, শিল্পী শচীন দেব বর্মণ ও অঞ্জলি মুখার্জির সঙ্গে তাঁর খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি আব্বাস উদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন এবং গান গেয়েছেন। চলচ্চিত্রেও তিনি প্লেব্যাক করেছেন।
অভিনয়েও পারদর্শী ছিলেন সোহরাব হোসেন। তুলসী লাহিড়ীর ‘ছেঁড়া তার’ নাটকে অভিনয় করে দর্শক নন্দিত হয়েছিলেন তিনি। দেশের অনেক জনপ্রিয় ও গুণী শিল্পী তাঁর কাছে সংগীতে তালিম নিয়েছেন। তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন সংগীতজ্ঞ সনজীদা খাতুন, শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, আতিকুল ইসলাম, সাদিয়া মল্লিক প্রমুখ।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন এই শিল্পী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মূত্রথলিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ছাড়াও কান, কিডনি, হূদযন্ত্রসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা ধরা পড়ে।
১৯২২ সালের ৯ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটের কাছাকাছি আয়েশতলা গ্রামে জন্ম নেন সোহরাব হোসেন। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ছিল তাঁর আগ্রহ।
নয় বছর বয়সে রানাঘাটের সংগীত শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের কাছে তাঁর গান শেখা শুরু হয়। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় তত্কালীন জমিদার ক্ষীরোদ পাল চৌধুরীর নজরে পড়েন তিনি। জমিদার তাঁকে কিরণ দে চৌধুরী নামের এক সংগীত শিক্ষকের কাছে গান শেখার ব্যবস্থা করে দেন।
পরিবারের লোকজন তাঁর সংগীতপ্রীতির বিষয়টি ভালোভাবে দেখতেন না। এ কারণে তাঁর পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে ব্যবসার কাজে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁর শিক্ষক কিরণ দে চৌধুরীর মাধ্যমে পরে কলকাতায় গিয়ে শ্রীরঙ্গম থিয়েটারে মাসে ১২ আনা বেতনে গান গাওয়ার কাজ পান তিনি। সোহরাব হোসেন কলকাতায় ইন্দুবালা, গিরীশ চক্রবর্তী, কৃষ্ণচন্দ্র দের মতো বিশিষ্ট শিল্পীর সাহচর্য পান।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ঢাকায় চলে আসেন সোহরাব হোসেন। তিনি আব্বাস উদ্দীনের মাধ্যমে ৪১ জিন্দাবাজার লেনের একটি বাড়িতে ওঠেন। চাকরি পান তথ্য বিভাগে। এ ছাড়া তিনি নিয়মিত রেডিওতে অনুষ্ঠান করতেন এবং শিক্ষার্থীদের তালিম দিতেন।
ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, শিল্পী শচীন দেব বর্মণ ও অঞ্জলি মুখার্জির সঙ্গে তাঁর খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি আব্বাস উদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন এবং গান গেয়েছেন। চলচ্চিত্রেও তিনি প্লেব্যাক করেছেন।
অভিনয়েও পারদর্শী ছিলেন সোহরাব হোসেন। তুলসী লাহিড়ীর ‘ছেঁড়া তার’ নাটকে অভিনয় করে দর্শক নন্দিত হয়েছিলেন তিনি। দেশের অনেক জনপ্রিয় ও গুণী শিল্পী তাঁর কাছে সংগীতে তালিম নিয়েছেন। তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন সংগীতজ্ঞ সনজীদা খাতুন, শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, আতিকুল ইসলাম, সাদিয়া মল্লিক প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment