গুজবটা অনেকদিন ধরেই ঢাকা শহরে শোনা যাচ্ছিল - যে মীর কাশেম আলী আমেরিকায় কোন একটা লবিং ফার্ম নিয়োগ করেছে তার পক্ষে যুদ্ধাপরাধী মামলা নিয়ে মার্কিন সরকারের কাছে লবিং করার জন্য। এজন্য সে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছে। নানা ব্লগে/ ফেইসবুকে এটা নিয়ে পোষ্ট/ষ্ট্যাটস ও এসেছে। কিন্তু যথারীতি ঘাতকদের দল জামাত শিবির এটা অস্বীকার করে গেছে আর বলেছে যে ডকুমেন্ট-গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো জালিয়াতি করে বানানো। আজকে পেপার পড়ে বুঝলাম যে ব্যাপারটা ভার্চুয়াল জগত পেরিয়ে সরকারী পর্যায়ে চলে গেছে।
দুদক এখন এটার তদন্ত করবে ( প্রথম আলো , ডেইলী ষ্টার , ভোরের কাগজ)। তো ফেইসবুকে রুবেল ভাইয়ের দেয়া তথ্যকে ভিত্তি করে আমেরিকান সিনেটের ওয়েবসাইট চেক করে জানা গেল যে, মীর কাশেম আলী Cassidy & Associates নামে এক লবিং ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে। উদ্দেশ্য: Bangladeshi war crimes tribunal and political opposition matters. এজন্য ২৪/১১/২০১০ থেকে ২৩/০৬/২০১১ তারিখ পর্যন্ত খরচ হয়েছে দুই লক্ষ আশি হাজার ডলার ($2,80,000) । এই টাকা মানি লন্ডারিং করে দেওয়া হয়েছে কিনা সেটাই দুদক দেখবে সম্ভবত। আসুন ইউ এস সিনেটের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা সেই ডকুমেন্ট গুলো দেখি। যদি এই পোষ্টে ডকুমেন্ট দেখতে সমস্যা হয় তাহলে ফেইসবুকের এই এলবামে যেতে পারেন যেখানে বেটার রেজুলেশনের ছবিগুলো রাখা আছে।
ইউ এস সিনেটের ওয়েবসাইট: http://www.senate.gov/ ।
সেখানে Lobbying Disclosure Act Databases সেকসনে গিয়ে client country: Bangladesh সাবমিট করলে দেখতে পাবেন সামারি। দেখা যাচ্ছে মীর কাশেম আলীর নামে চারটি এন্ট্রি রয়েছে-
নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে মীর কাশেম আলী নভেম্বর, ২০১০ এ রেজিস্ট্রেশন করে Cassidy & Associates এর সাথে।
১৩/০১/২০১১ তারিখে ৮০ হাজার ডলার দেয় কাশেম আলী। লবিং এর কারন: Bangladeshi war crimes tribunal and political opposition matters.
১৮/০৪/২০১১ তরিখে আরও ১ লক্ষ ডলার দেয়া হয় লবিং ফার্মকে।
এরপর ২৩/০৬/২০১১ তরিখে আরও ১ লক্ষ ডলার দেয়া হয়। অর্থাৎ ২৪/১১/২০১০ থেকে ২৩/০৬/২০১১ তারিখের মধ্যে সর্ব লবিং ফার্মকে মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার আমেরিকান ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে।
দুদকে পরিচিত কেউ থাকলে এগুলো পাঠিয়ে দেয়া যেত। তবে আশা করি দুদকের কর্মকর্তারা নরঘাতক মীর কাশেম আলীর এই কুকীর্তি ঠিকমত খুজে বের করতে পারবেন। অথবা এই পোষ্টের পাঠকদের মধ্যে কারো দুদকে কেউ পরিচিত থাকলে তার কাছে পাঠিয়ে দেয়ার বিনীত অনুরোধ জানিয়ে শেষ করছি।
No comments:
Post a Comment