গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লার টমসম ব্রীজ থেকে বাসায় আসার জন্য এই রিক্সাওয়ালার রিক্সায় চড়ি। কিন্তু তার আচড়নটা আমার কাছে একটু ভিন্ন মনে হলো। কথার স্টাইল অনেক স্মার্ট। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানলাম ছেলেটির নাম বোরহান উদ্দিন। চাঁদপুর টেকনিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। নিজে স্ট্রাগল না করলে প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুলের ভর্তি করার সামর্থ ছিলনা তার পরিবারের। জিজ্ঞেস করলাম, রিক্সা চালিয়ে পড়াশুনা করতে সমস্যা হয় না, টায়ার্ড লাগেনা? ছেলেটির উত্তর, ”এখনইতো পরিশ্রম করার বয়স। আমার সন্তানকে যেন রিক্সা চালিয়ে বাঁচতে না হয় সে জন্য নিজে রিক্সা চলিয়ে পড়াশুনা করছি। আজ থেকে তৃতীয় বর্ষের ক্লাশ শুরু হয়েছে। সবাই ক্লাশ করছে, আমার মনটা অনেক খারাপ যেতে পারছি না। আরো ১০০০ টাকা আয় করতে হবে। বাড়ি গিয়ে বই কিনব, ২ বস্তা চাল কিনব। আর ক্লাশে তো যেনতেন জামাকাপড় পড়ে যাওয়া যায় না। বন্ধুদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।” ছবি তুলে ফেইসবুকে দেয়ার অনুমতি চাইলে সে বলল, ”দেন কোন সমস্যা নাই। রিক্সা চালাই, চুরিতো আর করি না। একদিন এসি গাড়িতে আমার ড্রাইভার গাড়ি চালাবে আর আমি পেছনে বসে ল্যাপটপে কাজ করব।” তার শেষ কথাটা আমার রক্তে কেমন যেন শিহরন জাগিয়ে গেল। সত্যি ইন্সপারেশন।
এই সত্য ঘটনাটি পাঠিয়েছেন By: S M Nahid Rahman
collected from: facebook
No comments:
Post a Comment