Monday, June 3, 2013

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের তথ্য এখন চীনের হাতে

চীনা হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নত অস্ত্রের একটি বড় অংশের তথ্য চুরি করতে সক্ষম হয়েছে। পেন্টাগন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিরক্ষাশিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা এক প্রতিবেদনে চীনের তথ্য চুরির বিষয়টি উঠে এসেছে। 
এর আগে পেন্টাগনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান বোর্ডের দাখিল করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রায় দুই ডজন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের প্রণালি জেনে গেছে চীন। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে আজ মঙ্গলবার বলা হয়, এসব অস্ত্রের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমান ও জাহাজ আছে।
বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে চীন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তির তথ্য পেয়ে গেছে। এখন এসব ব্যবহার করে এশীয় দেশটি তার অস্ত্র উন্নীত করার কাজে গতি সঞ্চার করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে যেকোনো সংঘাতময় পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় আবির্ভূত হতে পারে। 
প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান বোর্ডের প্রতিবেদনে তথ্য চুরির জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করা হয়নি। তবে অভিজ্ঞ সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব স্থান থেকে ইন্টারনেটে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। 
গত জানুয়ারিতে প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান বোর্ড যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেটিতে বলা হয়েছিল, সাইবার-সংঘাত বন্ধে যে মাত্রার অভিযান শুরু করতে হবে, তার জন্য পেন্টাগন প্রস্তুত নয়। এখন পর্যন্ত যেসব অস্ত্রের তথ্য চীনের কাছে পৌঁছেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মনে করছেন, তার একটি তালিকা ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’কে দেওয়া হয়েছে।
এ তালিকায় সবার ওপরে আছে এশিয়া, ইউরোপ ও পারস্য উপসাগর অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম বা পিএসি-থ্রি, আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করার অস্ত্র থারমিনারল হাই অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স বা থাড এবং নৌবাহিনীর এজিজ আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা।
এছাড়া এফ/এ-এইটিন যুদ্ধবিমান, ভি-টুয়েন্টিটু ওসপ্রে, ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার এবং নৌবাহিনীর নতুন লিটটোরাল কমব্যাট জাহাজ।
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবস্থার সবচেয়ে দামি অস্ত্র ‘এফ থার্টি ফাইভ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার’ও এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এ যুদ্ধবিমানের প্রতিটি বানাতে খরচ হয় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। এ অঙ্ক বাংলাদেশের মোট জাতীয় বাজেটের প্রায় ৫৭ গুণ। এ বিমানটির সব তথ্য ২০০৭ সালে চুরি হয়ে যায়।

No comments:

Post a Comment