১৯৯৫ সালে চিত্রনায়িকা মৌসুমী ছিলেন
দেশের শীর্ষ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীদের একজন। সেসময় তাঁর বিশ্বস্ত সহকারী
হিসাবে নিয়োজিত ছিলো শহীদ নামের এক ব্যক্তি। বিশ্বাস করে মৌসুমী শুটিং এর
সময় তাঁর টাকা পয়সা থেকে শুরু করে দামী গহনা গচ্ছিত রাখতেন। একদিন এভাবেই
একটি নতুন ছবিতে সাইনিং এর নগদ দুই লক্ষ টাকা শহীদের কাছে রাখেন। কিন্তু
বাসায় ফেরার আগেই সেই টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে যায় শহীদ। পরবর্তীতে আর তার
কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পঁচানব্বই সালে বাংলাদেশী টাকায় দুই লক্ষ
টাকা মানে অনেক টাকা! দীর্ঘ আঠারো বছর পর আবারো বিশ্বস্ত সহকারী দ্বারা
প্রতারণার শিকার হলেন মৌসুমী। তাঁর দীর্ঘদিনের দুই সহকারী রেজা ও আরিফের
প্রতারণার কারণে বিষণ্ণতায়ও ভুগছেন তিনি।
প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মৌসুমীর
সহকারী ছিলেন তারা। মৌসুমীর অগোচরে সহকারী আরিফ ও রেজা এই চিত্রনায়িকার
পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে ঘরের টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ সব কিছু থেকেই কমিশন
নিয়েছে। গত সপ্তাহেই প্রথম বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। জানার পর রীতিমতো
হতবাক হয়ে যান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমার ছেলেমেয়ে দুজন
রেজার হাতে বড় হয়েছে। তার টাকার দরকার হলে আমার কাছ থেকে চেয়ে নিত।
কিন্তু এ রকম প্রতারণার আশ্রয় নেওয়াটা বরদাশত করতে পারছি না।"
আঠারো বছর আগের ঘটনার শহীদের মতো আরিফও
কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। সাথে বেশ কিছু টাকা ও দামি
সম্পদ নিয়ে যায়। আরিফের হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া নিয়ে রেজাকে জেরা করলে
বেরিয়ে আসে নানারকম গোপন তথ্য। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী একজন অভিনেতা
জানান, পুলিশ এলেও রেজাকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়নি। মৌসুমীর ছেলে
ফারদিনের অনুরোধে রেজাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বিশ্বাসভঙ্গের ভার কাটিয়ে
উঠতে মৌসুমীর বেশ সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment