Friday, May 10, 2013

১৭ তম দিনে জীবিত রেশমাকে উদ্ধার


সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১৭তম দিনে আজ শুক্রবার ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের একজন নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সে করে সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি অক্ষত রয়েছেন বলে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন। 
হাসপাতালে নেওয়ার পথে রেশমা তাঁর বোন আসমাকে দেখতে চান। এ সময় ঘটনাস্থলে হাতমাইকে আসমার সন্ধান চাওয়া হয়। তখন রেশরার ছবিসহ আসমা হাজির হলে তাঁকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে নয়টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা ভবনটি ধসে পড়ে। এ পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৪।
ধসে পড়ার ১৭তম দিনে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে রেশমাকে (ডানে)। �
সাভারের এরিয়া কমান্ডার ও জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেছেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মুঠোফোনে রেশমার সঙ্গে কথা বলেছেন। জিওসি আরও বলেন, এ সময় রেশমা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আমি ১৭ দিন অন্ধকারে বসেছিলাম।’
জিওসি প্রথম আলো ডটকমকে জানান, মুঠোফোনে প্রধানমন্ত্রী রেশমাকে বলেন, ‘আমি তোমাকে দেখতে আসছি।’ এর পরই প্রধানমন্ত্রী সাভারে সিএমএইচের উদ্দেশে রওনা হন। 
হাসান সারওয়ার্দী আরও বলেন, সকালের দিকে ধ্বংসস্তূপের ওই অংশে একটি ছিদ্র করা হয়। তখন ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আলো যায়। এ সময় রেশমা ভেতর থেকে চিত্কার করে ওঠেন। একজন মেজর প্রথম রেশমাকে দেখতে পান বলে জানান জিওসি। তিনি জানান, রেশমাকে ভবন ধসের ৪১৬ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হলো। 
জিওসি আরও জানান, রেশমা প্রথমে পানি খেতে চান। তাঁকে পানি ও খাবার দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment