ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার ঐতিহাসিক শহর বৃন্দাবন। যমুনাতীরের এই শহরের আরেক নাম ব্রজধাম। মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী, তিন হাজার খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে এই বৃন্দাবনের কাছেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম। তিনি বৃন্দাবনে বাঁশি বাজাতেন। রাধাকৃষ্ণের প্রেমের স্মৃতিবিজড়িত এই বৃন্দাবন কালে কালে হিন্দুদের প্রিয় তীর্থস্থান হয়ে ওঠে। এখানে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও দলে দলে আসে তীর্থযাত্রীর দল। শহরের মন্দিরগুলোতে জপ করা হয় কৃষ্ণনাম, অবিরাম।
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের লীলাভূমি সেই বৃন্দাবনই আজ বিধবাদের শহর নামে পরিচিত। এই শহরের বিভিন্ন আশ্রম ও মন্দিরে অন্তত ছয় হাজার বিধবা নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছেন। তাঁদের অনেকেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ, অসহায়। বড় একা।
কাউকে পরিবারের সদস্যরা রেখে গেছেন। কেউবা আবার নিজেই শত শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু কেন? কেউ তা জানে না। পরিবার-পরিজন ছেড়ে আসা এসব অসহায় বিধবার অনেকেই নিত্যদিন হাত পাতেন তীর্থযাত্রীদের কাছে। যা জোটে তাই দিয়েই কোনোমতে খেয়ে না-খেয়ে দিন চলে যায়।
ভারতে সতীদাহ প্রথা বন্ধ হয়েছে বটে। আজ আর কোনো বিধবাকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে একই চিতায় দাহ করা হয় না। কিন্তু সে দেশে বিপুলসংখ্যক বিধবাকে এখনো যাপন করতে হয় নিঃসঙ্গ, দুর্বিষহ জীবন। অনেককে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাড়িয়ে দেন। অনেকেই তাঁদের বোঝা মনে করেন। মনের দুঃখে তাই বিধবাদের একটা অংশ বৃন্দাবন চলে আসে। কিন্তু কেন তারা এই শহরকেই শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় তা বলা মুশকিল।
শহরটিতে বর্তমানে ছয় হাজারের মতো বিধবা রয়েছেন। শহরের উপকণ্ঠে বসবাস করেন আরও অনেকে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান বিধবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
নয়াদিল্লিভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা মৈত্রী কিছুসংখ্যক বিধবাকে আশ্রয় দিয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাঁদের একটি মন্দিরে দেখা যায়, একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক বিধবাদের পাতে ডাল-ভাত দিচ্ছেন। আর মন্দিরের ভেতরে দলবেঁধে বসে বিধবাদের কেউ কেউ ফেলে আসা দিনগুলোর গল্প বলছেন। তাঁদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন। প্রায় এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁদের।
সন্দি নামের ৮০ বছরের এক বিধবা বলেন, অল্প বয়সেই তাঁর স্বামী মারা যান। এরপর বহু কষ্টে তিনি চার সন্তানকে বড় করেন। কিন্তু পরে এক মেয়ের জামাই তাঁকে এই বৃন্দাবনে রেখে যান। জামাইয়ের যুক্তি, ‘আপনার স্বামী নেই, তাই আপনার সেবাযত্নের ভার আপনাকেই নিতে হবে।’ বিবিসি।
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের লীলাভূমি সেই বৃন্দাবনই আজ বিধবাদের শহর নামে পরিচিত। এই শহরের বিভিন্ন আশ্রম ও মন্দিরে অন্তত ছয় হাজার বিধবা নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছেন। তাঁদের অনেকেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ, অসহায়। বড় একা।
কাউকে পরিবারের সদস্যরা রেখে গেছেন। কেউবা আবার নিজেই শত শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু কেন? কেউ তা জানে না। পরিবার-পরিজন ছেড়ে আসা এসব অসহায় বিধবার অনেকেই নিত্যদিন হাত পাতেন তীর্থযাত্রীদের কাছে। যা জোটে তাই দিয়েই কোনোমতে খেয়ে না-খেয়ে দিন চলে যায়।
ভারতে সতীদাহ প্রথা বন্ধ হয়েছে বটে। আজ আর কোনো বিধবাকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে একই চিতায় দাহ করা হয় না। কিন্তু সে দেশে বিপুলসংখ্যক বিধবাকে এখনো যাপন করতে হয় নিঃসঙ্গ, দুর্বিষহ জীবন। অনেককে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাড়িয়ে দেন। অনেকেই তাঁদের বোঝা মনে করেন। মনের দুঃখে তাই বিধবাদের একটা অংশ বৃন্দাবন চলে আসে। কিন্তু কেন তারা এই শহরকেই শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় তা বলা মুশকিল।
শহরটিতে বর্তমানে ছয় হাজারের মতো বিধবা রয়েছেন। শহরের উপকণ্ঠে বসবাস করেন আরও অনেকে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান বিধবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
নয়াদিল্লিভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা মৈত্রী কিছুসংখ্যক বিধবাকে আশ্রয় দিয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাঁদের একটি মন্দিরে দেখা যায়, একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক বিধবাদের পাতে ডাল-ভাত দিচ্ছেন। আর মন্দিরের ভেতরে দলবেঁধে বসে বিধবাদের কেউ কেউ ফেলে আসা দিনগুলোর গল্প বলছেন। তাঁদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন। প্রায় এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁদের।
সন্দি নামের ৮০ বছরের এক বিধবা বলেন, অল্প বয়সেই তাঁর স্বামী মারা যান। এরপর বহু কষ্টে তিনি চার সন্তানকে বড় করেন। কিন্তু পরে এক মেয়ের জামাই তাঁকে এই বৃন্দাবনে রেখে যান। জামাইয়ের যুক্তি, ‘আপনার স্বামী নেই, তাই আপনার সেবাযত্নের ভার আপনাকেই নিতে হবে।’ বিবিসি।
No comments:
Post a Comment