Saturday, March 30, 2013

রাজধানীর পিকেটারদের অভয়াশ্রম কামরাঙ্গীরচর!

কামরাঙ্গীরচর এলাকার বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মী সাম্প্রতিক হরতালগুলোর সময় রাজধানীর পুরান ঢাকা ও পল্টন এলাকায় পিকেটিংয়ের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নাশকতামূলক কর্মকান্ড শেষে এলাকায় ফিরে তারা নিরাপদেই থাকছে। তাদের দমনে স্থানীয় থানা-পুলিশ যেমন নিরব, তেমনি কামরাঙ্গীরচরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও রাজনৈতিকভাবে তাদের প্রতিহত করতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তবে এর বিনিময়ে থানা-পুলিশ ও সরকারদলীয় স্থানীয় কিছু নেতা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে রাজধানী ঢাকার পিকেটারদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে কামরাঙ্গীরচর এলাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কামরাঙ্গীরচরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু দলেই দুটি করে গ্র“প সক্রিয়। বিএনপির দেলোয়ার-নাইম গ্র“প স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান মাদকবরের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। অন্যদিকে বিএনপির মনির-রফিক গ্র“প স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেক শীর্ষ নেতা নেতা আবুল হোসেন সরকারের পরোক্ষ ছত্রছায়ায় থেকে জেল-জুলুম এড়াতে পারছেন। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের এ দুই নেতা যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন, সেজন্যই এমন সমঝোতা বলে একাধিক সূত্র জানায়।

সরেজমিন জানা যায়, কামরাঙ্গীরচর বিএপির নেতা-কর্মীরা এলাকায় হরতাল পালন করে না। এমনকি কোনো প্রকার পিকেটিংও হয় না। তবে তারা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হরতালে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এরমধ্যে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি থাকে। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের সু-নজরে থাকার জন্য তারা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজেদেরকে তৎপর রাখে। আবার তারা জামায়াত-শিবিরের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে সহায়তা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, কামরাঙ্গীরচরে এখনও কিছুটা গ্রামের পরিবেশ আছে বলে সেখানে হরতালে পিকেটিংয়ের কোনো দরকার পড়ে না। এছাড়া এলাকায় গণমাধ্যমের কর্মীরাও যায় না। তাই তারা শহরের ভেতরে তৎপর থাকেন। বিরোধীদলের রাজনীতি করছেন বলে এলাকায় টিকে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে এক ধরনের সমঝোতা করতে হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তাঁর দাবি, সমঝোতা না করে চললে তাদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।

এমন দাবির প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরের আওয়ামী লীগের নেতা সোলায়মান মাদবর ও আবুল হোসেন সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

হরতালের নাশকতাকারীদের একটা অংশ কামরাঙ্গীরচরে বসবাস করে- এ প্রসঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার এলাকায় কোনো পিকেটিং হয় না। এখন অন্য এলাকায় গিয়ে কেউ পিকেটিং করে কিনা, তা আমার জানার কথা নয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু করার নেই।’

No comments:

Post a Comment