Wednesday, January 9, 2013

‘ভারতীয় সেনার মাথা কেটে নিয়েছে পাকিস্তানিরা’ |


ভারত সরকার দাবি করেছে, পাকিস্তানি সেনারা গতকাল মঙ্গলবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় যে দুজন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছিলেন, তাঁদের একজনের মাথা কেটে নিয়ে গেছেন। 
তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনা হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘দুই সেনার একজনের শিরশ্ছেদ করেছে পাকিস্তানি সেনারা। পরে ভারতীয় সেনারা ওই স্থানে অনুসন্ধান করেও শরীর থেকে আলাদা করা মাথাটা খুঁজে পায়নি।’ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, পিছু হটার সময় পাকিস্তানি সেনারা মাথাটি নিয়ে গেছে।
তবে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে ভারত। আজ বুধবার ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সালমান বশিরকে ডেকে পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানায় দেশটি। 
বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাই রাষ্ট্রদূত সালমান বশিরকে বলেন, এ ধরনের ‘অমানবিক হত্যা অগ্রহণযোগ্য’ এবং পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণরেখা সুষ্ঠুভাবে মেনে চলতে হবে।
রঞ্জন আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনারা দুজন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে ও তাঁদের অঙ্গচ্ছেদ করে বর্বর আচরণ করেছে। আন্তর্জাতিক আচরণের পরিপন্থী এ ঘটনা পাকিস্তান সরকারকে অবশ্যই তদন্ত করে দেখতে হবে। এ ছাড়া এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’ 
আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব সালমান বশিরকে বলেন, পাকিস্তানি সেনারা নিয়মিতই মেন্ধার সেক্টর দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ও টহলরত ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 
পাকিস্তানি সেনারা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাদের হত্যা করেছে—ভারতের এমন অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তান চায় জাতিসংঘ ঘটনার তদন্ত করুক।
এক পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তান ঘটনাটি খতিয়ে দেখেছে। তবে ভারতের অভিযোগ অনুযায়ী কোনো কিছু তাঁরা খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুদেশের সেনাদের যে সংঘর্ষ হয়েছিল, সেটি থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য “প্রপাগান্ডা” চালাচ্ছে ভারত।’
পাকিস্তান অভিযোগ করছে, ৬ জানুয়ারি ভারতীয় সেনারা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে এক পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে ভারত।

No comments:

Post a Comment