ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মেডিকেলের সেই ছাত্রীর নাম প্রকাশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তাঁর বাবা। ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ পত্রিকাকে গতকাল রোববার এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ব্রিটেনের ‘সানডে পিপল’ পত্রিকা ওই ছাত্রীর বাবার দেওয়া এক সাক্ষাত্কার প্রকাশ করে। এতে মেয়ের নাম প্রকাশের পক্ষে তাঁর বাবা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে পত্রিকাটি ওই ছাত্রী ও তাঁর বাবার নামও প্রকাশ করে।
তবে ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ পত্রিকার কাছে গতকাল ওই ছাত্রীর বাবা দাবি করেন, তিনি তাঁর মেয়ের নাম প্রকাশের অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি কেবল বলেছি, সরকার যদি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাবিরোধী কোনো নতুন আইন আমার মেয়ের নামে করে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
ওই ছাত্রীর বাবা আরও বলেন, ‘আমি চাই, আমার মেয়ে এমন একজন হিসেবে পরিচিত হোক, যে সমাজ ও আইনে পরিবর্তন আনতে পেরেছে। একটি নৃশংস অপরাধের শিকার হিসেবে তাঁর পরিচিতি আমাদের কাম্য নয়।’
ভারতের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, যৌন নির্যাতনের শিকার কারও নাম প্রকাশ করা নিষিদ্ধ।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ দিল্লিতে ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। এরপর তাঁকে ও তাঁর ছেলেবন্ধুকে বেদম মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে প্রথমে নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে ২৭ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২৯ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে।
গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মা লিগ্যাল এইড কাউন্সিলের সহযোগিতা নিতে চান না বলে আদালতে জানান। এ ছাড়া ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মেট্রোপলিটন হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা ওই ঘটনায় রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য আবেদন করেন। অন্য দুই আসামি বাসচালক রাম সিং ও তাঁর ভাই মুখেশ আদালতের কাছে এই মামলা লড়ার জন্য আইনি সহযোগিতা চান। অন্য আসামি অক্ষয় ঠাকুরকে আজ সোমবার আদালতে হাজির করার কথা। এই মামলার ষষ্ঠতম আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে। তার বিচার হবে অন্য আদালতে।
গতকাল ব্রিটেনের ‘সানডে পিপল’ পত্রিকা ওই ছাত্রীর বাবার দেওয়া এক সাক্ষাত্কার প্রকাশ করে। এতে মেয়ের নাম প্রকাশের পক্ষে তাঁর বাবা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে পত্রিকাটি ওই ছাত্রী ও তাঁর বাবার নামও প্রকাশ করে।
তবে ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ পত্রিকার কাছে গতকাল ওই ছাত্রীর বাবা দাবি করেন, তিনি তাঁর মেয়ের নাম প্রকাশের অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি কেবল বলেছি, সরকার যদি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাবিরোধী কোনো নতুন আইন আমার মেয়ের নামে করে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
ওই ছাত্রীর বাবা আরও বলেন, ‘আমি চাই, আমার মেয়ে এমন একজন হিসেবে পরিচিত হোক, যে সমাজ ও আইনে পরিবর্তন আনতে পেরেছে। একটি নৃশংস অপরাধের শিকার হিসেবে তাঁর পরিচিতি আমাদের কাম্য নয়।’
ভারতের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, যৌন নির্যাতনের শিকার কারও নাম প্রকাশ করা নিষিদ্ধ।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ দিল্লিতে ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। এরপর তাঁকে ও তাঁর ছেলেবন্ধুকে বেদম মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে প্রথমে নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে ২৭ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২৯ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে।
গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মা লিগ্যাল এইড কাউন্সিলের সহযোগিতা নিতে চান না বলে আদালতে জানান। এ ছাড়া ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মেট্রোপলিটন হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা ওই ঘটনায় রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য আবেদন করেন। অন্য দুই আসামি বাসচালক রাম সিং ও তাঁর ভাই মুখেশ আদালতের কাছে এই মামলা লড়ার জন্য আইনি সহযোগিতা চান। অন্য আসামি অক্ষয় ঠাকুরকে আজ সোমবার আদালতে হাজির করার কথা। এই মামলার ষষ্ঠতম আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে। তার বিচার হবে অন্য আদালতে।
No comments:
Post a Comment