বছরের শেষের দিকে একটু ধীরগতি থাকলেও বছরওয়ারি হিসাবে সদ্য সমাপ্ত বছরে জনশক্তি রফতানির সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৯৮ জন কর্মসংস্থানের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৩০৪ জন নারী কর্মী। আগের বছর ২০১১ সালে জনশক্তি রফতানি ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬২ জন। আগের বছরের তুলনায় গেল বছরে এ সংখ্যা বেড়েছে ৭ শতাংশ। নতুন জনশক্তি রফতানি রেমিট্যান্স বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। গেল বছরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪শ' কোটি ডলারের বেশি।
মালয়েশিয়ার মতো বড় বাজারে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ থাকার মাঝে এ অর্জনকে সন্তোষজনক মনে করছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু হচ্ছে। ফলে এবার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক যেতেন।
মতামত জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান সমকালকে বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কর্মীদের ভালো চাহিদা রয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো বাড়াতে সহায়তা করেছে। অবশ্য এখাতে কিছু বদনাম এখনও রয়ে গেছে। এটি কাটিয়ে উঠতে পারলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। তিনি বলেন, 'নতুন বছরে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি শুরু হচ্ছে। এছাড়া নতুন নতুন দেশে জনশক্তির বাজার খোঁজা হচ্ছে। বর্তমানে ১৭৫ দেশে আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। নতুন বছরে আরও বাজার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশি পাঠানোর চেষ্টার পাশাপাশি দক্ষ কর্মী তৈরির দিকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।'
প্রাপ্ত তথ্য মতে, গেল বছরে সর্বাধিক ২ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ জন গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আগের বছর অবশ্য বেশি ছিল। ২০১১ সালে আমিরাতে জনশক্তি রফতানি ছিল ২ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৯ জন। আগের মতো গত বছরেও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমান, যেখানে গেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৬ জন। ২০১১ সালে ওমানে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৫ জন। জনশক্তি রফতানিতে এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, লেবানন, লিবিয়া, জর্ডান, ইতালি, মিসর, ব্রুনাই ইত্যাদি দেশ।
পুরো বছরের মাসওয়ারী পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১২ সালে জানুয়ারিতে সর্বাধিক ৬৭ হাজার ৭৩৮ কর্মী বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। সবচেয়ে কম গেছে অক্টোবরে ২৯ হাজার ৬২৪ জন। অন্য মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ৬০ হাজার ৪৪১, মার্চে ৫৮ হাজার ১০২, এপ্রিলে ৬৩ হাজার ১৭৫, মে মাসে ৭২ হাজার ২৭১, জুনে ৫৩ হাজার ১১০, জুলাইয়ে ৬২ হাজার ৭১৩, আগস্টে ৪৩ হাজার
৭৭৩, সেপ্টেম্বরে ৩৩ হাজার ১৬১, নভেম্বরে ৩১ হাজার ২৮১ এবং ডিসেম্বরে ৩২ হাজার ৪০৯ জন বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে কুয়েত ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর লিবিয়ায় জনশক্তি রফতানি শুরু হলেও লিবিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রকট আকার ধারণ করলে ৩৭ হাজার শ্রমিক দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। গত বছর লিবিয়াতে প্রায় ১৫ হাজার নতুন কর্মীও গেছেন।
মালয়েশিয়ার মতো বড় বাজারে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ থাকার মাঝে এ অর্জনকে সন্তোষজনক মনে করছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু হচ্ছে। ফলে এবার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক যেতেন।
মতামত জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান সমকালকে বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কর্মীদের ভালো চাহিদা রয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো বাড়াতে সহায়তা করেছে। অবশ্য এখাতে কিছু বদনাম এখনও রয়ে গেছে। এটি কাটিয়ে উঠতে পারলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। তিনি বলেন, 'নতুন বছরে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি শুরু হচ্ছে। এছাড়া নতুন নতুন দেশে জনশক্তির বাজার খোঁজা হচ্ছে। বর্তমানে ১৭৫ দেশে আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। নতুন বছরে আরও বাজার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশি পাঠানোর চেষ্টার পাশাপাশি দক্ষ কর্মী তৈরির দিকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।'
প্রাপ্ত তথ্য মতে, গেল বছরে সর্বাধিক ২ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ জন গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আগের বছর অবশ্য বেশি ছিল। ২০১১ সালে আমিরাতে জনশক্তি রফতানি ছিল ২ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৯ জন। আগের মতো গত বছরেও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমান, যেখানে গেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৬ জন। ২০১১ সালে ওমানে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৫ জন। জনশক্তি রফতানিতে এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, লেবানন, লিবিয়া, জর্ডান, ইতালি, মিসর, ব্রুনাই ইত্যাদি দেশ।
পুরো বছরের মাসওয়ারী পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১২ সালে জানুয়ারিতে সর্বাধিক ৬৭ হাজার ৭৩৮ কর্মী বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। সবচেয়ে কম গেছে অক্টোবরে ২৯ হাজার ৬২৪ জন। অন্য মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ৬০ হাজার ৪৪১, মার্চে ৫৮ হাজার ১০২, এপ্রিলে ৬৩ হাজার ১৭৫, মে মাসে ৭২ হাজার ২৭১, জুনে ৫৩ হাজার ১১০, জুলাইয়ে ৬২ হাজার ৭১৩, আগস্টে ৪৩ হাজার
৭৭৩, সেপ্টেম্বরে ৩৩ হাজার ১৬১, নভেম্বরে ৩১ হাজার ২৮১ এবং ডিসেম্বরে ৩২ হাজার ৪০৯ জন বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে কুয়েত ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর লিবিয়ায় জনশক্তি রফতানি শুরু হলেও লিবিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রকট আকার ধারণ করলে ৩৭ হাজার শ্রমিক দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। গত বছর লিবিয়াতে প্রায় ১৫ হাজার নতুন কর্মীও গেছেন।
No comments:
Post a Comment