Wednesday, January 9, 2013

সেক্স ভিডিও দেখলে নপুংস হয়ে যাবা কিন্তু। এই কথাটা দেমাগে রাইখো।


আপনি জানেন কী পর্নো ছবি বা ভিডিও আপনার কত বড় ক্ষতি করছে? প্রথম আলোতে দেখলাম লেখা হয়েছে। 

"
ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি দেখা বা লেখা পড়া স্মৃতিভ্রমের অন্যতম কারণ বলে দাবি করেছেন জার্মানির একদল বিজ্ঞানী। এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সেক্স রিসার্স জার্নালে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে একাধিক যৌনতাবিষয়ক ছবি ও সাধারণ ছবি দেখানো হয়। যৌনতাবিষয়ক ছবির প্রশ্নে তাঁরা প্রায় ৬৭ শতাংশ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যেখানে সাধারণ ছবি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়ার হার প্রায় ৮০ শতাংশ।"

আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক গবেষণা জার্নাল ‘সাইকোলজি টুডে’র একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়টি এখন এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র ২০ বছরের তরতাজা যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক যৌনাচরণ করতে পারছে না। 
‘পর্নো ছবির কারণে স্বাভাবিক যৌনাচরণ ব্যাহত, একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা’- নামে ওই প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সময়ের আগেই অর্থাৎ বয়স ত্রিশেই যৌনক্ষমতা কমে যাবার কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কে ‘ডোপামাইন স্পাইক’ নামক এক প্রকারের নিউরোট্রান্সমিটারের অত্যধিক ক্ষরণ। এই নিউরোট্রান্সমিটারের কাজ হলো শরীরে যৌনানুভূতি বয়ে আনা। আর ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির এ উত্তেজনায় একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে তখন সাধারণ নারীতে আর সেই উত্তেজনা আসে না এবং ব্রেইনে সঠিক সিগন্যাল পাঠাতে ব্যর্থ হয়। ফলে তারা সাময়িক নপুংসক হয়ে যায়।রিপোর্টটির লেখিকা মারনিয়া রবিনসন্স বলেন, যৌন উত্তেজক গল্প, ছবি, ভিডিও এগুলো আগেও ছিল। কিন্তু ইন্টারনেটের ফলে কম্পিউটারে অনেকগুলো উইন্ডো ওপেন রেখে পর্নোছবি দেখে মানুষ। আর সঙ্গত কারণেই এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ সীমাহীন পর্যায়ে চলে যেতে পারে। ফলে এর প্রভাব অনেক বেশি ক্ষতিকর। 

অনেক যুবকের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, তাদের ওপর এই ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতই বেশি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রমাগত পর্নো না দেখলে তারা যৌন উত্তেজনাই অনুভব করে না। তাদের কেউ কেউ খুবই হতাশ হয়ে পড়েন যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন জীবন আর স্বাভাবিক থাকছে না। পাশাপাশি অনেকেই জানে না, 
ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকে কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। মনোযোগহীনতা, অস্থিরতা, ঘুমহীনতা (ইনসোমনিয়া), হতাশা ইত্যাদিতে ভোগে সহজেই।
ফলাফলঃ


শিক্ষার্থীদের জন্য এর ফলাফল ভয়াবহ। স্মৃতিভ্রমের ফলে তাদের পড়াশোনার বিষয় মনে রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে যেমন তারা নিজেরা পিছিয়ে পরে তেমনি ভাবে দেশও পিছিয়ে যায় পড়াশোনার মানের দিক দিয়ে। 

বিবাহিতদের জন্য দাম্পত্য জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে।

বাঁচার উপায় কী:

এর থেকে মুক্তির উপায় হলো ব্রেইনকে আবার রিবুট করা। অর্থাৎ পর্নোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। এর ফলে ব্রেইন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর সিগন্যালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং একটা সময় সেই মানুষটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে।

যদি একা একা সম্ভব না হয়, তবে সবসময় কারো সাথে থাকার চেষ্টা করুন। কারন সাধারণত এই দেখাগুলি নির্জনে একাকী দেখা হয়। অনেকে আবার বন্ধু বান্ধব মিলে দেখে। এ ধরনের বন্ধুদের পর্ণ না দেখার জন্য বোঝানো উচিত তারপরও কাজ নাহলে তাদের পরিহার করা। 

এই ধরনের কাজ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ্‌ কাছে সাহায্য চাওয়া এবং কিছু টাকা পয়সা দান করা। 
শেষ কথা:
উঠতিবয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদের কাছে পর্নোগ্রাফি ২৪ ঘণ্টাই হাতের কাছে রয়েছে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে,তার পুরো জীবনের ওপর সেটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য। প্রতিটি বাবা-মা’র উচিত হবে, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। মনে রাখবেন সততার সহজাত পুরস্কার আপনি সব সময় পাবেন। ভাল থাকার কোন বিকল্প নেই। অল্প একটু সময়ের আনন্দের জন্য চিরস্থায়ী ক্ষতি করার কোন মানে হয় না। 

> লেখার জন্য বিশেষ ভাবে সাহায্য নেওয়া হয়েছে ব্লগার একান্ত কথা এবং প্রথম আলো পত্রিকা থেকে।

No comments:

Post a Comment