ঢাকার অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন আজ বুধবার সকালে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় বেলা একটা পর্যন্ত অন্তত ৮০ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
নয়তলা ওই ভবনে বিপণিকেন্দ্র, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল। ধসে পড়ার সময় সেখানে বহু মানুষ ছিল বলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ভবনের কয়েকটি তলায় পোশাক কারখানাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ছিল। বিপুলসংখ্যক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছে। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ উদ্ধার তত্পরতায় অংশ নিচ্ছেন। ওই ভবন থেকে শত শত আহত মানুষকে উদ্ধার করে আশপাশের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
নয়তলা ওই ভবনে বিপণিকেন্দ্র, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল। ধসে পড়ার সময় সেখানে বহু মানুষ ছিল বলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ভবনের কয়েকটি তলায় পোশাক কারখানাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ছিল। বিপুলসংখ্যক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছে। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ উদ্ধার তত্পরতায় অংশ নিচ্ছেন। ওই ভবন থেকে শত শত আহত মানুষকে উদ্ধার করে আশপাশের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
অন্তত ৮০ জন নিহত
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) রুহুল ফোরকান প্রথম আলো ডটকমকে বেলা একটার দিকে জানান, তাঁরা ধারণা করছেন, মৃতের সংখ্যা এখন ৮০। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সক মনিরুজ্জামান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ওই সময় পর্যন্ত এই হাসপাতালের মর্গে অন্তত ৩০ জনের লাশ রাখা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন) ভরতচন্দ্র বিশ্বাস দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। একই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ধসে পড়া ভবন থেকে তাঁর উপস্থিতিতেই অন্তত আট থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের ডিজির বক্তব্য
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার আলী আহমেদ দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ভবনটি পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশে যায়নি। ধসে পড়া ভবনের নিচে কিছু ফাঁকা জায়গা আছে। সেখান দিয়ে ভেতরে ঢুুকে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। কিছু ফাঁকা জায়গায় অক্সিজেনের অভাব থাকায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে।ডিজি জানান, ওই সময় পর্যন্ত ১০০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভেতরে পাঁচ থেকে ছয় হাজার লোক আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা নিশ্চিত করে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
নয়তলা ভবনে বহু প্রতিষ্ঠান
সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই নয়তলা রানা প্লাজা ভবনটি। এতে ভূগর্ভস্থ তলায় গাড়ি রাখার জায়গা। দ্বিতীয় তলার বিপণিকেন্দ্রে বহু দোকান ছিল। তৃতীয় থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা। এর ওপরের দুটি তলা খালি ছিল। ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল প্রথম তলায়।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বহুতল এ ভবনের কয়েকটি তলা নিচে দেবে গেছে। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়েছে।
‘বোমার মতো আওয়াজ শুনলাম’
ভবনটি ধসে পড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন রাশিদা বেগম। তিনি ওই ভবনে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি বলছিলেন, কারখানায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বোমার মতো আওয়াজ হলো। তখন তিনি মেশিনের নিচে চলে যান। পরে আলো দেখে কীভাবে যে বাইরে আসেন, সে কথা মনে করতে পারছিলেন না রাশিদা। সঙ্গীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা তিনি জানেন না।ফাটলের পরও ঝুঁকি নেই জানিয়েছিলেন ইউএনও
ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি পোশাক কারখানায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কবীর হোসেন সরদার সেটি পরিদর্শনে যান। তখন তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভবনটি ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই।এ ব্যাপারে আজ বক্তব্য জানার জন্য ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment