জনতার রোষানলে পড়ার ভয়ে তিনি বের হতে না পেরে স্থানীয় সাংসদসহ আওয়ামী
লীগের নেতাকর্মীদের খবর দেন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ
ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবন মালিক রানাকে বের করে নিয়ে যান।
ভবন ধসে বহু
হতাহতের ঘটনা ঘটলেও সোহেল রানা আঘাত পাননি বলে জানান ঘটনাস্থলে রানার সঙ্গে
থাকা তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যাডভোকেট মাসুদ চৌধুরী।
মাসুদ তার
ব্যক্তিগত গাড়িটি রানা প্লাজার নিচতলায় গ্যারেজে রাখতেন। সেখানে রানার
ব্যক্তিগত অফিসও রয়েছে। সকালে গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করতে গিয়েছিলেন মাসুদ।
তিনি জানান, ভবনের পেছন দিক থেকে ধস শুরু হয়। কংক্রিটের চাপে তার গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তবে তিনি নিরাপদে ছিলেন।
মঙ্গলবার
বিকালেই ভবনটিতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিলে ভবন মালিক সাভার পৌর যুবলীগের
সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “ভবনের বড়
ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। সামান্য একটু প্লাস্টার খসে পড়েছে। এটা তেমন কিছু
না।”
যদিও স্থানীয় প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক ভবন ঘুরে দেখে বলেছিলেন,
ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে বুয়েট থেকে প্রকৌশলী এনে পরীক্ষা করা প্রয়োজন,
তা না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয় তলা
ভবনটি ধসে পড়ে বহু মানুষ হতাহত হয়। ওই ভবনে চারটি তৈরি পোষাক কারখানা
রয়েছে, যেখানে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করে। ধসের সময় কারাখানায় কাজ
চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
No comments:
Post a Comment