কিছু হবে না—এই ভরসা নিয়ে দুরু দুরু বুকে রানা প্লাজা ভবনের পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন শ্রমিক শিরিন। এখন মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ বুধবার সকাল নয়টায় সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ধসে পড়া ওই ভবনের আহত অনেকেই এখন শিরিনের মতো একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একসঙ্গে এত আহত লোকের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আহত ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনদের আর্তনাদ আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, এনাম হাসপাতালের প্রতিটি ফ্লোরে আহত মানুষের ছড়াছড়ি। রক্তাক্ত এসব মানুষের কারও হাড় ভেঙেছে, কারও অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, কারও-বা থেঁতলে গেছে মাংস।
সারা শরীরে রক্তমাখা শিরিনের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনে ফাটল দেখা দিলে তাঁদের পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ কাজে গিয়ে শ্রমিকেরা তাঁদের আতঙ্কের কথা জানান। তবে কর্তৃপক্ষ তা কানে তোলেনি। ‘কিছু হবে না’ বলে একরকম জোর করে তাঁদের কারখানায় ঢোকানো হয়। রানা নামের একজন তখন হ্যান্ডমাইকে বলতে থাকেন, ‘একটা পিলার ফাটলে কিছু হয় না!’
একটি পোশাক কারখানার আয়রনম্যান শামীম আহাজারি করতে করতে বলেন, তিনি রানা প্লাজার পঞ্চম তলায় একটি নিটওয়্যার কারখানায় কাজ করছিলেন। বিকট শব্দ শুনে তিনি দৌড়ে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে নামতে যান। কিন্তু খানিকটা নামার পরই ধসে পড়া দেয়ালের কিছু অংশ তাঁর শরীরের ওপর পড়ে। চাপা পড়ে যায় তাঁর এক হাত। সেখানে বসেই তখন তিনি ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ আর ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ করে চিত্কার করতে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। শামীমের বাড়ি মানিকগঞ্জে। তিনি কলেজে দুই মাসের ছুটি পেয়ে এখানকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যান।
গুরুতর আহত হয়েছেন কোহিনূর। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন স্বামী হামিদুর, ভাশুর শফিকুর ও জা সীমা; তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তিনি তা জানেন না। ভবনটি ধসে পড়ার পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, তিনি এনাম হাসপাতালের ফ্লোরে।
ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় আহত আরেকজন রাশিদা বেগম। তিনি ওই ভবনের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি বলছিলেন, কাজের জন্য কারখানায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বোমার মতো আওয়াজ হলো। তখন তিনি মেশিনের নিচে চলে যান। পরে আলো দেখে কীভাবে যে বাইরে আসেন, তা তিনি মনে করতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
আজ বুধবার সকাল নয়টায় সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ধসে পড়া ওই ভবনের আহত অনেকেই এখন শিরিনের মতো একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একসঙ্গে এত আহত লোকের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আহত ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনদের আর্তনাদ আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, এনাম হাসপাতালের প্রতিটি ফ্লোরে আহত মানুষের ছড়াছড়ি। রক্তাক্ত এসব মানুষের কারও হাড় ভেঙেছে, কারও অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, কারও-বা থেঁতলে গেছে মাংস।
সারা শরীরে রক্তমাখা শিরিনের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনে ফাটল দেখা দিলে তাঁদের পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ কাজে গিয়ে শ্রমিকেরা তাঁদের আতঙ্কের কথা জানান। তবে কর্তৃপক্ষ তা কানে তোলেনি। ‘কিছু হবে না’ বলে একরকম জোর করে তাঁদের কারখানায় ঢোকানো হয়। রানা নামের একজন তখন হ্যান্ডমাইকে বলতে থাকেন, ‘একটা পিলার ফাটলে কিছু হয় না!’
একটি পোশাক কারখানার আয়রনম্যান শামীম আহাজারি করতে করতে বলেন, তিনি রানা প্লাজার পঞ্চম তলায় একটি নিটওয়্যার কারখানায় কাজ করছিলেন। বিকট শব্দ শুনে তিনি দৌড়ে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে নামতে যান। কিন্তু খানিকটা নামার পরই ধসে পড়া দেয়ালের কিছু অংশ তাঁর শরীরের ওপর পড়ে। চাপা পড়ে যায় তাঁর এক হাত। সেখানে বসেই তখন তিনি ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ আর ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ করে চিত্কার করতে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। শামীমের বাড়ি মানিকগঞ্জে। তিনি কলেজে দুই মাসের ছুটি পেয়ে এখানকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যান।
গুরুতর আহত হয়েছেন কোহিনূর। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন স্বামী হামিদুর, ভাশুর শফিকুর ও জা সীমা; তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তিনি তা জানেন না। ভবনটি ধসে পড়ার পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, তিনি এনাম হাসপাতালের ফ্লোরে।
ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় আহত আরেকজন রাশিদা বেগম। তিনি ওই ভবনের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি বলছিলেন, কাজের জন্য কারখানায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বোমার মতো আওয়াজ হলো। তখন তিনি মেশিনের নিচে চলে যান। পরে আলো দেখে কীভাবে যে বাইরে আসেন, তা তিনি মনে করতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
No comments:
Post a Comment